আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ব্লগই শেষ ভরসা !! লিখাটা পড়ুন প্লিজ !!

আমরা শুধু আপন মানুষ খুঁজি, আপন মানুষদের খুঁজতে হয় না, তারা পাশেই থাকে !! আগেই বলে নিই ঢাকাবাসীদের মতো কথায় কথায় অনুষ্ঠান করার জন্য স্পন্সর পাই না। তাই ব্লগের সাহায্য নিলাম। ২০০৮ সালের ১৯শে এপ্রিল। সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যলয়ে যাত্রা শুরু করল নতুন অনুষদ, কৃষি অনুষদ। হাটি হাটি পা পা করে আজ কৃষি অনুষদ অনেকটাই পরিপূর্ণ ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সব দিকেই কৃষি অনুষদের এখন দৃপ্ত পদচারনা। যাদের হাত ধরে কৃষি অনুষদ তথা বিশ্ববিদ্যালয় আজ মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে তারা হলো কৃষি অনুষদ প্রথম ব্যাচ। আর মাত্র কয়েকদিন পর তারা তাদের স্নাতক কোর্স সমাপ্তি করবে। সিলেট কৃষি বিশবিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের প্রথম ব্যাচ প্রথম গ্র্যাইজুয়েট হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে। এই আনন্দঘন ব্যাপারটিকে আমরা উদযাপন করতে চাই।

তাই সিলেটের সবচেয়ে বড় অনুষ্ঠানটি সবাইকে উপহার দিতে চাই। ৭দিন ব্যাপী এই আনন্দ উৎসবের নাম দিয়েছি: র‌্যাগ ফিয়াস্তা * RAG FIESTA ১ম দিন: সকাল নয়টায় আমাদের উৎসব শুরু হবে, বড় একটি কেক কাটার মাধ্যমে। শান্তির প্রতীক পায়রা উড়ানো হবে। তখন ছোট্ট একটি "শুভেচ্ছা বক্তব্য" অনুষ্ঠান হবে । আমরা মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ এবং মাননীয়া কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীকে দাওয়াত করব, অনুষ্ঠান উদ্বোধনের জন্য।

তারপর হবে আসল মজা। আমরা অনেকগুলা রিকশাভারা করবো। মটর চালিত রিকশা। রিকশায় জোড়ায় জোড়ায় মানুষ বসবে। বাংলা কৃষি সমাজ ও সংস্কৃতিকে ফুটিয়ে তোলে আমরা সারা সিলেট শহরে "আনন্দ র‌্যালী" করব।

একবার চিন্তা করুন মন্ত্রী মহোদয় সহ ভিসি স্যার, আমরা সবাই রিকশায় বসে আছি, ঢাকঢোল পিটানো হচ্ছে, রং ছিটানো হচ্ছে। দ্বিতীয় দিন: সকালে থাকছে বৃক্ষরোপন কর্মসূচী। পরিবেশ বান্ধব গাছ লাগাবো আমরা সমগ্র ক্যাম্পাস জুড়ে। তবে স্টাইলটা একটু ভিন্ন হবে। যেমন ধরুন, A=Apple G=Guava R=Rafflosia I=Ipsora C=Cosmos U=Ucaliptas L=Lemon T=Tamarind U=Ulatchambal R=Rangan E=Epil Epil মজার না? ফলজ, বনজ, ঔষধি গাছ লাগাবো।

সারা ক্যাম্পাস জুড়ে। বিকালে আমরা একটি স্মরণিকা প্রকাশ করব ! আমাদের চার বছরের সুখ দু:খ, মজার অভিজ্ঞতা এ স্মরণিকাতে প্রকাশ পাবে। দেশ বরেন্য লেখকরা এ স্মরনিকাতে লিখবেন। আপনিও লিখতে পারেন... তৃতীয় দিন: দেশিয় খেলা গুলো দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। ছোটবেলায় খেলতে খেলতে বেলা গড়িয়ে যেত।

মায়ের হাতে পিটুনি আর বাবার বকুনি সবাই কমবেশি সহ্য করেছেন। শহরের ছেলেরা এখন কম্পিউটারে গেমস নিয়ে ব্যাস্ত। তাই পুরনো সেই আবহ ফিরিয়ে আনতে আমরা র‌্যাগ ফিয়াস্তায় সারাদিন খেলব কাবাডি, গোল্লাছুট, কানামাছি, কিতকিত সহ বিদেশি খেলা ফুটবল, ক্রিকেট খেলা । সিনিয়র-জুনিয়র, শিক্ষক-কর্মকর্তাদের সাথে সারাদিন ব্যাপী খেলা অনুষ্ঠিত হবে। খেলুন আর না খেলুন, খেলা উপভোগ করার দাওয়াত রইল।

