মত প্রকাশের স্বাধীনতা কোন সুযোগ নয়, অধিকার। আওয়ামী লীগের ক্যাডার বাহিনীর ভাইয়ারা কিছু মনে করবেন না; কেননা, তারা দুইজনই এখন আপনাদের শরিক দলের প্রধান। আপনারাতো প্রিয়জনের কোন সমালোচনা সহ্য করতে পারেন না; যেমনটা সহ্য করতে পারেননি ১৯৯৪-৯৬ সালে গোলাম আযম, নিজামী, মুজাহিদদের বিরুদ্ধে।
আরো এটি কথা আমার পোস্টে আমাকে কোনো রকম গালাগালি না করে পারলে এই তথ্যকে ভুল আখ্যা দিয়ে নিচের লিংকের আর্টিক্যালের লেখকের বিরুদ্ধে একটা মামলা ঠুকে দেন, তাতে সত্যটা প্রকাশ পাবে এবং বিষয়টি অনেকেই জানতে পারবেন।
বর্তমান মহাজোট সরকারের ক্ষমতার অংশীদার; সরকারে থেকে শেখ মুজিবের স্বপ্ন বাস্তবায়নে বিশেষ অবদান রাখছেন এবং প্রসঙ্গ উঠলেই ‘ইতিহাসের সত্য’ সম্পর্কে গুরুগম্ভীর মন্তব্যকারী রাশেদ খান মেনন, ওয়ার্কার্স পার্টির বর্তমান সভাপতি; শেখ মুজিবের জীবদ্দশায় ছিলেন ঘোর মুজিব বিরোধী।
সেই ‘কমরেড’ মেনন পাকিস্তান আমল থেকেই আওয়ামী লীগ বিরোধী; আর আওয়ামী লীগ-বিরোধী হওয়ায় স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তাকে ভারতে গিয়ে ধাওয়া খেতে হয়েছিল।
স্বাধীন বাংলাদেশেও মেনন মুজিব সরকার বিরোধী তৎপরতা চালিয়েছিলেন। ১৯৭৪ সালের সেপ্টেম্বরে তারা ইউনাইটেড পিপল্স পার্টি (ইউপিপি) প্রতিষ্ঠা করার পর মেনন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন (অব.) আবদুল হালিম চৌধুরী সভাপতি ও কাজী জাফর আহমদ সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন। সুতরাং এই পার্টির তৃতীয় প্রধান নেতা ছিলেন রাশেদ খান মেনন এবং ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত তিনি তত্পরতা চালিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবের মৃত্যুর পরপর, ১৯৭৫ সালের ২৯ আগস্ট প্রচারিত এক বিবৃতিতে ইউপিপি বলেছিল—‘সামরিক অভ্যুত্থানে শেখ মুজিবের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে গত সাড়ে তিন বছরের ঘৃণ্য ও গণধিকৃত মুজিবী রাজত্বের অবসান হয়েছে।
লুট-দুর্নীতি, দুর্ভিক্ষ-অনাহার, চোরাচালান-পারমিটবাজি,স্বৈরাচার-পারিবারিক রাজত্ব কায়েম, জাতীয় স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা ও অবমাননায় বিক্ষুব্ধ জনগণ প্রতি মুহূর্তে মুজিবের পতন কামনা করেছে। পরম ধৈর্য ও সাহসিকতা নিয়ে সংগঠিত হয়েছে মুজিবী শাসন ব্যবস্থাকে চিরতরে কবর দেয়ার জন্য। ’
বিবৃতির পরের অংশে বলা হয়েছিল, ‘মুজিবের অপসারণে জনগণ উল্লসিত। তার মৃত্যু কারও মনে সামান্যতম সমবেদনা বা দুঃখ জাগায়নি—জাগাতে পারে না। ... এদেশের মানুষের দীর্ঘদিনের সংগ্রামের ইতিহাস জাতীয় স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনের লড়াইয়ের ইতিহাস।
শেখ মুজিব ও তার সহচররা জনগণের সেই লড়াইয়ের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। গণতন্ত্রকে হত্যা করে কায়েম করেছে স্বৈরাচার ও পারিবারিক শাসন। ... মুজিব তার সিংহাসন থেকে হুকুম করেছে নির্বিচারে জনগণ ও গণতান্ত্রিক কর্মীদের হত্যা, গ্রেফতার, এমনকি সপরিবারে ধ্বংস করার জন্য। জেলে আটক হাজার হাজার রাজবন্দি, বিভিন্ন অঞ্চলে আবিষ্কৃত গণকবর এর প্রমাণ। ...’ শাহ আহমদ রেজার যৌথ গ্রন্থ ‘২১ দফা থেকে ৫ দফা’, ১৯৮৭; পৃষ্ঠা ২৫৯-৬২)
আওয়ামী মহাজোটের নেতা হিসেবে একটি সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ‘কমরেড’ ইনু সম্পর্কে পিলে কাঁপানো কিছু তথ্য প্রকাশ করেছিল দৈনিক আমাদের সময়।
২০০৯ সালের ৫ নভেম্বর প্রকাশিত এক রিপোর্টে দৈনিকটি জানিয়েছিল—‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান নিহত হওয়ার পর হাসানুল হক ইনু শাহবাগস্থ বেতার ভবনে গিয়ে অভ্যুত্থানের নায়কদের সঙ্গে সাক্ষাত্ করেছিলেন এবং রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের প্রতি সর্বান্তকরণে সমর্থন জানিয়েছিলেন। তিনি একা যাননি, গিয়েছিলেন লে. কর্নেল (অব.) আবু তাহেরের সঙ্গে। তাহের তখন জাসদের গণবাহিনীর অধিনায়ক, আর ইনু ছিলেন গণবাহিনীর পলিটিক্যাল কমিশনার। ’
এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত জানতে নিচে লিংকে ক্লিক করুনঃ
ইতিহাসের একটি বিশেষ অধ্যায় ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।