স্পিকার আবদুল হামিদ ২৯ মে সংসদে বলেছিলেন, ‘দেশের মানুষের বিচার পেতে বছরের পর বছর লেগে যাবে, আর নিজেদের বিষয় হলে বিচার বিভাগ ঝটপট সিদ্ধান্ত নিয়ে নেবেন, এটি ভালো দেখায় না। আদালতের রায়ে ক্ষুব্ধ হলে জনগণ বিচার বিভাগের বিরুদ্ধেও রুখে দাঁড়াতে পারে। ’
স্পিকারের এই বক্তব্যকে রাষ্ট্রদোহের শামিল বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।
এই বিষয়ে কতিপয় পাঠকের কিছু গুরুত্বপূর্ন মন্তব্য তুলে ধরা হলো:
২০১২.০৬.০৬ ০৫:২৪
বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, আমরা কেবল আমাদের বিবেক এবং সৃষ্টিকর্তার কাছে দায়বদ্ধ। সরকারের কাছে বা কোনো মন্ত্রীর কাছে আমরা দায়বদ্ধ নই।
আমরা আমাদের স্বার্থে কোনো আদেশ দিই না, আমরা যে আদেশ দিই, তা জনগণের স্বার্থে। >> তাহলে সম্মানিত ব্যক্তিদের ডেকে এনে ঘন্টার পর ঘন্টা দাড় করিয়ে রেখে বিচারের আগে বেইজ্জতি করা , বিদেশে গিয়ে টক শোতে আওয়ামিলিগের হয়ে বক্তব্য দেয়া, স্যালুট না দেওয়ায় ট্রাফিক পুলিশকে কান ধরে ওঠবস করানো, তৃতীয় শ্রেণীর টিকিট কেটে বিমানের বিজনেস ক্লাসের সিট চাওয়া এগুলো কার স্বার্থে ? এই বিচারপতির এখনই পদ ছেড়ে দেয়া উচিত।
২০১২.০৬.০৬ ০৫:৪৩
কি আবস্থা | মাননীয় বিচারপতি তো বিরোধী দলের চিফ হুইপ না । কারণ আমরা আমাদের দেশে একমাত্র বিরোধী দলকেই প্রকাশ্যে স্পীকারের সমালোচনা করতে দেখি । স্পীকার খারাপ কি বলেছেন ? উনি একটা সঠিক বিবৃতি দিয়েছেন মাত্র ।
মাননীয় বিচারপতির বোধ হয় স্পীকার পদ সম্পর্কে কোন ধারনা নেই , বর্তমান স্পীকার কে উনি একজন সামান্য এডভোকেট মনে পোষন করে তাচ্ছিল্ল করেছেন । আমি যতদুর জানি President এর অবর্তমানে স্পীকার President এর দায়িত্ব পালন করতে পারেন , এমন একজন পদ মর্যাদার অধিকারী ব্যক্তির আদালতের কোন বিষয় নিয়ে বিবৃতি দিলে সেটা রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল কিভাবে হয় বুঝি না । আইন, সংবিধান তো আর বিচারপতিরা তৈরি করেন না , আইন তৈরি হয় সংসদে সাংসদ দ্বারা , আর স্পীকার সেই সংসদের অভিবাবক । সেই অভিবাবক কে এত সামান্য ব্যপারে রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল, অমার্জনীয়, জনগণকে সুপ্রিম কোর্টের বিরুদ্ধে উসকে দিচ্ছেন এমন ভয়ানক কথাগুলো কি সংবিধান লংঘন নয় ?
সব সরকারের উচিত বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে দলিয় প্রাধান্য না দিয়ে সত্যিকারের জ্ঞানি, বুদ্ধিমান, খাটি দেশপ্রেমিক সর্বোপরি বিচক্ষন ব্যক্তিদের নির্ধারন করা উচিত । কারণ মহামান্য আদালতে ব্যক্তি বিচারপতির কথা আদালতের কথা বলে গণ্য হয় ।
Ruhel Ahmed
২০১২.০৬.০৬ ০৬:১৬
আমি কি হনু রে’—এ ধরনের মন্তব্য কি স্পিকার করতে পারেন?এটা কোন সংসদের ভাষা হতে পারেনা স্পিকার হয়ে তিনি এভাবে বলবেন কেন ?আবার হাই কোর্টের বিচার পতিকে সাংসদরা হুমকি দিচ্চেন তা কত টুকু জুতসই ?
