আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

থ্রিজির এ টু জেড

মনের মহাজন খুঁজে ফিরি.... থ্রিজি কি? আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন সংস্থা বা আইটিইউ’র সংজ্ঞানুসারে Application services include wide-area wireless voice telephone, mobile internet access, video calls and mobile TV, all in a mobile environment. থ্রিজিকে এক কথায় মোবাইল ভিডিও কল ও মোবাইল ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ট্রান্সপোর্টার নেটওয়ার্কও বলা যেতে পারে। থ্রিজি প্রযুক্তির সুবিধা থ্রিজি প্রযুক্তি কার্যকর থাকলে একটি সাধারণ থ্রিজি সাপোর্টেড মোবাইল হ্যান্ডসেটের মাধ্যমে অনেক কাজ সম্পাদন করা যায়। থ্রিজি প্রযুক্তির সবচেয়ে বড় ও আকর্ষণীয় সুবিধা হলো, এই প্রযুক্তি কার্যকর থাকলে মোবাইল হ্যান্ডসেটের মাধ্যমে ভয়েস সুবিধার পাশাপাশি ব্যবহারকারী ভৌগোলিকভাবে যে অবস্থানেই থাকুক না কেন উচ্চগতির ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারে। গ্রামের অর্ধশিক্ষিত একজন মানুষ সব সময় সবখানে বসে সারাবিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ এবং সব ধরনের তথ্য অতি সহজেই আদান-প্রদান করতে পারে। থ্রিজি প্রযুক্তির মাধ্যমে টিভি দেখা, খেলা দেখা, ভিডিও ক্লিপস আদান-প্রদান সবই সম্ভব।

একজন ব্যবহারকারী থ্রিজি সাপোর্টেড মোবাইল সেটের সাহায্যে ভিডিও কনফারেন্স করতে পারে। বিনোদনের ক্ষেত্রে এটি অদ্বিতীয়। ভিডিও টেলিফোনে পাওয়ারফুল ক্যামেরা, ইমেজ এডিটিং, ব্লগিং, ভিডিও কল, মুভি ট্রান্সফার সবই সম্ভব। কয়েকটি অপারেটর এখনই থ্রিজির বিপক্ষে বাংলাদেশে থ্রিজি প্রযুক্তি না থাকলেও পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত-শ্রীলঙ্কা বেশ আগেই থ্রিজির সেবা চালু করেছে। থ্রিজি প্রযুক্তি মূলত দ্বিতীয় প্রজন্মের সঙ্গে গতিতে বড় পার্থক্য তৈরি করবে।

টুজিতে যে কাজ করতে অনেক বেশি সময় প্রয়োজন, থ্রিজির মাধ্যমে তা করা যাবে অনেকগুণ বেশি দ্রুততার সঙ্গে। তবে এখনই তৃতীয় প্রজন্মের (থ্রিজি) মোবাইল প্রযুক্তির সেবা উন্মুক্ত করার পক্ষে নয় কয়েকটি মোবাইল ফোন অপারেটর, বরং বেশ কিছুদিন থেকে থ্রিজির লাইসেন্স দেয়ার বিষয়টি তারা ঠেকিয়ে রেখেছে বলেও জানিয়েছে শীর্ষ এক অপারেটরের এক কর্মকর্তা। তার ভাষ্যমতে, জুনে থ্রিজির জন্যে কয়েক হাজার কোটি টাকা দিয়ে পরে ২০১৪ সালে আবার ফোরজি বা ‘লং টার্ম ইভ্যালুয়েশনের’ (এলটিই) জন্য আরও একবার টাকা দিতে পারবেন না তারা। সে কারণে প্রয়োজনে থ্রিজির নিলাম আরও কিছুদিন ঠেকিয়ে রাখা হবে!! থ্রিজি সুবিধা নিতে আসছে ইন্ডিয়ান টাটা ও রিলায়েন্স!! জানা যায়, বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ বাজারে এবার তৃতীয় প্রজন্মের (থ্রিজি) মোবাইল সেবা নিয়ে আসতে চায় ভারত। বর্তমানে ভারতীয় অপারেটর এয়ারটেল বাংলাদেশের বাজারে দ্বিতীয় প্রজন্মের মোবাইল ফোন সেবা দিচ্ছে।

