অহন থিক্কা সব শয়তানরে দৌরের উপর রাখুম।
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘তোমরা (মুসলমানরা) তোমাদের সবচেয়ে বড় শত্রু হিসেবে পাবে প্রথমতঃ ইহুদীদেরকে অতঃপর মুশরিকদেরকে তথা হিন্দুদেরকে। ’
আর পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, ‘দেশের মুহব্বত পবিত্র ঈমান উনার অঙ্গ। ’
দেশের মুহব্বতে স্বাধীনতা রক্ষার উদ্দেশ্যেই রাজাকারদের বিচার করা হচ্ছে।
তাহলে দেশে অবৈধভাবে বসবাসকারী ভারতীয়সহ বিদেশীদের সম্পর্কে দেশের অর্থনীতি ধ্বংস, প্রশাসনে ষড়যন্ত্র, ভয়ঙ্কর নাশকতা, এমনকি দেশের স্বাধীনতা বিপন্নকারী মুনাফিক সম্প্রদায় তৈরির যে অভিযোগ উঠেছে সে সম্পর্কে দেশের মুহব্বতে এবং স্বাধীনতা রক্ষার্থে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা দায়িত্ব ও কর্তব্য?
আফসুস! ৯৭ ভাগ মুসলমান উনাদের দেশ হচ্ছে বাংলাদেশ।
অথচ এ দেশের সরকার সে সম্পর্কে সচেতন নয়।
কাজেই দেশপ্রেমিক, ঈমানদার মুসলমান উনাদের দায়িত্ব ও কতর্ব্য হলো- এসব অবৈধ বিদেশীদের ভয়ঙ্কর ষড়যন্ত্র এবং ইহুদীবাদী, হিন্দুত্ববাদী, খ্রিস্টবাদী আগ্রাসন ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে সজাগ হওয়া।
যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সকল কাফিররা মিলেই মুসলমানদের চরম শত্রু। আর এ শত্রুতা ও হিংসাবশত তারা চায় মুসলমানদের পবিত্র ঈমান-আমল নষ্ট করতে এবং মুসলমানদেরকে তাদের অনুগত বানাতে। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “আহলে কিতাব অর্থাৎ ইহুদী-নাছারা তথা সমস্ত কাফির-মুশরিকরা চায় তোমরা (মুসলমানরা) পবিত্র ঈমান আনার পর তোমাদেরকে কাফির বানিয়ে দিতে।
”
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি অন্যত্র আরো ইরশাদ মুবারক করেন, “ইহুদী-নাছারা তথা সমস্ত বিধর্মীরা কখনো তোমাদের (মুসলমানদের) প্রতি সন্তুষ্ট হবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত তোমরা তাদের ধর্ম গ্রহণ না করবে বা তাদের অনুগত না হবে। ”
মূলত, মুসলমানগণ কেন বিধর্মীদের আনুগত্য গ্রহণ করে না, সে কারণেই তারা মুসলমান উনাদের উপর যুলুম-নির্যাতন করে এবং নির্বিচারে মুসলমান উনাদেরকে শহীদ করে। মুসলমান উনাদের দেশ দখল করতে চায়। মুসলমান উনাদের সম্পদ লুণ্ঠন করতে চায় এবং মুসলমান দেশে তাদের তাবেদার সম্প্রদায় নিযুক্ত করতে চায়।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, জীবিকার তাগিদে প্রতিদিন অগণিত ভারতীয় বৈধ-অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে বা প্রবেশ করতে চায়।
অথচ ভারতীয় কর্তৃপক্ষ সবসময় দাবি করে আসছে যে কেবল বাংলাদেশীরাই ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশের জন্য উন্মুখ এবং ভারতীয় সীমানার ভেতরে প্রবেশ করার অপরাধেই বিএসএফ তাদেরকে গুলি করে হত্যা করে কিংবা বিভিন্ন উপায়ে শারীরিক নির্যাতন করে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, কিন্তু প্রকৃত সত্য হচ্ছে এই যে, বাংলাদেশীদের চেয়ে ভারতীয়রাই সব থেকে বেশি সীমান্ত পেরিয়ে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করে। কিন্তু বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিবি) কোনো ভারতীয় অনুপ্রবেশকারীকে দেখা মাত্র গুলি ছুঁড়ে না বিধায় কখনোই কেউ জানতে পারে না যে, কতজন ভারতীয় অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশের সীমান্তের ভেতরে ঢুকেছিলো কিংবা অনুপ্রবেশকারী ভারতীয়দের সংখ্যাধিক্য ঠিক কতো হতে পারে। বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিবি)-এর হাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে কিংবা নির্যাতনের শিকার হয়ে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করা ভারতীয় অনুপ্রবেশকারীরা কখনো মৃত্যুবরণ করে না বিধায় দেশী ও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোতে কখনোই ফলাও করে সীমান্তে ভারতীয় হত্যার খবর বের হয় না। যে কারণে আন্তর্জাতিক মিডিয়া বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অবৈধ ভারতীয় অনুপ্রবেশের বিষয়ে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রয়েছে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, বাংলাদেশে