সোশ্যাল মিডিয়া ব্লগ http://www.socialnewsbd.com/ এই পৃথিবীতে অনেক রকম প্রানী আছে যা আসলেই অনেক ভয়ংকর। সাধারনত পানির ভয়ানক প্রানী সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা। পানি বলতে সমুদ্রের লবনাক্ত পানি নয়, আমি বলছি মিঠাপানি মানে নদীর, জলাশয়ের, খাল বিলে বসবাসরত প্রানীদের কথা। আজকে সেই মিঠা পানির ১৩ টি ভয়ানক প্রানীর সম্পর্কে জানানো হবে
পিরানহা
পিরানহার নাম এখন অনেকেই জানে। ভয়ানক দাত ওয়ালা এই মাছটির বাস দক্ষিন আমেরিকার দেশগুলোয়।
পিরানহা বিখ্যাত তার মাংশ খাওয়ার জন্যে। এই মাছের একটা দল নিমষেই একটা গরু খেয়ে শেষ করে দিতে পারবে। মানুষের ওপরে আ্যটাক সাধারনত কম শোনা যায় কিন্তু যদি আপনি এদের একটি দলের খপ্পরে পড়েন তাহলে আপনাকে শেষ করতে এদের খুব বেশি হলে ১০ মিনিট লাগবে।
ইলেক্ট্রিক ঈল
ইলেক্ট্রিক ঈল একটি মাছ যা তার লেজ দিয়ে ইলেক্ট্রিসিটি উৎপন্য করে। এটা তাকে আত্নরক্ষা করতে সাহাজ্য করে।
ইলেক্ট্রিক ঈলের খোজ পাওয়া যায় দক্ষিন আমেরিকার আ্যমাজন নদী ও অরিনকো বেসিনে। ইলেক্ট্রিক ঈল তার লেজ দিয়ে প্রায় ৫০০ ভোল্ট বিদ্যুৎ উৎপন্য করে যা একজন প্রাপ্ত বয়ষ্ক মানুষ্কে মেরে ফেলতে পারে
গোলিয়াথ বার্ড আই স্পাইডার
পৃথিবীর অন্যতম বড় মাকরাশা এই গোলিয়াথ। এদের দেখতে পাওয়া আমাজন রেইনফরেস্ট এলাকায়। এদের পা লম্বা হয় ১২ ইঞ্চি পর্যন্ত এবং ওজন হয় ৬ গ্রাম। বার্ড আই নামটি দেয়া হয় এটাকে একটি হ্যামিং বার্ড খাওয়া দেখার পর থেকে।
স্ত্রী মাকরাশা পুরুষ মাকরাশা দের মৃত্যুর পর খেয়ে ফেলে। পুরুষ মাকরাশা বাচে ৩-৬ বছর পর্যন্ত এবং স্ত্রী মাকরাশা বাচে ১৫-২৫ বছর পর্যন্ত।
টাইগার ফিশ
টাইগার ফিশ দেখা যায় মূলত আফ্রিকায়। এদের সুক্ষ দাত দিয়ে তারা শিকার করে। সাধারনত এলা দল বেধে শিকার করে এবং মাঝে মাঝে বড় প্রানী শিকার করে খায়।
মানুষের ওপরে আক্রমন তেমন একটা শোনা না গেলেও এরকম ঘটেছে।
নাইল ক্রোকোডাইল
নাইল ক্রোকোডাইল এর বাস আফ্রিকায়। এই কুমির টি বিখ্যাত সবচেয়ে হিংস্র এবং ভয়ানক কুমির হিসেবে। সাধারনত দল বেধে শিকার করে এরা। এদের প্রধান খাদ্য বিভিন্ন ধরনের প্রানী যেমন হরিন, মহিষ, জেব্রা ইত্যাদী।
মানুষের ওপরে আক্রমন ও কম নয়। বছরে প্রায় ১০০ থেকে ১০০০ মানুষ এদের শিকার হয়।
স্নেকহেড
স্নেহেডের দেখা মেলে পশ্চিমা দেশ গুলোয়। এরা সাধারনত এমন যায়গায় থাকে যেখানে বিভিন্ন প্রজাতীর মাছ একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্যে আস্রয় নেয়। স্নেকহেডের খাদ্য হল, মাছ, ব্যাং এবং এমন কিছু যা তার চলার পথে নরে ওঠে।