ভারতেরই আরও দুটি কোম্পানি এখন বাংলাদেশের বাজারে তৃতীয় প্রজন্মের (থ্রিজি) মোবাইল সেবা দিতে ইচ্ছুক। এ দুটি কোম্পানি হলো টাটা ও রিলায়েন্স। এরই মধ্যে বাংলাদেশের বাজারে ব্যান্ডউইথ বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান টেরিস্ট্রিয়াল লাইসেন্সপ্রাপ্ত দুটো কোম্পানির সঙ্গে সমঝোতা করেছে। এখন থ্রিজির লাইসেন্স পেলে তারা সে অপারেশনও চালু করতে চায় বলে জানা গেছে। পাঁচটি প্রতিষ্ঠানকে থ্রিজি লাইসেন্স দেয়া হবে খসড়া থ্রিজি নীতিমালা অনুযায়ী, মোট পাঁচটি প্রতিষ্ঠানকে নিলামের মাধ্যমে থ্রিজি লাইসেন্স দেবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

৪০ মেগাহার্টজ তরঙ্গ বরাদ্দ দিতে এ নিলাম অনুষ্ঠিত হবে। অতিরিক্ত ১০ মেগাহার্টজ রাখা হয়েছে টেলিটকের জন্য। তবে টেলিটক চাইলে নিলামে অংশগ্রহণ করতে পারবে। ২১১০ মেগাহার্টজ থেকে ২১৬০ মেগাহার্টজের মধ্যে এ তরঙ্গ বরাদ্দ দেয়া হবে। মোট পাঁচ প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স দেবে বিটিআরসি।

এর মধ্যে টেলিটক ছাড়া একটি নতুন প্রতিষ্ঠান লাইসেন্স পাবে। বর্তমানে দেশে মোবাইল ফোন সেবা দিচ্ছে এমন তিনটি প্রতিষ্ঠান নিলামের মাধ্যমে এ লাইসেন্স পাবে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ১০ মেগাহার্টজ করে তরঙ্গ বরাদ্দ দেয়া হবে। নীতিমালায় বলা হয়েছে, নিলামে ভিত্তিমূল্য ধরা হয়েছে প্রতি মেগাহার্টজ ৩ কোটি ডলার। অর্থাত্ ১০ মেগাহার্টজের জন্য ৩০ কোটি ডলার।

আবেদন ফি দিতে হবে ৫ লাখ টাকা। লাইসেন্স ফি ধরা হয়েছে ১০ কোটি টাকা। আর বার্ষিক নবায়ন ফি ৫ কোটি টাকা। পুরো অর্থ পরিশোধ সাপেক্ষে এ লাইসেন্স দেয়া হবে। নতুন অপারেটর টুজির তরঙ্গ ছাড় পাবে খসড়া নীতিমালায় একটি নতুন অপারেটরকে থ্রিজির সুবিধা দেয়ার কথা বলা হয়েছে, যারা একইসঙ্গে টুজি সেবাও দিতে পারবে।

তাদের টুজি তরঙ্গের মূল্য প্রতি মেগাহার্টজ ৫০ কোটি টাকা করে কম রাখার প্রস্তাব করেছে বিটিআরসি। এরই মধ্যে নতুন অপারেটরটির জন্য ১৮শ’ ব্যান্ডে সাড়ে ১২ মেগাহার্টজ তরঙ্গ খালি করা হয়েছে। এর আগে অন্য অপারেটররা ১৮শ’ ব্যান্ডের তরঙ্গ প্রতি মেগাহার্টজ দেড়শ’ কোটি টাকায় কিনলেও নতুন অপারেটর সেটি ১শ’ কোটি টাকায় পাবে। থ্রিজির লড়াইয়ে সিটিসেলও যোগ দিতে পারে এখন পর্যন্ত সবাই ধরেই নিয়েছে, সিটিসেল থ্রিজি নিলামে আসবে না। যেহেতু ৫টি লাইসেন্স দেয়া হবে, তাই টেলিটক এবং নতুন একটি অপারেটর বাদ দিলে বাকি ৩টি লাইসেন্সের জন্য ৪টি জিএসএম অপারেটর যুদ্ধ করবে এবং সেক্ষেত্রে জিএসএম অপারেটরদের ভেতর টানাটানি শুরু হবে।

