আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অক্টাভিও পাজ'র কবিতা - আমাকে শোনো যেভাবে কেউ বৃষ্টিকে শোনে (অনুবাদ)

ঘর! ফেরা হয়নি আমার ঘর! আমাকে শোনো যেভাবে কেউ বৃষ্টিকে শোনে, মন দিয়ে নয়, দিশেহারা হয়ে নয়, ছোট ছোট পায়চারী, ধারহীন বৃষ্টি, যে জল বাতাস, যে বাতাস সময়, দিন যা ছুটছে এখনও, রাত যা আসতে বাকী, কুয়াশার গড়নগুলো যেখানে ঘুড়ে গেছে বাঁকটা, সময়ের শরীরগুলো নেমে গেছে ঢাল বেয়ে, আমাকে শোনো যেভাবে কেউ বৃষ্টিকে শোনে, না শুনেই বুঝে নাও যা বলতে চাইছি চোখ উন্মুক্ত, ঘুমন্ত পাঁচ ইন্দ্রিয় জাগিয়ে রেখে, বৃষ্টি হচ্ছে, ছোট ছোট পায়চারী, ধ্বনিদের ফিসফাস, বাতাস আর জল, তুলোর মত শব্দগুলোঃ কি আমরা, কি এই দিন আর বছরগুলো, এই মুহূর্ত, তুলোর মত সময় আর বিদীর্ণ দুঃখ, আমাকে শোনো যেভাবে কেউ বৃষ্টিকে শোনে, জ্বলছে ধোঁয়া পিচ, উড়ছে বাষ্প আর সরে যাচ্ছে দূরে, রাত তার ভাঁজ খোলে আর আমার দিকে তাকায়, তুমি আসলে তুমি আর তোমার বাষ্পের শরীর, তুমি আর তোমার রাতের মুখ, তুমি আর তোমার চুল, নীরব বজ্রপাত, তুমি পার হও রাস্তা আর প্রবেশ করো আমার কপালে, জলের পায়চারী আমার চোখজুড়ে, আমাকে শোনো যেভাবে কেউ বৃষ্টিকে শোনে, জ্বলছে ধোঁয়া পিচ, তুমি পার হও রাস্তা, এইসব কুয়াশা, বিহবল হওয়া রাত, এইসব রাত, তোমার বিছানায় ঘুমিয়ে, এইসব তরঙ্গ, তোমার নিঃশ্বাসে ফুঁসছে, তোমার জলের আঙুল আমার কপাল ভেজায়, তোমার আগুনের আঙুল আমার চোখ পোড়ায়, তোমার বাতাসের আঙুল খোলে সময়ের চোখজোড়া, স্বপ্ন ও পুনর্জাগরনের বইছে স্রোত, আমাকে শোনো যেভাবে কেউ বৃষ্টিকে শোনে, বছর গড়ায়, ফিরে আসে মুহুর্ত, পাশের ঘড় থেকে শোনা যায় কি পায়চারী আর? এখানে নয়, ওখানেও নাঃ তুমি শোনো তাদের অন্য এক সময়ে যা আসলে এখন, শোনো সময়ের পায়চারী, তুলোর মত স্থানগুলো সৃষ্টি যার, কোথাও নেই, শোনো কিভাবে বৃষ্টি গড়াচ্ছে টেরেসে, এই রাত যেন পরিপূর্ন এক রাত বনের পথে, বজ্রেরা বাসা বেঁধেছে পাতার আবডালে, অস্থির এক অরন্য লাগামহীন ছুটছে, কবিতার পাতা তোমার ছায়ায় ঢাকা পড়ছে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।