আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আউট সোর্সিং , সম্ভবনাময় কর্মসংসথান বাংলার কোটি বেকারের !

ঘনবসতি পূর্ণ জনবহুল দেশ বাংলাদেশ । এখানেও বিশ্বের অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের মত বেকারত্বের হার লক্ষনীয় । নানা প্রকার বেকারের মধ্যে শিক্ষিত বেকারই চোখে পড়ে । শিক্ষিত বেকার হওয়ার পেছনে কারণও যথেষ্ঠ, সময়পোযোগী কর্মমুখী শিক্ষা পদ্ধতি চালু না থাকায় এ দেশে শিক্ষিত বেকার দিন দিন বেড়েই চলছে । আধুনিক প্রযুক্তিগত শিক্ষা পদ্ধতি চালু না থাকায় বিশ্বের উন্নত দেশের সাথে তাল মিলাতে গিয়ে বারবার হোচঁট খেয়েছে বাংলাদেশ ।

বর্তমানে তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর কাজের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলছে যেখানে এক্সপার্টদের সংখ্য সারা বিশ্বেই মাত্র ৪০ % , বাংলাদেশে তা অত্যান্ত নগন্য । ২০০০ সালের পর থেকে বাংলাদেশে প্রযুক্তি নির্ভর কর্মকাণ্ডের একটা মৃদু ঢেউ উঠলেও তা ব্যাপক সাড়া ফেলতে পারেনি । তার কারণ -তখন কম্পিউটারের ব্যবহার চালু থাকলেও তখন পর্যন্ত ইন্টারনেট থেকে বংলাদেশ অনেক দুরে ই ছিল । বর্তমান ক্ষমতাসীন দল ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার করায় মাত্র এদেশের জনগনের একটা নির্দিষ্ট অংশ তাও আবার বিশেষ এলাকায় (বিভাগীয় শহর গুলোতে) তথ্যপ্রযুক্তির সুবিধা ভোগকরতে শুরু করেছে । তারই ফলস্রুতিতে আউট সোর্সিং এদেশের কোটি বেকারদের কে হাতছানি দিয়ে ডাকছে ।

আউট সোর্সিং হচ্ছে দেশে বসে অনলাইনের মাধ্যমে অন্যদেশের ক্লায়েন্টদের কাজ করিয়ে দিয়ে বৈদেশিক অর্থ উপার্জন করা । কাজ গুলোর মধ্যে কম্পিউটার বা মোবাইলের এ্যাপ্লিকেশন তৈরী ওয়েব ডিজাইন বা ডেভেলপমেন্ট, ইমেজ এ্যাডিট ইত্যাদি । যারা এ কাজে জড়িত তাদেরকে ফ্রিল্যান্সার বা মুক্ত ব্যবসায়ী বলা হয় । বাংলাদেশে এখনও ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা হাতে গোনা যার কতিপয় আউট সোর্সিংএর সাথে জড়িত । বাংলাদেশে আউসোর্সিং প্রতিষ্ঠান কম হলে এদের কাজের মান বিশ্বের অন্যান্য দেশের চেয়ে অনেক উপরে ।

কারণ একটাই, এখানে এক্সপার্ট কম আর কম বলেই যে ক'জন আছেন তারা সবাই আর্ন্তজাতিক মানের । তাছাড়া এভাবেও বলা যায়, "বেকার কে যখন কোন কাজ দেওয়া হয় তখন তা সে যত্ননিয়েই করে "। বাংলাদেশে হাতে গোনা কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মেট্রোডেস্ক একটি । প্রতিষ্ঠানটি তিন বছরে নবজাতক হলেও এর উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি চোখে পড়ার মত। হবেই না কেন প্রতিষ্ঠান নবজাতক হলেও এর প্রধান এক্সপার্ট তো আর নতুন নয় ।