কিন্তু বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, সিটিসেল এই খেলায় আসবে। কারণ তারা এখনই থ্রিজি সেবা দিচ্ছে। বর্তমান সিটিসেলের মালিক হলো সিঙ্গাপুরের সিংটেল। সিংটেল এই দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে দক্ষ মোবাইল অপারেটর এবং তারা এরই মধ্যে সিঙ্গাপুরে থ্রিজি সেবা দিয়ে সুনাম কুড়িয়েছে। আর কনটেম্লট নিয়ে সিটিসেলের সাম্প্রতিক বিচরণগুলো দেখে নিশ্চিত হওয়া যায়, সিটিসেলও থ্রিজি নিলামে অংশ নিবে।

বাংলাদেশের মোবাইল কোন জেনারেশনের? থ্রিজি হচ্ছে এই মোবাইল নেটওয়ার্কের ‘থার্ড জেনারেশন মোবাইল টেলিকমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক’। বাংলাদেশে আমরা ২০১০ সালেও যে ধরনের মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করেছি, একে অন্তত দশ বছর আগের ২.৫জি/(জিপিআরএস) বা ২.৭৫জি/(এজ-ঊউএঊ) নেটওয়ার্ক দাবি করা হয়। সহজে নেটওয়ার্কের এই আপগ্রেডেশনকে এভাবে দেখা যায়, শুরুতে ২জি, ২.৫জি, ২.৭৫জি। এজ-ঊউএঊ নেটওয়ার্ক আপগ্রেড করে থ্রিজি মোবাইল নেটওয়ার্ক স্থাপন করলে মৌলিক যে সুবিধাটি পাওয়া যায়, তাহলো স্বল্পমূল্যে/গণতান্ত্রিক মূল্যে দেশের সব মানুষকে সমান সুবিধা দিয়ে যে কোনো অবস্থানে যে কোনো নাগরিক হাইস্পিড এবং ম্যাসডাটা ট্রান্সপোর্ট করার সক্ষমতা অর্জন করবে। এটা জনগণের অধিকার, যোগাযোগের জন্য তরঙ্গের ওপর থাকা মানুষের জন্মগত ও সাংবিধানিক অধিকার।

থ্রিজি নেটওয়ার্ক আপগ্রেড করলে একদিকে যেমন বর্তমান মোবাইল অপারেটরগুলো তাদের সিম ব্যবহারকারীদের নিজেদের এবং অন্যের নেটওয়ার্কে সম্ভাব্য দেড় গুণ মূল্যে ভিডিও কল করার সুবিধা দিতে পারবে, একইসঙ্গে একই সিমে ও লোকেশনে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট কানেক্টিভিটি দিতে পারবে। আজকাল স্যাটেলাইট টেলিভিশনে ভারতে সম্প্রতি দেয়া থ্রিজির একটি বিজ্ঞাপন বলছে, ‘আব কাছুয়া কি চাল ছোর’ ২১.৬ এমবিপিএস । ২১.৬ এমবিপিএস! তাহলে থ্রিজিকে ইউনিভার্সাল ব্রডব্যান্ড অবকাঠামোও বলা যেতে পারে। দেশে দেশে থ্রিজি ১৯৭৯ সালে জাপানে ১জি প্রথম প্রজন্মের মোবাইল নেটওয়ার্ক স্থাপনের মাধ্যমে জেনারেশন প্রযুক্তির যাত্রা শুরু। এরপর ২০০১ সালের মে মাসে জাপান সরকার প্রথম সে দেশে এই ২.৫/২.৭৫ জি মোবাইল নেটওয়ার্ক আপগ্রেড করে থ্রিজি মোবাইল নেটওয়ার্ক স্থাপন করার অনুমতি দেয়।

