আবারো দেশে হরতাল ফিরে এলো। দেশের স্বার্থ রক্ষার জন্য নাকি এই হরতাল। কিন্তু হরতাল ডেকে, দেশের ক্ষতি করে এই যুগে দেশের স্বার্থ কিভাবে রক্ষা করা যায় সেটা বুঝতে কষ্ট হচ্ছে। আনু স্যারকে যেভাবে পেটানো হলো সেটা কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। কিন্তু ঈদের আগে মানুষের ভোগান্তি করে ডাকা এই হরতাল বাদ দিয়ে অন্য কোন কর্মসূচি কি দেওয়া যেতো না?
বিবিসির বাংলাদেশ সংলাপে শনিবার প্রায় সব দর্শকই তেল গ্যাস রক্ষার আন্দোলনকে সমর্থন দিয়েছেন।
কিন্তু এই আন্দোলনের নামে হরতাল দেওয়াকে সমর্থন করেননি কেউই। আমার কাছে মনে হচ্ছে, তেল গ্যাস আন্দোলনে জনগনের যে সফট কর্ণার ছিলো সেটিকে দ্বিধাবিভক্ত করা হলো। অনেকেই এখন হরতালের বিরোধিতা করতে গিয়ে এই আন্দোলন থেকেও পিছিয়ে পড়ছেন।
আনু স্যারকে এ দেশের অথর্ব পুলিশে যেভাবে পেটালো তার নিন্দা জানানোর ভাষা নেই। খুব কম লোক পাওয়া যাবে যারা এইটা সমর্থন দেবেন।
কিন্তু কথা হলো, এই ঘটনা নিয়ে কিছু লোক আবার বানিজ্য করার চেষ্টা করছে। তাদের মধ্যে এখন নেতা হওয়ার খায়েস। বিএনপিও দেখি এখন মায়াকান্নার মতো তেল গ্যাস-রে সাপোর্ট দেয়। আসলেই বিচিত্র এক দেশ।
অনেকেই বলছেন, যারা হরতাল ডাকলেন দেশের স্বার্থের কথা বলে তারা আসলে দেশের স্বার্থ চান না।
আমারো এখন কথাটা বিশ্বাস করতে ইচ্ছে করছে। তেল গ্যাস আন্দোলন ভেবেছিলো এভাবে হরতাল ডাকলে সারা দেশের লোকজন হয়তো তাদের সঙ্গে আন্দোলনে যাবেন। বিশাল একটা কিছু হয়ে যাবে। বিশাল জনসমর্থন পাওয়া যাবে। কিন্তু জনগনের মনোভব বুঝতে সারা জাবনই এ দেশের বামেরা ব্যার্থ হলো।
ঈদের আগে এদেশের কোন মানুষই হরতাল চায় না। যারা বাড়ি ফিরবেন কিংবা মার্কেটিং করবেন, তাদের সামান্য যে দুর্ভোগ হবে তার দায় কে নেবে?
আমার মনে হয়, হরতাল না ডেকে অন্য কোন কর্মসূচি দেওয়া উচিত ছিলো্। যেমন ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল প্রধানমন্ত্রীর বাসবভনের সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে পারতেন এবং বলতে পারনতন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা না করে তারা যাবেন না। কিংবা নতুন কিছু।
আমি নেপালের বাম দলগুলোর একটি কর্মসূচি দেখে মুগ্ধ হয়িছিলাম।
তারা সন্ধ্যার সময় হাতে মশাল নিয়ে হাজার হাজর লোক শহর ঘুরেছিল। মশাল থেকে মশাল জ্বলছে। এটাই ছিলো তাদের প্রতিবাদ। এমন অভিনব কোন কর্মসূচি কি দেওয়া যেতো না হরতাল বাদ দিয়ে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।