টুকলিফাই মারাই আমাদের কাজ, চুরা ছেঁচা দেয়াই আমাদের লক্ষ্য।
শনিবার সকালে নাহার প্লাজার পাশের রাস্তায় মানুষের একটি কাটা পা দেখে, পা'টি কোথা থেকে এলো কিভাবে এলো তা খুজতে, পাশে ৫ তলা ভবনেরর ছাদে আরেকটি পা, দুইটি হাত, মাথা সহ মরদেহের টুকরোগুলো ছড়ানো ছিটানো অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। পরে নাহার ভবনের স্কাইভিয়ূ আবাসিক হোটেলের তেরতলার একটি কক্ষ থেকে হত্যায় ব্যবহৃত বটি ও মেয়েটির কাপড় উদ্ধার করা হয়, যানা যায় গতরাতে খোকন নামের এক লোক মেয়েটিকে হোটেলে নিয়ে এসেছিল। পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায় নি, পুলিশ বলছে, জামা কাপড় দেখে গরীব মনে হয়, স্রেফ যৌন একটা অপকর্ম মূলক কাজের পথ ধরে ঘটনাটি ঘটে।
মানুষ না কচু, কাট সব কাইট্টালা।
* গ্রেপ্তারের পর বালু ব্যবসায়ী মোঃ মামুন ভূঁইয়াকে পরানো হয় হাতকড়া। তোলা হয় পুলিশের গাড়িতে, গাড়ি চলতে থাকে থানার উদ্দেশ্যে, পথে পুলিশ আটক মামুনকে তুলে দেয় তার শত্রু সন্ত্রাসীদের হাতে। পুলিশের উপস্থিতিতেই মামুনকে আট দশজন সন্ত্রাসী ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে, হাতে হ্যাডকাপ পরা অবস্থায় সন্ত্রাসীদের আঘাত থেকে পালানোর চেষ্টা করলে, পুলিশ মামুন কে লাথি দিয়ে হিস্র সন্ত্রাসীদের সামনে ফেলে দেয়, মামুন বাঁচার শেষ চেষ্টা হিসেবে পুলিশ সদস্যদের পা জড়িয়ে ধরে প্রাণ ভিক্ষা চাইলে, পুলিশ আবার লাথি দিয়ে ফেলে দেয়। সন্ত্রাসীরা হত্যা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আঘাত করে চলে। পুলিশ মৃত্যু নিশ্চত দেখে হ্যাডকাপ খুলে দেয়, অতপর গল্পটি পরিকল্পনা অনুযায় বাস্তবায়ন করে।
হাতকড়া খুলে লাশ সেখানেই ফেলে রাখে পুলিশ।
*সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবি এমইউ আহাম্মেদকে পুলিশ পিটিয়ে মেরেফেলেছে।
*বন্দুকযুদ্ধের ঘটনাটি র্যাবের সাজানো। এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। নরসিংদীতে নিহত ছয় জনের স্বজনরা ইতোমধ্যে দাবি করেছেন, সোমবার ‘বন্দুকযুদ্ধ’ হয়নি, তা ছিল পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।
*ডিবির পরিচয় দিয়ে না সত্যিকার ডিবি কর্মকর্তা বাস থেকে ধরে নিয়ে স্কুল শিক্ষিকাকে ধর্ষণ করেছে।
*তারা জানান, যত্রতত্র লাশ পড়ে থাকে। এগুলো মাটিচাপা দেয়া হয়। অনেক সময় টোকাইরা পশুর হাড় মনে করে বিক্রির জন্য মানুষের হাড় কুড়িয়ে নিয়ে যায়।
*মাঝে-মধ্যেই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে তরুণ-যুবকদের ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
এদের কারও লাশ পাওয়া যাচ্ছে, কেউ বা নিখোঁজই থেকে যাচ্ছে।
*তিনজনেরই হাত-পা গামছা দিয়ে বাঁধা ছিল। তিনজনকেই গুলি করে হত্যা করা হয়।