Mohammed Khan
২০১২.০৬.০৬ ০৬:১৭
এই আদালতের উচিৎ ছিল রাস্ট্রদ্রোহীতার সংজ্ঞা দেওয়া। কি ভাবে সংসদের স্পিকার রাস্ট্রদ্রোহী হন বা হতে পারেন তা আমাদের মত সাধারণ মানুষদের মাথায় আসবে না। না কি আজকাল রাস্ট্রদ্রোহী বানানো নিছক একটা ছেলে খেলায় পরিণত হয়েছে । আদালতকে কি রাস্ট্রের দেখভাল করার দায়িত্ব জনগণ দিয়েছে নাকি সরকারকে দিয়েছে তা এখন বুঝা মুসকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। আসলে আদালত কোন ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে, তাই নির্ধারণ করা জরুরী।
আদালত এবং সংসদ মোটেই তামাসার বস্তু নয় বলেই এত দিন জেনে এসেছি। আমি যা বুঝি তা হল জনগনই সবার উপরে তার উপর সয়ং আল্লাহতায়ালা। সংসদ জনগণের প্রতিনিধি সাংসদদের নিয়ে তৈরি। সর্বচ্চ আদালত জনগণের উপর স্থান লাভ করতে পারে না।
Md. Mahbubur Rab
২০১২.০৬.০৬ ০৭:০৬
আমরা জানলামনা আদালত অবমাননার এবং রাষ্ট্রদ্রোহের সংগা কি? সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সুস্পষ্ট সংগা থাকলে যখন যাকে ইচ্ছা আদালত অবমাননা বা রাষ্ট দ্রোহের অভিযোগে অভিযুক্ত করা যেতনা।
শাসক দল, তার সহযোগী দল, সরকারের উপদেষ্টা এমনকি আদালত সবাই দেশের নাগরিকদের রাষ্ট্রদ্রোহী সার্টিফিকেট ব্যাপক হারে দেয়া আরম্ভ করেছেন, এটা কিসের আলামত?
aro
২০১২.০৬.০৬ ০৭:২৮
বিচারপতি মানিক কি তার কী পরিমাণ স্থাবর সম্পত্তি রয়েছে - এর হিসাব জাতিকে দিয়েছেন কোন সময়? লন্ডনে চার চারটি বাড়ি কেনার সময় তিনি কি হলফনামা দিয়েছেন, সেখানে কতোটুকু মিথ্যে ছিলো আপনারা কি জানতে চান?
বিচারপতি মানিক বাড়ি কেনার সময় হলফনামা দিয়েছিলেন যে তিনি একটি একাউন্টেন্ট কোম্পানীতে চাকুরী করেন এবং মিথ্যে তথ্য দিয়ে মর্টগেজ নিয়েছিলেন।
Bir Bangali
২০১২.০৬.০৬ ০৮:১৯
বিচারকেরা আইনকে পুঁজি করে টাকার বিনিময়ে মিথ্যাকে সত্য বানিয়ে যখন জুলুম করে তখন কোন আদালত অবমাননা হয়না, কারণ আদালত কোন সতন্ত্র বস্তু নয়, যারা জুলুম করছে তারাই আদালতের আইনকে অপব্যবহার করে আদালত অবমাননার ধুয়া তুলে নিজেদের দোষ ঢাকার চেষ্টা করে। স্পিকার বলেছে যে, সাধারন মানুষ বছর বছর ঘুরেও বিচার পায়না অথচ নিজেদের ক্ষেত্রে প্রয়োজনে রাত তিনটার সময়ও স্পেসিয়াল বেঞ্চ বসাতে পারে, এ কথা দাঁরা স্পিকার সাধারন মানুষের মনের কথাই বলেছে, তা কেন দেশদ্রোহী হতে যাবে।
Ruhul Amin Rubel
২০১২.০৬.০৬ ০৮:৫৮
