ধর্ম যার যার , বাংলাদেশ সবার ফকিরহাট উপজেলার লকপুরে অবস্থিত এপিসি ফার্সসিটিক্যাল লিঃ নামে একটি ঔষধ কোম্পনীতে দুস্কৃতকারীদের হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। জানা গেছে, বিএম এর সহ-সভাপতি, খুলনা ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আহবায়ক, জেলা আ’লীগ নেতা এপিসি ফার্সসিটিক্যাল পরিচালক ডাঃ বাহারুল আলমের এপিসি ফার্সসিটিক্যাল লিঃ-এ ১১ এপ্রিল রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টার সময় একদল মুখোশধারী সন্ত্রাসীরা প্রবেশ করে। সন্ত্রাসীরা প্রথমে গেটের দারোয়ান মোঃ মিজানুর রহমান কে সাইকেল রাখার ঘরের খুটির সাথে রশি দিয়ে বেধে রাখে। এরপর কোম্পানীতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটায়। আগুনের লেলিহান শিখা মুহুর্তের মধ্যে কোম্পনীর ভেতর কয়েকটি ঘর গ্রাস করে।

খবর পেয়ে ফায়ার ঘটনাস্থলে এসে আগুন নেভাতে সক্ষম হলেও ততক্ষনে কোম্পনীর গান পাওডার সহ বিভিন্ন ঔষধ, ক্যামিক্যাল অন্যান্য জিনিসপত্র পুড়ে ভস্মিভূত হয়ে যায়। এতে প্রায় ১০ কোটি টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে ভুক্তভোগী জানান। এ ব্যাপারে ১২ এপ্রিল ফার্মাসিটিক্যাল এর ম্যানেজার আলী আজম বাদী হয়ে ফকিরহাট থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেন। এদিকে কোম্পানী পরিচালক ডাঃ বাহারুল জানান, ঘটনাটি জামায়াত-শিবির ঘটিয়েছে। সম্প্রতি তিনি জংগীবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী কমিটির আহবায়ক নির্বাচিত হওয়ার কারনে জামায়াত-শিবিরের লোকজন তাকে নানা হুমকির মধ্যে রেখেছিলেন।

তাকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান। এ ব্যাপারে ফকিরহাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাসুদুল জানান, ঘটনাটির মামলার প্রস্তুতি চলছে। আমরা এখনও পর্যন্ত বলতে পারছি না আসলে ঘটনাটি কে বা কারা ঘটিয়েছে। আমরা তদন্ত সাপেক্ষে এর আসল রহস্য বের করব এবং অবিলম্বে আসামীদের আটকের জোর চেষ্টা চালাবো। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. ফায়েকুজ্জামান, বাগেরহাট জেলা পরিষদের প্রশাসক মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামরুজ্জামান টুকু, ডিআইজি মোঃ দিদার আহম্মেদ, বাগেরহাট জেলা পুলিশ সুপার খন্দকার রফিকুল ইসলাম, ফকিরহাট থানা অফিসার ইনর্চাজ (সার্বিক) মোঃ মাসুদুল আলম সহ বিভিন্ন প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতা-কর্মীগন।

।