গত কিছুদিন যাবৎ চট্টগ্রাম বন্দরে একের পর এক কন্টেইনার আটক হচ্ছে। সন্দেহ করা হচ্ছে এ সব কন্টেইনারে ডিক্লারেশন অনুযায়ী পণ্য আসেনি। আসলে প্রকৃত ঘটনাটি কি তা আমরা জানি না। চট্টগ্রাম বন্দরে ডিক্লারেশন অনুযায়ী পণ্য খুবই কম আসে। একজন আমদানীকারক যখন পণ্য আমদানী করে তখন সে মিথ্যা ডিক্লারেশন প্রদান করে পণ্য আমদানি করে ।
এতে করে তার অনেক ট্যারিফ বেচেঁ যায়। কারন মনে করুন আপনি আনছেন কেমিক্যাল অথচ ডিক্লারেশন দিচ্ছেন অন্য কোন কিছুর যার ট্যারিফ কেমিক্যালের থেকে অনেক কম। এভাবেই আমদানিকারকরা বিশাল ট্যারিফ ফাকিঁ দেয় এবং দেশের বারোটা বাজায়। সরকার কাষ্টমস্ কর্তৃপক্ষকে বসিয়ে রেখেছে এসব অনিয়ম বা দুনীর্তি ধরার জন্য । কিন্তু কাষ্টমস্ কর্মকর্তারা এসব আমদানিকারক থেকে ঘুষ খেয়ে তাদের পন্য বন্দরের বাইরে বের করে দিচ্ছে।
এক চট্টগ্রাম পোর্ট যদি সঠিক নিয়মে চলতো তাহলে বাংলাদেশের অভাব অনেক কমে যেত। জানিনা ব্যাপারটা আপনাদের বিশ্বাস হবে কিনা? কিন্তু যারা চট্টগ্রামে বাস করে তাদের কিছুটা হলেও ধারনা থাকার কথা। কিন্তু এভাবে আর কতদিন চলবে? কতদিন সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আমদানিকারকরা বিপুল বিত্ত বৈভবের মালিক হবে এবং কতিপয় কাষ্টমস্ কর্মকর্তারা অবৈধ টাকার পাহাড় গড়বে? কিছুদিন আগেও বন্দরে কয়েক কন্টেইনার বিদেশী মদ ও বিদেশী সিগারেট ধরা পড়ে। ডিক্লারেশন দিচ্ছে বৈধ পণ্যের আনছে অবৈধ পণ্য। গার্মেন্টস্ পন্য আমদানির ঘোষণা দিয়ে আনছে বিদেশী মুদ্রা।
সরকার এভাবে দেশেও না দেখার ভান করলে এসব দুণীর্তিবাজ আমদানিকারক ও কাষ্টমস্ কর্মকর্তারা গোটা পোর্টটাই একদিন বিক্রি করে ফেলবে বিদেশীদের কাছে। দেশের আম জনতার কাছে একটি আহ্বান জানাতে চাই---সরকারের এসব দুর্নীতিবাজ আমলাদের রুখে দাঁড়াতে হবে, একসাথে। গড়তে হবে তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।