স্পিকার বলেছিলেন, “আমি যদি মনে করি সংসদই সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী, সরকার যদি মনে করে তারাই সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী, আবার আদালত যদি মনে করেন যা ইচ্ছা তা করবে- এটা ঠিক নয়। কোর্টের বিচারে (রায়ে) জনগণ যদি ক্ষুব্ধ হয় তাহলে বিচারকের বিরুদ্ধে এক সময় রুখে দাঁড়াতে পারে।
এমনিভাবে সরকারও যদি জনগণের বিরুদ্ধে স্বৈরাচারী মনোভাব পোষণ করে জনগণ একদিন সরকারের বিরুদ্ধেও রুখে দাঁড়াবে। এ ধরনের ইতিহাস আছে। ” ১০০% ঠিক। এখানে দোষের কি হল।
s.kaocer
২০১২.০৬.০৬ ০৯:৪৮
সময় এসেছে আবার আলোচনা করার, জনগণের জন্য আইন নাকি আইনের জন্য জনগণ ? হাইকোর্ট সুপ্রিমকোর্ট দেশ চালাবে নাকি দেশের আইনজীবিরা হাইকোর্ট সুপ্রিমকোর্ট চালাবে ? মানুষের বিবেক আদালত থেকে বড় নাকি আদালত মানুষের বিবেক থেকে বড় ?
Tanvir Sharif Abir
২০১২.০৬.০৬ ০৯:৫৫
কোন মন্তব্য নয়, শুধু ১টি প্রশ্ন করতে চাই।
তা হল, স্পীকার বলেছিলেন, "‘দেশের মানুষের বিচার পেতে বছরের পর বছর লেগে যাবে, আর নিজেদের বিষয় হলে বিচার বিভাগ ঝটপট সিদ্ধান্ত নিয়ে নেবেন, এটি ভালো দেখায় না। " এই কথাটা কি মিথ্যা নাকি ভুল!?
................ "কত কথা জমে ছিল এই হ্রদয়ে...চেপে গেলাম রাষ্ট্রদ্রোহী হবার ভয়ে...!!!"
Rajib Hasan
২০১২.০৬.০৬ ১০:৩৪
আমি মিনে করি স্পিকারের বক্তব্য শতভাগ সঠিক কারন সারাজিবন এটাই তো দেখে এসেছি । আমরা সাধারন জনগন সবসময় আবহেলিত আইনজিবির কাছে গেলেই টাকা আর টাকা আবশেষে সঠিক বিচারতো পাবোই না বরং নিস্ব।
A.K.M. Badruddoza
২০১২.০৬.০৬ ১১:৪৪
গণতান্ত্রীক শাসন ব্যবস্থায় সবাইকে আইন মেনে চলা উচিত এবং খুবই জরুরী। নইলে বর্তমান যে সমস্যা দেখা দিয়েছে এ সমস্যা ভবিষ্যতে আরো প্রকট হবে।
সংবিধানের পঞ্চম, সপ্তম এবং ত্রয়োদশ সংশোধনী বতিলের সময় মনে হচ্ছিল সুপ্রিম কোর্টই বুঝি সার্বভৌম এবং সংবিধানের রক্ষক এবং ব্যখ্যাকারী কিনতু গতকাল মনে হলো সংসদই সার্বভৌম এবং সংবিধানে যে কোন সংশোধনী, সংযোজন বিয়োজন সবই একমাত্র সংসদের এখতিয়ার। আসলে কোনটি সঠিক তা জনগণের কাছে পরিষ্কার হয়া উচিত। নিজেদর সুবিধা অনুযায়ী একবার সুপ্রিম কোর্টকে আর একবার সংসদকে একের উপর অপরকে প্রfধান্য দেয়া আইনের শাসনের পরিপন্থী। বিষয়টি পরিস্কার করে জনগণের বিভ্রান্তি দূর করা একান্ত জরুরী।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।