তুমি যদি প্রতিটি দিন এটা ভেবে পার কর যে আজই তোমার জীবনের শেষ দিন, তাহলে একদিন তুমি সত্যি সঠিক হবে। সৌদি আরবে দীর্ঘদিন ধরে পরিত্যক্ত একটি পুরোনো হাসপাতালে নাকি জিনের আছর পড়েছে। এ নিয়ে রাজধানী রিয়াদে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে। জিনের খোঁজে ওই হাসপাতালে হানা দিয়েছে শত শত তরুণ।
রিয়াদে অবস্থিত কথিত ভূতুড়ে হাসপাতালটির নাম ইরকা হসপিটাল।
১৯৯১ সালে উপসাগরীয় যুদ্ধে হতাহত সেনাদের নিয়ে আসা হতো ওই হাসপাতালে। সেখানে জিনের উপদ্রব আছে—এমন গুজব ছড়িয়ে পড়ার পর শত শত তরুণ হাসপাতালে ঢুকে ভাঙচুর চালায় ও আগুন ধরিয়ে দেয়।
গত সপ্তাহে স্থানীয় ‘ওকাজ’ পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে বলা হয়, ‘হাসপাতালে জিন রয়েছে উল্লেখ করে ওই জিনের ওপর হামলা চালানোর আহ্বান জানিয়ে তরুণেরা পরস্পরকে খুদে বার্তা পাঠায়। এরপর তারা ওই হাসপাতালে গিয়ে দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। সেখানকার দরজা-জানালা ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি ভাঙচুর করে তরুণেরা।
আগুন ধরিয়ে মালামালের প্রায় ৬০ শতাংশ পুড়িয়ে ফেলে। ’
ক্ষুব্ধ তরুণদের অভিযোগ, কর্তৃপক্ষের মেরামতের অভাবে এমন বেহাল দশা হয়েছে হাসপাতালটির। এদিকে হাসপাতালের পরিত্যক্ত কক্ষগুলোতে অশরীরী কিছুর অস্তিত্ব প্রমাণে অনুসন্ধানরত তরুণদের ধারণ করা কয়েকটি ভিডিওচিত্র ইউটিউবে আপলোড করা হয়েছে। যেখানে তরুণদের দাঁত বের করে হাসতে দেখা যায়। এ রকম এক ভিডিওচিত্রে একটি গাছে আগুন জ্বলতে দেখা যায়।
জিন শিকারিরাই গাছটিতে আগুন লাগিয়েছে।
এই জিন-জ্বর এমন অবস্থায় পৌঁছেছে যে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ও গত সোমবার দ্রুত এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতি প্রকাশ করে। যেখানে তারা জীর্ণ হাসপাতালটির দায়দায়িত্ব নিতে অপারগতা প্রকাশ করে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, হাসপাতালটি ব্যক্তি মালিকানাধীন। এটি এত জরাজীর্ণ যে পুনরায় চালু করা কঠিন।
ইংরেজি দৈনিক ‘সৌদি গেজেট’-এর একজন কলাম লেখক গত মঙ্গলবার জিনদের বিষয়ে একটি কমিটি গঠন করে হাসপাতাল ভবনটির মালিকদের সহযোগিতা চেয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেন। এতে বলা হয়, ‘এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে জিন-বিষয়ক এই কাণ্ড-কারখানায় আমরা হাঁপিয়ে উঠেছি। ’ ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।