স্নেকহেড পানির বাইরে ৪ দিন বেচে থাকতে পারে।
মাটা মাটা
মাটা মাটা একটি সামুদ্রিক কচ্ছপ যা দেখতে পাওয়া যায় আমাজন ও অরিনোকো বেসিন এলাকায়। এরা সাধারনত স্থীর পানিতে থাকতে পছন্দ করে যাতে তাদের ম্থা বের করা যায়। এরা মানুষের জন্যে তেমন বিপদজনক নয়। এরা উদ্ভিদ এবং মাছ খেয়ে বেচে থাকে
জায়ান্ট ক্যাটফিশ
জায়ান্ট ক্যাটফিশের সন্ধান পাওয়া যায় সুইডেনের একটি লেকে।
এরা সারা বিশ্বের বিভিন্ন নদীতে বাস করতে পারে। সাধারনত এরা মানুষের জন্যে বিপদজনক নয় তবে একেবারেই এই সম্ভবনা উরিয়ে দেয়া যায়না। এয়া সাধারনত ১০.৫ ফিট এবং ৬৬০ পাউন্ড ওজোন হয়। একটি জায়ান্ট ক্যাটফিশ ৬০ বছর পর্যন্ত বেচে থাকতে পারে।
ডাইভিং বেল স্পাইডার
ডাইভিং বেল স্পাইডার পৃথিবীর একমাত্র মাকরাশা যা পানির নিচে বাস করে।
ডাইভিং বেল স্পাইডার পানির ওপরে এসে বাতাস নিয়ে যায় যা সংরক্ষন করে তার পায়ের চুলের সাহাজ্যে এবং পানিতে বাবল উৎপন্ন করে অক্সিজেন ব্যাবহার করে। ডাইভিং বেল স্পাইডার পাওয়া যায় উত্তর এবং সেন্ট্রাল ইউরোপে এবং উত্তর এশিয়ার কিছু এলাকায়।
আ্যনাকন্ডা
আ্যনাকন্ডা নামটা মোটামুটি অনেকেই জানে। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সাপ এটি। আ্যনাকন্ডার বাস দক্ষিন আমেরিকার দেশগুলোতে।
এর প্রধান খাদ্য মাছ, পাখি, ছোট স্তন্যয়ায়ী সহ বিভিন্ন প্রানী। বড় ধরনের সাপ গুলো মানুষের জন্যে বিপদজনক। এদেরকে হরিন, অন্যান্য সাপ ও খেতে দেখা গেছে।
জায়ান্ট স্টিং রে ফিশ
জায়ান্ট স্টিংরে মাছের দেখা পাওয়া যায় দক্ষিন পূর্ব এশিয়া এবং অস্ট্রেলিয়া তে। এরা লম্বায় ১৬.৫ ফিট হয় এবং ওজোনে ১৩২০ পাউন্ড।
এদের লেজে যে কাটা আছে সেটায় রয়েছে ভয়ানক বিষ। এটা তাদের সুরক্ষা করে অন্যান্য প্রানীর আক্রমন থেকে। এই স্টিং রে মাছের কাটার বিষেই মারা যান ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক এর খ্যাতিমান উপস্থাপক স্টিভ আরউইন।
ভ্যাম্পায়ার ফিশ
ভ্যাম্প্যায়ার ফিশের দেখা পাওয়া যায় দক্ষিন আমেরিকার দেশ গুলোয়। এদের চরিত্র অনেকটা পিরানহার মত।
এরা তাদের সুক্ষ দাত দিয়ে শিকার করে পিরানহার মতই। এরাও পিরানহার মতই মাংশাশি।
ক্যান্ডিরু
ক্যান্ডিরু কে মোটামুটি মিঠাপানির সবচেয়ে ভয়ানক প্রানী বলা চলে। এরা সাধারনত বড় মাছের খাদ্য হয়ে থাকে। তবে আমাজনের স্থানীয় রা জানিয়েছে এই মাছের কারনে যে ইনফেকশন হয় তা অনেক সময় চিকিৎসার অনূপোযোগী।
পোস্ট টি আগে এখানে প্রকাশিত : পৃথিবীর মিঠাপানির ১৩ টি ভয়ংকর প্রানী ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।