সন্ধ্যায় সিলেটের বিখ্যাত নাট্যদল নবশিখা আমাদের মিলনায়তনে দেখাবে ২টি নাটক । কবর এবং ভয়ংকর পদধ্বনি। চতুর্থ দিন সিলেট শহরের সবচেয়ে বড় আলপনা-টি আমরা আকঁব ঐদিন। ক্যাম্পাসের পেছনের গেট থেকে শুরু করে কিবরিয়া হল দিয়ে একটা আলপনা এবং ভেট বিল্ডিং দিয়ে আরেকটা আলপনা প্রশাসন ভবনের সামনে এসে মিলিত হয়ে মেইন গেট দিয়ে বেড়িয়ে যাবে। তারপর সেটি ভিসি ভবনের পাশ দিয়ে গরু খামার, যুব উন্নয়ন এবং পোল্ট্রি খামার এর পাশ দিয়ে এমসি কলেজের মেইন রোডে গিয়ে লাগবে।

এছাড়াও আমরা আমাদের ক্যাম্পাসের ভাস্কর্য হিসেবে পরিচিত সুদৃশ্য পানির ট্যাঙ্কি , অডিটরিয়াম ও কৃষি আনুষদ ভবনে রং করব। পড়াশুনার পাশাপাশি ক্রিয়েটিভ কাজে আমাদের ভালই সুনাম আছে। আমাদের মধ্যে অনেকেই ক্যামেরা নিয়ে কাজ করতে ভালবাসে। তেমনি কয়েকজন সৃষ্টিশিল মানুষ মিলে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় নাটক , মিউজিক ভিডিও ইত্যাদি এর শ্যুটিং করেছি। মনোরম লোকেশনে ধারন করা কাজ গুলোর মধ্যে থাকছে-একটি থ্রিলার নাটক,৬টি বাংলা গানের সাথে মিউজিক ভিডিও, একটি মজাদার নাটক, ব্যাচ নিয়ে ভিডিও রিপোর্ট, ৪বছরের স্মৃতি সহ আরও চমকপ্রদ আইটেম।

সন্ধ্যা ৭টায় শুরু হওয়া এ অনুষ্ঠানটি প্রজেক্টরের মাধ্যমে পর্দায় দেখানো হবে। পঞ্চম দিন: ভাল বাংলা সিনেমা বের হলে সবাইকে অবশ্যই সবাইকে হলে গিয়ে দেখা উচিত। বিশেষ করে তরুন প্রজন্ম বাংলা সিনেমা থেকে অনেক দূরে। গেরিলা , আমার বন্ধু রাশেদ, ডুবসাঁতার এরকম ছবিগুলো আমাদের বাংলা সিনেমা নিয়ে আবারও নতুন করে ভাবতে শিখিয়েছে। এরকম একদম পুরোপুরি টিপিক্যাল বাংলা সিনেমা বেরিয়েছে, নাম- ও আমার দেশের মাটি।

অনন্ত হিরার পরিচালনায় ছায়াছবিটি আমরা আমাদের ক্যাম্পাসে তিনটি শো করার চেষ্টা করবো। এ শো গুলো থেকে প্রাপ্ত অর্থ আমরা আমাদের ক্যাম্পাসের ক্যান্সার আক্রান্ত শিক্ষিকা রেক্সোনা ম্যাডামের সাহায্য তহবিলে দিয়ে দিব। ষষ্ঠ দিন: মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের অহংকার। মহান মুক্তিযোদ্ধে অংশ নেয়া সত্যিকারে অংশ নেয়া এমন মুক্তিযোদ্ধাদের আমরা খুঁজে বের করছি যারা খুব অর্থকষ্টে দিনানিপাত করছে। এমন মুক্তিযোদ্ধাদের আমরা সম্মান দিতে চাই।

ক্র‌্যাস্ট, ক্লথ, কারেন্সি অর্থাৎ টাকা,কাপড় এবং ক্র‌্যাস্ট উপহার দিয়ে আমরা উনাদের সাথে একবেলা খেতে চাই। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত "মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা" অনুষ্ঠান হবে। সন্ধ্যায় একটি মনোমুগ্ধকর ও জাকজমকপূর্ণ একটি বাংলাদেশি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। কৃষি অনুষদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখে সিলেটের গুনিজনরা বলেছিলেন-এরা চির তরুন, চির সবুজ। নাচ, গান, অভিনয় সবকিছুতেই শুধুমাত্র বাংলা সংস্কৃতির ছোঁয়া থাকবে, কথা দিলাম।