দীর্ঘ বার বছরের পরিপূর্ণ অভিজ্ঞতা নিয়ে তার পথচলা শুরু । তাইতো মোট্রোডেস্কের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি এবং প্রতিষ্টান টি বাংলাদেশের বেকারত্ব হ্রাসের অন্যতম একটি মাধ্যম হয়েছে । প্রতিষ্টানটি যেভাবে তার ক্লায়েন্টদের সন্তোষটি অর্জন করে আসছে : প্রথমেই মেট্রোডেস্ক তাদের ক্লায়েন্টদের সময়ের মূল্যায়ন করে । তা ছাড়া তাদের ক্লায়েন্টদের মূল্যোদ্ধৃতির জন্য অপেক্ষা করার দরকার নেই। তাদের নিয়মিত ক্লায়েন্ট খুবই সচেতন যে প্রকৃত সেবা প্রদান করে এবং মেট্রোডেস্ক মানের সঙ্গে আপস করে না, তাছাড়া মেট্রোডেস্ক যুক্তিসঙ্গত মূল্য চার্জ করে এর ফলে, তাদের ক্লায়েন্টগণ তাদের কাজ সহজেই আগের তুলনায় দ্রুততার সাথে পেতে পারেন! বর্তমানে, ক্লায়েন্টদের দ্বারা উপস্থাপিত কাজ স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রক্রিয়াজাতের পরেই আপলোড সমাপ্ত হয় ।

প্রতিষ্ঠানটি যে সকল কাজ করে থাকে : ১। ফটোশপ মাস্কিং ২। ফটো রিটাচিং ৩। ক্লিপিং পাথ সার্ভিস : ক) ক্লথ নেক এ্যাডিঙ খ) নেক রিটাচিং গ) মিরর শ্যাডো ঘ) অরিজিনাল শ্যাডো ঙ) ড্রপ শ্যাডো ইত্যাদি কাজ দক্ষতার সাথে করে থাকে । ডেলিভারি সার্ভিস : Simplifed স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতির সাথে যে কোনো সময় আমাদের অনলাইন আবেদন ব্যবস্থার মাধ্যমে ছবিগুলি আমাদেরকে হস্তান্তর করতে পারেন এবং আমাদের যোগ্যতাসম্পন্ন গ্রাফিক শিল্পীগণ পরবর্তী ১ ঘন্টা (সুপার দ্রুতগামী), ৪ ঘন্টা (দ্রুতগামী), এবং 24 ঘন্টার মধ্যে অথবা ক্লায়েন্টের সুবিধা মত (সাধারণ) সময়ে পাঠিয়ে দেয় ।

উপরন্ত মেট্রোডেস্ক তার ক্লায়েন্টদের জন্য সপ্তাহে সাতদিন চব্বিশ ঘন্টা খোলা থাকে । সঠিক মূল্য : মেট্রোডেস্ক তার সেবা ক্রয়ীদের কে দরদামের ব্যাপারে কোন গোলক ধাঁধায় না ফেলে সহজ তিনটি (৩) পছন্দ দিয়েছে- ক) সহজ কাজের জন্য ১ ডলার খ) মধ্যম কাজের জন্য ৩ ডলার এবং হার্ড কাজের জন্য ৫ ডলার তাছাড়া সাধারণ একটা দর মেট্রোডেস্ক তার সকল ক্লায়েন্টদের জন্য রেখেছে ২.৫ ডলার । আর এখানেই উন্নয়নশীল দেশের বেকারদের সম্ভনা ! কারণ যে কাজ তারা উন্নত দেশের এক্সপার্ট দিয়ে করালে অত্যান্ত চড়া মূ্ল্য গুনতে হয় সেখানে তার মাত্র কয়েক ডলার খরচ করেই অত্যন্ত মানস্মত কাজ নিয়ে যাচ্ছে । যা উন্নয়নশীল দেশের বেকাদের ভাগ্য খোলা । বর্তমানে মেট্রোডেস্কে ৪৫ জন দক্ষ কর্মী তাদের একাগ্রতা, নিষ্ঠা বিনিয়োগ করে দেশের মাটিতে বসে বৈদেশিক মূদ্রা অর্জনে নিবেদিত প্রান।

প্রতিষ্ঠানটি তার সাফল্যের তিন বছর উদযাপন করেছে সম্প্রতি এবং প্রতি বছরে এর উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি আরো কর্মী নিয়োগের পথ সুগম করছে । তাই তো মেট্রোডেস্ক আজ ইমেজ প্রোসেসিংএ আউট সোর্সিং এর পাওয়ার হাউসে পরিণত হয়েছে যার প্রমান প্রতিষ্ঠানটির সিসটার কম্পানি হিসেবে আরও একটি আন্তর্জাতিক ওয়েবসাইট অতি সম্প্রতি চালু করেছে । বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশে এধরনের প্রতিষ্ঠানের দিনদিন উন্নতি যেন সমগ্র দেশেরই উন্নয়ন তথা বেকারমুক্ত স্বনির্ভর বাংলাদেশে । ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।