কম্প্রমাইজ প্রথম ধাপ দুর্নীতির। তাই নো কম্প্রমাইজ। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত লড়াই। আজন্ম যোদ্ধা সংসপ্তক আমি।
রাশেদ রিপন - জানুয়ারি ২১, ২০১২, শনিবার
বিএসএফ এর এই অমানবিক নির্যাতন ভারতীয় গণতন্ত্রের জন্য একটি লজ্জার নজির হয়ে থাকল।
আমরা বুঝতে পারছি না ওই বিএসএফ সদস্যদের বিরুদ্ধে কেন ফৌজদারি মামলা হলো না। কেন তাদের এখনো গ্রেফতার করা হলো না। এটা পরিষ্কার বিএসএফ কর্তৃপক্ষর ভারতীয় বিচার প্রক্রিয়ার প্রতি কোনো সম্মানবোধ নেই। তারা প্রতিবারই প্রকৃত অপরাধীদের রক্ষা করার চেষ্টা করে। এবারও কতৃপক্ষ বিওপি ক্যাম্প ইনচার্জ, কোম্পানি কমা-ার অথবা ব্যাটালিয়ান কমান্ডারের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয় নি।
এভাবেই নিজের ক্ষোভের কথা জানালেন ভারতীয় মানবাধিকার কর্মী কিরিটি রায়। রাজশাহীর কাতলামারি সীমান্তে গরুর রাখাল হাবিবুরকে নির্মম নির্যাতন ও সারাবিশ্বে এর ধারণকৃত দৃশ্য প্রচারের প্রেক্ষিতে তার প্রতিক্রিয়া এবং তার সংগঠনের আগামীর কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চাইলে
ই-মেইলে এমন প্রতিক্রিয়া জানান তিনি।
বাংলার মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চ (মাসুম) এর সাধারণ সম্পাদক ও প্রোগ্রাম এগেন্সট কাস্টোডিয়াল টর্চার অ্যান্ড ইমপ্যাথির জাতীয় সমন্বয়ক কিরিটি রায় আরো বলেন, তারা ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে উভয় দেশের মানুষের ওপর বিএসএফ এর নির্যাতন প্রতিরোধে জনমত তৈরি করছেন। দয়িত্বশীলদের তারা দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন। তার কথায়, এটি আসলে কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়।
বিএসএফ এর অব্যাহত নির্যাতন ধারার একটি মাত্র ঘটনা। এ ঘটনাটি ব্যতিক্রম এ কারণে এটির প্রত্যক্ষ প্রমাণ পাওয়া গেছে। এর মাধ্যমে তাদের দীর্ঘদিনের অভিযোগ প্রমাণিত হলো। এটি কোনো ব্যাক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ নয়। একটি নিয়মিত বাহিনীর সদস্যরা কীভাবে ভারতের আইন ও বিচার ব্যবস্থাকে অবজ্ঞা করছে তার প্রমাণ।
বাংলাদেশÑভারত সীমান্তে বিএসএফ এর অমানবিক আচরণ নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নেয়ার গুরুত্বপূর্ণ সময়। এখনই বিভিন্ন সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে।
বাংলার মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চ (মাসুম) বিএসএফ এর ডিরেক্টর জেনারেলের বক্তব্যকে স্বাগত জানায়। তিনি এ ধরনের অপরাধের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্সের কথা বলেছেন। তিনি সীমান্তে প্রাণসংহারি অস্ত্রের ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞার কথা বলেছেন।
আমাদের দাবি দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার ক্ষেত্রে কিছু বিষয়ে নজর দেয়া হোক। তার মধ্যে রয়েছে হাবিবুরকে নির্যাতনের সময় সে বিএসএফ এর জিম্মায় ছিল। সে পালানোর চেষ্টা করে নি। তারা তাকে নগ্ন করে নির্যাতন করে। তাকে পেছন মোড়া করে বাঁধে।
বাঁধা দুই হাতের মধ্যে লাঠি ঢুকিয়ে নির্যাতন করা হয়। এ সময় হাবিব মুক্তির জন্য আকুতি জানায়। বিএসএফ জোয়ানরা তার ওপর নিঃশঙ্ক চিত্তে নির্যাতন চালায়।
উল্লেখ্য গত বছরের ১২ এপ্রিল বিএসএফ আলমগীর হোসেন কালু (৩০) নামের এক ভারতীয় নাগরিককে রাজশাহীর সোনাইকান্দি সীমান্তে গুলি করে মারে। তাকে বাংলাদেশ সীমান্তে ফেলে যায়।
পরে তারা কালুর লাশ গ্রহণে অস্বীকার করে। ভারত বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পর্যায়ে আলোচনা চলে। কোনো সুরাহা না হওয়ায় মাসুমের পক্ষে কিরিটি রায় কলকাতা হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। হাইকোর্টের নির্দেশে বিএসএফ মৃত্যুর ১০১ দিন পর কালুর লাশ গ্রহণ করে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।