সপ্তম দিন: তারুন্য মানেই কনসার্ট। এই বর্ষায় আমরা "ওপেন এয়ার রেইন কনসার্ট" করতে চাই। বাংলাদেশের বিখ্যাত ব্যান্ড দল গুলোকে আমরা আমন্ত্রণ জানাবো। তবে রেইন কনসার্টের স্পেশালিটি হবে, আমরা মূল স্টেইজটা পানির উপর বানাবো। ক্যাম্পাসের লেকের উপর একটা বড় করে স্টেজ বানাবো।

শুধু মাত্র শিল্পীরা মঞ্চে থাকবেন, লেকের চার পাশে দর্শক !! হা হই হই কান্ড, রৈ রৈ ব্যাপার হয়ে যাবে না !! কনসার্ট শেষে আমরা প্রথম ব্যাচের বন্ধুরা পাশের টিলায় সারারাত ক্যাম্পফায়ার পার্টি করব ! পোড়া মাংশ খাওয়ার দাওয়াত এবার আসি আসল কথায়, গত দুই মাস এই প্রোগ্রাম শিডিউল নিয়ে সিলেটের কোম্পানি গুলোর দ্বারে দ্বারে ঘুরেছি। হেন করে তেন করে সবাই আমাদের ফিরিয়ে দিয়েছে। সত্যি কথা বলতে সিলেটে তেমন ভাবে স্পন্সর নিয়ে অনুষ্ঠান করার পরিবেশ এখনো তৈরী হয় নাই। ঘুরতে ঘুরতে জুতার তলা ক্ষয় করলাম। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ব্লগ সামহোয়ারইন ব্লগের আশ্রয় নিলাম।

কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যদি আমাদের র‌্যাগ ফিয়াস্তাতে স্পন্সরশীপ হিসেবে আগ্রহী হোন তাহলে নিম্নোক্ত সুবিধা পেতে পারেন: ১. কোম্পানির নাম অনুযায়ী র‌্যাগ ফিয়াস্তার নির্দিষ্ট দিন কিনে নিতে পারেন। যেমন ধরুন, নাট-বল্টু গ্রুপ নিবেদিত প্রথম দিন। ২. কোম্পানির নাম অনুযায়ী র‌্যাগ ফিয়াস্তার নির্দিষ্ট দিনের নির্দিষ্ট অংশ কিনে নিতে পারেন। যেমন , শরবতী ড্রিংকস নিবেদিত নিবেদিত "আনন্দ র‌্যালী" ৩. আমরা ৭দিনের জন্য ৭রং এর পোষ্টার করব, ৭রং এর টি-শার্ট পরব। ব্যানার, পোষ্টার, টি-শার্ট, দাওয়াত কার্ড, রোড পেইন্টিং, ফেষ্টুন সহ বিভিন্ন জায়গায় স্পন্সর প্রতিষ্ঠানের নাম ও লোগো ব্যবহার করব।

৪. মাইকিং, ঘোষনা এবং বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রচারনায় আমরা স্পন্সর প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ করব। ৫. স্মরনিকার বিভিন্ন পৃষ্ঠায় প্রতিষ্ঠান বিজ্ঞাপন দিতে পারবেন। ৬. প্রজেক্টরে ভিজ্যুয়াল অনুষ্ঠানে নাটক ও গানের ফাঁকে ফাঁকে স্পন্সর প্রতিষ্ঠান বিজ্ঞাপন দিতে পারবেন। ৭. ওপেন এয়ার রেইন কনসার্ট স্পন্সর প্রতিষ্ঠান টাইটেল স্পন্সর হতে পারবেন। যেমন: বকরবকর ওপেন এয়ার রেইন কনসার্ট।

৮. অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়ে স্পন্সর প্রতিষ্ঠান তাদের প্রোডাক্ট এর প্রচারনার জন্য ষ্টল দিতে পারেন। কোন প্রতিষ্ঠান যদি আমাদের র‌্যাগ ফিয়াস্তা অনুষ্ঠানে স্পন্সরশীপ করতে চান জরুরী ভিত্তিতে যোগাযোগ করুন: ০১৭১৭৯৯২০৩০, আমরা র‌্যাগ ফিয়াস্তার ৭ দিনের প্রতিদিনের সর্বিক খরচের বাজেট পাঠিয়ে দিব। আরেকটি কথা বলা হয় নাই। দেশের সর্বাধিক প্রচারিত জাতীয় দৈনিক, টিভি চ্যানেল, এফ এম রেডিও আমাদের র‌্যাগ ফিয়াস্তার মিডিয়া পার্টনার। মিডিয়া পার্টনার হিসেবে সামু মামু কে পেলে সবচেয়ে খুশি হব।

আপনার কলের অপেক্ষায় রইলাম। ভাল থাকবেন।  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১০ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।