আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভারতীয় সাহারা গ্রুপ ডেষ্টিনি ও MLM এর মতই জালিয়াতঃ বাংলাদেশের গৃহায়ণ খাতে প্রতারণা ও বিপর্যয়ের আশংকা!

আমি চাই শক্তিশালী স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ Securities and Exchange Board of India [SEBI] ভারতের অন্যতম বৃহৎ গ্রুপ সাহারা গ্রুপের রিয়াল এষ্টেট কোম্পানীকে দিক নির্দেশনা দিয়েছিল যে কিভাবে মানুষের হতে অবৈধ ভাবে সংগ্রহ করা অর্থ ফিরত দিতে হবে। বহু ভারতীয় হতে প্রায় ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার তারা শেয়ার বাজার হতে বিদ্যমান আইন ভঙ্গ করে এই অর্থ সংগ্রহ করা হয়। ২০০৮ সালের এক তথ্য মোতাবেক সাহারা রিয়াল এষ্টেট গ্রুপ গৃহায়ণ খাতে বিনিয়োগের কথা বলে মানুষ হতে অর্থ সংগ্রহ শুরু করে। এই অর্থ সংগ্রহের উদ্যোগকে "স্বেচ্ছায় সম্পূর্ণ রুপান্তরযোগ্য ঋণপত্র" নামে অভিহিত করা হয়। এটা ভারতীয় আইন অনুসারে এই ধরণের উদ্যোগের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ সম্পূর্ণ রুপে বেআইনী।

যখন SEBI কতৃক নিরীহ বিনিয়োগকারীদের হতে এই অবৈধ পদ্ধতিতে অর্থ সংগ্রহ বলে ধরা পরে তখন তারা তা বন্ধ করে দেয়। কিন্তু সাহারা গ্রুপের মাষ্টার মাইন্ড সুব্রত রায় ভারতীয় সুপ্রীম কোর্টে মামলা করেও হেরে যান এবং SEBI এর সিদ্ধান্তই বহাল থাকে। তবুও দমেনি সুব্রত। তার অবৈধ কার্যক্রম অব্যাহত রাখে এবং এই লক্ষ্যে বিভিন্ন পন্থায় সর্বত ভাবে প্রচেষ্টা করতে থাকে। অবশেষে ভারতীয় সুপ্রীম কোর্টের সর্বোচ্চ ও সর্বশেষ বেঞ্চ সুব্রতর আপীল খারিজ করে দেয় ১২ই মে ২০১১তে।

সুব্রত এই ধরণের আইনী লড়াইয়ে হেরে গিয়ে মারাত্নক পরিণতির কথা ভেবে সাহারা রিয়াল এষ্টেটের নাম বদলিয়ে Sahara Community Services Corporation Limited রাখে। ভারতীয় অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা সাহারাকে আমাদের বাংলাদেশের ডেষ্টিনি ও এম.এল.এম এর মতই জালিয়াত হিসেবে অভিহিত করেছে। সাহারাও ডেষ্টিনির মতই বহু ভারতীয় সাধারণ নাগরিকদের হতে বিলিয়ন ডলার অবৈধ ভাবে সংগ্রহ করেছে। ভারতে তাদেরও বহু অবৈধ ব্যাংকিং কোম্পানী আছে আমাদের সমবায় সমিতির মত। ভারতে এই ধরণের জালিয়াতির পর বাংলাদেশের বিশেষ পরিবারের সহায়তায় এদেশের ব্যাবসায় তথা গৃহায়ণ খাতে ঢুকেছে।

সুব্রত ইতিমধ্যে বাংলাদেশ ভ্রমণ করে স্যাটেলাইট শহড় বানানোর জন্য সরকার হতে খালি জমি লিজ নিতে চাচ্ছে। সাহারার বাংলাদেশে এই প্রকল্পের নাম মাতৃভূমি উন্নয়ন। আশংকা যে সুব্রত এখানেও প্রতারণা ও ঘৃণ্য কুটচালের মাধ্যমে বাংলাদেশীদের কাছ থেকে বিলিয়ন ডলার নিয়ে সটকে পরবে যা ঠিক এম.এল.এম কোম্পানীর মতই। বাংলাদেশের একটি শীর্ষস্থানীয় রিয়াল এষ্টেটের সিইও জানান ''সুব্রত বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে আসেন নি বরং অর্থ ও সম্পদ লুট করতে এসেছেন''। সুব্রতর আশা দেওয়া এপার্টমেন্ট, প্লট ও তথাকথিত স্যাটেলাইট শহড় প্রতারণা ছাড়া ভিন্ন কিছু নয়।

সুব্রতরা আন্তর্জাতিক ভাবে অর্থ লুটেরা ও প্রতারক এদেরকে দেশের নিরীহ মানুষকে বোকা বানানোর প্রচেষ্টা অবশ্যই রুখতে হবে। Click This Link *************************** ১৯৯৬ সালে সালমান দরবেশ ভারতীয় শেয়ার বাজারের মাফিয়া হর্ষদ মেহেতার সাথে জোট বেধেছিল। আর এবার ২০১২ সালে শেখ সেলিম পুত্র আরেক ভারতীয় মাফিয়া সুব্রত রায়কে নিয়ে আসতে চাচ্ছে। কার ক্ষমতা আছে এদের রুখার?  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.