যুক্তরাষ্ট্রের গুপ্তচরবৃত্তির খবর ফাঁস করে সাড়া জাগানো অ্যাডওয়ার্ড স্নোডেন আজ রোববার হংকং থেকে বিমানযোগে মস্কোতে পৌঁছেছেন। বিবিসি বলছে, বিশেষজ্ঞদের ধারণা স্নোডেন মস্কোতে থেকে যাবেন এমন সম্ভাবনা কম। তিনি সম্ভবত কিউবা হয়ে ভেনেজুয়েলা বা ইকুয়েডরে যাওয়ার চেষ্টা করবেন।
যুক্তরাষ্ট্র চাইছিল হংকং সরকার স্নোডেনকে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দিক। কিন্তু হংকং জানিয়েছে, এ কাজের জন্য প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণে ওয়াশিংটন ব্যর্থ হওয়ায় তাদের বিকল্প চিন্তা করতে হয়েছে।
ইন্টারনেটে যুক্তরাষ্ট্রের গোপন গুপ্তচরবৃত্তির বৃত্তান্ত ফাঁস করে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ ও একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সাবেক কর্মী স্নোডেন গত মে মাসে হংকংয়ে পালিয়ে যান। এর আগে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই অঙ্গরাজ্যে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানে সিস্টেম এনালাইজার হিসেবে কাজ করতেন।
বিবিসি বলছে, রুশ ফেডারেশনের আকাশসেবা প্রদানকারী সংস্থা অ্যারোফ্লটের একটি বিমানে স্নোডেন মস্কোর সেরিমেিজভা বিমান বন্দরে পৌঁছান স্থানীয় সময় বিকাল ৫টা ১০ মিনিটে।
রুশ গণমাধ্যমগুলো বলছে, একটি ভেনেজুয়েলীয় বা ইকুয়েডরীয় দূতাবাসের গাড়িতে করে তিনি বিমান বন্দর থেকে বেরিয়ে যান।
অ্যারোফ্লটের এক কর্মকর্তা নাম গোপনের শর্তে বলেছেন, স্নোডেন সম্ভবত কিউবায় যাবেন।
সেখান থেকে তিনি ভেনেজুয়েলাতেও যেতে পারেন। এ দুটি দেশের কোনোটির সঙ্গেই যুক্তরাষ্ট্রে বন্দিবিনিময় চুক্তি নেই।
উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ এখন লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাসে আশ্রিত। দেশটি গত বছর তাঁকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেয়। উইকিলিকসের এক বিবৃতিতে আজ বলা হয়েছে, স্নোডেনকে ‘একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয়’ পাইয়ে দিতে তারা সহায়তা করবে।
বিবিসি বলছে, যুক্তরাষ্ট্র স্নোডেনের বিচার করার যে চেষ্টা করছে, তিনি হংকং থেকে বেরিয়ে যাওয়াতে ওই প্রচেষ্টা ভণ্ডুল হয়ে যেতে বসেছে।
স্নোডেনকে দেশে ফেরাতে হোয়াইট হাউস গতকাল শনিবার হংকংয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। কিন্তু হংকং কর্তৃপক্ষ আজ রোববার এক বিবৃতিতে বলেছে, ওয়াশিংটন তাঁদের কাছে যে নথিপত্র জমা দিয়েছে, সেগুলো ‘হংকংয়ের আইনানুসারে অপ্রতুল। ’ এ কারণে হংকং যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে আরও কিছু তথ্য সরবরাহের অনুরোধ করেছে।
ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘যেহেতু জনাব স্নোডেনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির জন্য হংকং সরকার এখনো প্রয়োজনীয় তথ্য পায়নি, তাই তাঁর হংকং ছেড়ে যাওয়ার ওপরেও আইনগত কোনো বাধা নেই।
’।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।