পরবর্তী দু-তিন বছরের মধ্যেই ধনী দেশগুলোর সরকারের কাছ থেকে মোবাইল অপারেটররা তাদের নেটওয়ার্ক আপগ্রেড করার অনুমতি লাভ করে, যা ২০০৬ থেকে ২০০৭ সালে এসে ৩.৫ জি বা ইউনিভার্সাল মোবাইল টেলিকমিউনিকেশন সিস্টেম হাই স্পিড ডাউনলিংক প্যাকেট অ্যাক্সেসে (UMTS HSDPA) আপগ্রেড করেছে বলে অনেকে দাবি করছে। এছাড়া দু-একটি ধনী দেশ/অঞ্চল/শহর এরই মধ্যে ফোরজি নেটওয়ার্ক স্থাপন করেছে বলে শোনা যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রে ৫জি পরীক্ষা করার পরিকল্পনা আছে। শুধু যে ধনী দেশেগুলোতেই মোবাইল নেটওয়ার্কের এই আপগ্রেডেশন হচ্ছে তা-ই নয়, থ্রিজিতে আপগ্রেডেশনের এই অনুমোদন আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশগুলোসহ তৃতীয় বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের সরকার ২০০৮ সালের মধ্যে দিয়ে দিয়েছে। যেমন ৯ জুলাই, ২০০৮ সালে বার্মা; ৬ মে, ২০০৮ সালে ভুটান; মে, ২০০৭ সালে নেপাল, জানুয়ারি, ২০০৮ সালে পাকিস্তান; ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সালে মালদ্বীপ; ৭ মার্চ, ২০০৮ সালে উগান্ডা; জুন, ২০০৬ সালে শ্রীলঙ্কা, ২৮ এপ্রিল, ২০০৯ সালে মঙ্গোলিয়া এবং অক্টোবর, ২০০৯ সালে ভারত এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য।

থ্রিজি ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের ট্রান্সপোর্টের একমাত্র সমাধান থ্রিজি বাংলাদেশের ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের ট্রান্সপোর্টের একমাত্র সমাধান। আর ডিজিটাল বাংলাদেশ বলে যে কথাটা বলা হচ্ছে, তা বলতে গেল প্রথমেই যে প্রশ্নটা আসে, তা হলো ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট। গণ ব্রডব্যান্ড ছাড়া কেউ যদি ডিজিটাল সোনার বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখায়, তবে বুঝতে হবে সে মিথ্যা কথা বলছে। কেননা ডিজিটাল বাংলাদেশে অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থানের পরে ব্রডব্যান্ড হবে জনগণের অন্যতম মৌলিক অধিকার এবং আমাদের বাস্তবতা হলো মোবাইল নেটওয়ার্ক ছাড়া অন্য কোনো নেটওয়ার্কে যে কোনো লোকেশনে ব্রডব্যান্ড দেয়া আগামী প্রায় ১০০ বছরেও অবাস্তব। এই মুহূর্তে ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্কের জন্য পৃথিবীতে সাধারণত তিন ধরনের অবকাঠামো ব্যবহার হচ্ছে—১. অপটিক ফাইবার ক্যাবল; ২. ওয়াইম্যাক্স; ৩. থ্রিজি মোবাইল নেটওয়ার্ক।

এর মধ্যে থ্রিজি/থার্ড জেনারেশন মোবাইল টেলিকমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক যা ভিডিও কলসহ মানুষের দৈনন্দিন জীবনের অনেক ধরনের অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এর মোবাইল ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পরিবহনের ক্ষমতা বাংলাদেশের জন্য আশীর্বাদ হিসেবেই কাজ করবে। ভাসমান স্বপ্ন ওয়াইম্যাক্স!!! বাকি থাকছে আরেকটি ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পরিবহনের মাধ্যম। তা হলো ওয়াইম্যাক্স (Wimax)। কিন্তু আমরা ওয়াইম্যাক্স লাইসেন্স দেয়ার সময়ই কৃষককে সোনার ডিম দেয়া হাঁসের মতো একবারেই জবাই করে সব সোনার ডিম পাওয়ার লোভে পৃথিবীর সর্বোচ্চ মূল্যে লাইসেন্স বিক্রি করে ওয়াইম্যাক্স অবকাঠামো গড়ে ওঠা অঙ্কুরেই ধ্বংস করেছি, যার ফলাফল হিসেবে গত প্রায় তিন বছরেও এই ওয়াইম্যাক্স শুধু ঢাকার মানুষের কাছেই পৌঁছাতে পারছে না।