*লাশ পাওয়া যাচ্ছে নদী, খাল, ডোবায়। মুন্সীগঞ্জের ধলেশ্বরী নদী থেকে গত মঙ্গলবার তিন জনের পচা লাশ পাওয়া যায়।
*ওয়ালিউল্লাহর পরিবার এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে যে, তাদের ছেলেদের আইনশৃক্মখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অপহরণ করেছে। কিন্তু' র্যাব বাংলাদেশের পত্রিকায় বিবৃতি দিয়ে এই দুইজনকে আটকের অভিযোগ অস্বীকার করে।
*রাজনৈতিক কারণে বেশির ভাগ গুমের ঘটনা ঘটে। আন্তর্জাতিক ইন্টেলিজেন্স সংস্থাগুলোও এতে জড়িত।
*বাসটির কাছে ছোট একটি গাড়ি এসে থামে এবং সেটি থেকে ইউনিফর্ম পরিহিত সাত-আট ব্যক্তি নেমে আসেন।
তারা নিজেদের আইনপ্রয়োগকারী বিশেষ বাহিনী র্যাব ও ডিবির সদস্য বলে পরিচয় দেন।
*আগে ড্রেস পরে নিয়ে গেছে, বিচারবহির্ভূত কিলিং হয়েছে, ক্রস ফায়ার হয়েছে। এখন অন্য ধরনের কিলিং হচ্ছে। তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় বিএনপির যশোর জেলার একজন নেতাসহ মোট চারজনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে।
*ওই স্থানের মাটি তোলার পর ওই যুবকের হাড়, জিন্সের প্যান্ট ও গেঞ্জি বেরিয়ে আসে।
*শামীমের স্ত্রী ঝর্ণা খানম বলেন, ‘আমরা তো অনেক দৌড়ালাম। শামীম বেঁচে আছে না মরে গেছে, এখন আমরা শুধু সেই তথ্যটা জানতে চাই। কিন্তু আমাদের মামলার কোনো গুরুত্বই নেই।
*বিরুলিয়ার বাসিন্দারা জানান, এর আগেও সেখানে এক যুবকের লাশ সিমেন্টের বস্তার সঙ্গে বাঁধা অবস্থায় পাওয়া গেছে। অজ্ঞাত ওই লাশের হাত পেছনে বাঁধা ছিল।
*মোহাম্মদপুর থানার কাছে সাদা পোশাকধারী লোকেরা তার গাড়ির গতিরোধ করেন। বন্দী করে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় অজ্ঞাত স্থানে। গাড়ির ভেতরের ‘বন্দিদশা' থেকে নাজমুল এক সহকর্মীকে শুধুই বলতে পারেন, ‘ভাই, আমাকে তো ধরে নিয়ে যাচ্ছে। ' আর কোনো কথা বলতে পারেননি। উদ্ধারের জন্য তাৎক্ষণিকভাবে তার স্ত্রী ও অন্যরা থানা-পুলিশ র্যাবের কাছে যান।
অসহায় পরিবারটির বুক ফাটা কান্নায় মন গলেনি তাদের। রাত না পোহালে কিছুই করার নেই বলে সাফ জানিয়ে দেয় তারা। রাত পোহানোর পর নাজমুলের মৃতদেহ মেলে গাজীপুর চৌরাস্তার অদূরে।
*বেশ কিছুক্ষণ তল্লাশির পর পাওয়া গেলো একটি নতুন মাটি খোঁড়া গর্তের ঠিকানা। গর্ত খুঁড়তেই বেরিয়ে এলো প্রায় অর্ধগলিত বিকৃত এক তরুণের মৃতদেহ।
*আইনি জটিলতার আশঙ্কায় এসব লাশ দেখেও পুলিশকে খবর দেয় না স্থানীয় বাসিন্দারা। কোনো কোনো ক্ষেত্রে পুলিশকে জানিয়ে কোনো লাভ না হওয়ায় স্থানীয়রা লাশ মাটিতে পুঁতে রেখেছে।
*রাতে হাওয়া হয়ে যাচ্ছে মানুষ। একবার কেউ নিখোঁজ হলে তাকে আর পাওয়া যাচ্ছে না।
*রিপোর্টে দেখা যায়, বেড়িবাঁধের একটি ব্রিজের নিচে অনেক দিন ধরে ভেসে আছে অজ্ঞাত পরিচয় একটি লাশ।