এ মুহূর্তে বৈধ-অবৈধ মিলিয়ে সার্কভুক্ত ৬টি দেশের প্রায় সাড়ে ১৪ লাখেরও বেশি নাগরিক বসবাস করছে। এদের মধ্যে পাসপোর্ট ও ভোটার আইডি কার্ড জাল করে ১২ লাখেরও বেশি ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশে অবস্থান করছে। দেশের অর্থনীতি, রাজনীতি থেকে শুরু করে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির পেছনে এই ভারতীয় নাগরিকরা গুপ্তঘাতকের ভূমিকা রাখে বলে পর্যবেক্ষকরা জোর সন্দেহ করছেন। অথচ সরকারের কাছে বাংলাদেশে অবস্থানকারী সার্কভুক্ত ৬টি দেশের মোট ১৪ লক্ষাধিক নাগরিকের মধ্যে মাত্র ১ লাখ ১৫ হাজার ৩শ ৬৬ জনের হিসাব আছে। সরকারি হিসাবের বাইরে অবস্থানকারী বিদেশী নাগরিকরা বিশষত ভারতীয়রা গুপ্তঘাতক হিসেবে জড়িয়ে আছে নানান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে।
স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র মতে, বাংলাদেশে অবস্থানকারীদের মধ্য ভারতীয়দের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, ভারতীয়রা বাংলাদেশে থেকে নিজেদের জীবন নির্বাহ করলেও কোনোভাবেই এইদেশের অগ্রগতি সহিষ্ণু নয়। ফলে সুযোগ পেলেই সামান্য সুবিধার বিনিময়ে তারা বাংলাদেশ-বিরোধী নানান অন্তর্ঘাতমূলক কাজে জড়িয়ে পড়ছে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, বাংলাদেশে অবস্থানরত অধিকাংশ ভারতীয় নাগরিকরা কাজ করে মূলত আমাদের গার্মেন্টস শিল্পে। অবৈধভাবে থাকা এসব ভারতীয় নাগরিকদের ভিসার মেয়াদ এবং ওয়ার্ক পারমিট বলে কিছু নেই।
এদের মধ্যে বাংলাদেশ-বিদ্বেষ খুব স্পষ্টভাবে দেখা যায়। এ কারণে পোশাক শিল্পের মতো জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোতে নানান সময়ে ঘটে যাওয়া নাশকতায় এদের হাত থাকার প্রবল সন্দেহ রয়েছে। গোয়েন্দাদের হাতেও তথ্য-প্রমাণ আছে। সরকারের ভারতীয়দের প্রতি নমনীয়তার কারণে কোনো ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছো না বলেও গোয়েন্দাদের সূত্রে জানা গেছে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন- অভিযোগ আছে, ভারতীয়দের অনেকেই বাংলাদেশী জাল পাসপোর্ট এবং আইডি কার্ডও ব্যবহার করছে।
আবার কেউ কেউ মিথ্যা পরিচয়ে বাংলাদেশের ভোটারও হয়েছে। এসব ভারতীয় নাগরিকদের কেউ কেউ রাজনৈতিক সহিংসতাতেও ভূমিকা রাখছে। এদের অনেকেই রাজনীতির আড়ালে-আবডালে থেকে নানান সহিংস ও নাশকতামূলক কর্মকা- চালিয়ে যাচ্ছে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, বাংলাদেশে অবস্থিত বিভিন্ন দূতাবাসের মধ্যে ভারতীয় দূতাবাসের লোকবলও বেশি। বৈধ এবং অবৈধভাবে বসবাসকারী ভারতীয় নাগকিরদের মধ্যে বেশির ভাগই গার্মেন্টস, ক্লিনিক, সিমেন্ট এবং ইপিজেড ব্যবসায় জড়িত।
এদের কেউ কেউ ইপিজেডের সংশ্লিষ্ট কিছু প্রতিষ্ঠান, নার্সিং ও এনজিওতে কর্মরত রয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশের প্রায় শতাধিক গার্মেন্টেস মালিক ভারতীয় নাগরিক। আর তাদের মালিকানায় রয়েছে প্রায় সহস্রাধিক ফ্ল্যাটবাড়ি। ভারতীয়রা বিভিন্নভাবে আয় করে উপার্জিত টাকার অধিকাংশই অবৈধ পথে নিজ নিজ দেশে পাঠিয়ে দেয়। ফলে একদিকে দেশের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ছে, অন্যদিকে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বাংলাদেশ।
মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী- দেশে অবৈধ ভারতীয়দের সংখ্যা বারো লাখেরও ঊর্ধ্বে। তাহলে দেশে অবৈধভাবে বসবাসকারী ভারতীয়সহ বিদেশীদের সম্পর্কে দেশের অর্থনীতি ধ্বংস, প্রশাসনে ষড়যন্ত্র, ভয়ঙ্কর নাশকতা, এমনকি দেশের স্বাধীনতা বিপন্নকারী মুনাফিক সম্প্রদায় তৈরির যে অভিযোগ উঠেছে সে সম্পর্কে দেশের মুহব্বতে এবং স্বাধীনতা রক্ষার্থে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা দায়িত্ব ও কর্তব্য? আফসুস! ৯৭ ভাগ মুসলমান উনাদের দেশ হচ্ছে বাংলাদেশ। অথচ এ দেশের সরকার সে সম্পর্কে সচেতন নয়। কাজেই দেশপ্রেমিক, ঈমানদার মুসলমান উনাদের দায়িত্ব ও কতর্ব্য হলো- এসব অবৈধ বিদেশীদের ভয়ঙ্কর ষড়যন্ত্র এবং ইহুদীবাদী, হিন্দুত্ববাদী, খ্রিস্টবাদী আগ্রাসন ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে সজাগ হওয়া।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।