যেমন এই মুহূর্তে আমি জিপি এজ ব্যবহার করছি। তাহলে এই ব্রডব্যান্ড সুনামগঞ্জের শাল্লায় পৌঁছাতে পুরো একবিংশ শতাব্দী লেগে যাবে! অবশ্য শাল্লার মতো দরিদ্র এলাকায় এর না যাওয়াই ভালো, মোবাইলই তাদের জন্য যথেষ্ট। থ্রিজি লাইসেন্স উন্মুক্ত, আসছে ভিওআইপির লাইসেন্স বিশ্বব্যাংকের দেয়া হিসেবে ইন্টারনেট সংযোগ ১০ শতাংশ বাড়লে, তা দেশের মোট জাতীয় আয় (জিডিপি) বাড়ায় ১ দশমিক ২ শতাংশ। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহার করে ১ শতাংশেরও কম মানুষ, সংখ্যার দিক থেকে ১০ লাখেরও অনেক কম। এর আবার ৯৪ শতাংশই মুঠোফোনের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করে।

সম্প্রতি প্রেস সচিব জানান, মোবাইল অপারেটরদের সোশ্যাল অবলিগেশন ফি ১ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ছাড়া ফ্রিকোয়েন্সির দাম ধরা হয়েছে ১৮০০ ও ৯০০ মেগাহার্টজ ১৫০ কোটি টাকা এবং ৮০০ মেগাহার্টজ ৮০ কোটি টাকা। রাজস্ব ভাগাভাগি ধরা হয়েছে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ। ইউটিলাইজেশন ফ্যাক্টর পুরোপুরি বাদ দেয়া হয়েছে। ভিওআইপির লাইসেন্স দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

প্রথম থ্রিজি চালু করবে টেলিটক বাংলাদেশে থ্রিজি নেটওয়ার্কের শুরুটা করবে রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিযোগাযোগ সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান টেলিটক। ২০০৫ সালে শুরু হওয়া এই সংস্থা এখন পর্যন্ত কোনো বড় সাফল্য দেখাতে পারেনি। তবে থ্রিজি নেটওয়ার্ক চালু হলে টেলিটকের ভাগ্যে পরিবর্তন আসতে পারে। বিশেষ করে এই নেটওয়ার্কের নানা সুবিধা টেলিটকের গ্রাহকসংখ্যা বাড়াতে সহায়ক হবে বলে মনে করা হচ্ছে। থ্রিজি সেবা চালু হলে আমাদের দেশের ব্যবহারকারীরা কথা বলার ক্ষেত্রে, টেলিফোনের ক্ষেত্রে এবং ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে এক নতুন জগতে প্রবেশ করবে।

এ প্রসঙ্গে টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুজিবর রহমান জানান, শুরুতে রাজধানীতে তিন থেকে পাঁচ লাখ গ্রাহককে থ্রিজি সিম দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। এই লক্ষ্যে টেলিটকের নেটওয়ার্ক পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, শুধু থ্রিজির জন্য সারা দেশে ৭০০ বিশেষ বিটিএস স্থাপন করা হবে। এরই মধ্যে রাজধানীর বিটিএসগুলো বসানো হয়েছে। এখন সুইচিংয়ের কাজ চলছে। বর্তমানে টেলিটকের গ্রাহকসংখ্যা প্রায় ১৩ লাখ, জুলাই মাসের পর এই সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণ হবে বলে তারা আশা করছেন।

বাণিজ্যিক কার্যক্রম চালাতে পারবে না টেলিটক প্রথমে বলা হয়েছিল টেলিটক থ্রিজির অনুমতি পেয়েছে। তবে এখন সুর একটু পরিবর্তন হয়েছে। বলা হচ্ছে, টেলিটক ৬ মাসের জন্য থ্রিজি (তৃতীয় প্রজন্ম) সেবাদানের যে অনুমতি পেয়েছে, তা কেবল পরীক্ষামূলক। এই অনুমতিতে কোনোভাবেই তারা বাণিজ্যিকভাবে সেবাটি দিতে পারবে না। এজন্য অবশ্যই লাইসেন্স নিতে হবে রাষ্ট্রীয় এ সেলফোন অপারেটরকে।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। টেলিটকের থ্রিজি সেবা চালু করার কথা রয়েছে আগামী জুলাইয়ে। তবে এ সময়ে বাণিজ্যিকভাবে সেবাটি দিতে পারবে না তারা। এমনকি এজন্য বাণিজ্যিক প্রচারণাও চালানো যাবে না। শিগগিরই এ বিষয়ে বিটিআরসি টেলিটককে নির্দেশনা দেবে বলে জানা গেছে।

বি দ্র: আমার এই লেখাটি আজ ৫ জুন ২০১২ মঙ্গলবার দৈনিক আমারদেশে প্রকাশিত হয়েছে | ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ২১ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.