স্থানীয়রা বাঁশ দিয়ে কচুরিপনা সরিয়ে লাশ দেখান। অনেক দিন পানিতে ভাসতে থাকায় লাশে পচন ধরেছে।
*র্যাবের পোশাকে, পুলিশের পোশাকে কিংবা সাদা পোশাকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে। পরিবারের পক্ষ থেকে ওই সব সংস্থার সাথে যোগাযোগ করলে বলা হচ্ছে তারা এমন কাউকে ধরেনি কিংবা এ ধরনের ঘটনা সম্পর্কে তারা জানে না। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে এসব ঘটনায়।
*বিচারবহির্ভূত হত্যা বা গুমের অনেক ঘটনার জন্য দায়ী করা হয় অভিজাত বাহিনী র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন বা র্যাবকে। এ পর্যন্ত প্রায় এক হাজার ৬০০ বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা নথিবদ্ধ করেছে মানবাধিকার সংস্থাগুলো। সংস্থাগুলোর মতে, নিখোঁজ হয়ে যাওয়া, তথাকথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মৃত্যু এবং নিরাপত্তা হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনা আছে এর মধ্যে। অনেক ক্ষেত্রে কাউকে গুলি করে হত্যার পর বন্দুকযুদ্ধের গল্প ফাঁদা হচ্ছে।
*পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী সারাদেশে গত দেড় মাসে খুনের ঘটনা ঘটেছে ৪৬৫টি।
এর মধ্যে ৩৩৬টি খুনের ঘটনা ঘটেছে জানুয়ারি মাসে। ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম ১৩ দিনে খুন হয়েছে ১২৯টি, ধর্ষণ ৪২টি। এর মধ্যে আইনশৃক্মখলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে খুন হয়েছে ১০ জন। গড়ে প্রতিদিন প্রায় ১০ জন করে খুন হচ্ছে।
*সংসদ ভবন চত্বরে এমপি হোস্টেলের তিনতলায় কয়েক দিন ধরেই লাশটা পড়ে ছিল।
যখন উৎকট গন্ধ বের হতে থাকল, তখনই বিষয়টি ধরা পড়ল। গতকাল রোববার বিকেলে এমপি হোস্টেলের ৬ নম্বর ব্লক থেকে অজ্ঞাতনামা এক নারীর হাত বাঁধা অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
অপমৃত্যু, গুম, হত্যা, ক্রসফায়ার, দুর্ঘটনায় দশ পনের জনের মৃত্যুর খবর আজ প্রতিদিনের ব্যাপার। অজ পাড়া গা থেকে শুরু করে রাজধানীর সুরক্ষিত বাসা থেকে আইনশৃংখলা বাহিনীর পরিচয় দিয়ে তুলে নিয়ে গিয়ে বেমালুম অস্বীকার করা হচ্ছে। কি ভিষন ভয়ংকর ব্যাপার।
নাগরীকের নিরাপত্তার এরকম ভয়াবহ অবস্থা কোন গৃহযুদ্ধরত রাষ্ট্রেও গ্রহন যোগ্য না। বাতাসে কানপাতলে শোনা যায় আজম, আনসার, নাজমুল, করিম, শামীম, ইসমাইল, মাসুম, জসীমউদ্দীন, কালাম, বাশার, রহিম, ইস্রাফিল, সারোয়ার, আকতার, নূর মোহাম্মদ, আবদুল মান্নান, ইকবাল, জুয়েল, রাজীব, মিজানুর, সজল, ইমরান, মুকাদ্দাস, ওয়ালিউল্লাহ, সোহাগ, রফিকুল সহ আরও নাম না জানা অসংখ্য গুমের প্রেতাত্মাদের নিরবে, নিশব্দে এই নিষ্ঠুর পশুর সমাজকে অভিশাপ দিয়ে যাওয়ার আর্তচিৎকার। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।