তখন ক্লাস ফাইভে পরি, কালো স্টেপ এর একটা গেন্জি পরে স্কুল পালিয়ে বাড়ীর দিকে দৌরাচ্ছি..! তখন গ্রামে কারেন্ট ছিলোনা, দুই টাকা করে চাদা তুলে ব্যাটারি ভারা করে টিভি দেখতাম.. সেদিন ই দিপু নাম্বার টু বিটিভিতে দেখি..! পরদিন থেকেই দিপুর ভুত মাথায় চাপে, কথায় কথায় দিপুর মতো আচরন করতে থাকি, স্কুলে তারিক নামে একটা ছেলের সাথে বন্ধুত্য ও করে ফেলি, সব বন্ধুরা মিলে এডভেন্চারমুলক কাজ খুজতে থাকি, আমাদের স্কুল থেকে ২মাইল দুরে একটা পুরোনো মন্দির আছে, স্কুল ছুটির পর বন্ধুদের নিয়ে সেই মন্দিরে ছুটে যেতাম গুপ্ত কোনো ধনের সন্ধানে..! মন্দিরের একদম চুরায় একটা সোনার চাদঁ ছিল, সেই চাদের প্রতি আমাদের দিপু গ্রুপের ছিলো প্রচুর আগ্রহ আর লোভ..! গ্রামে যেহুতু পানির টাংকি ছিলোনা, টাংকির বদলে উচো উচো তুলা গাছে উঠার প্রতিযোগিতা হতো আমাদের ভিতর.. একবার তুলা গাছে সাপের হাত থেকে একটুর জন্য রক্ষা পাই.. সেই দুনগুলি আজ আর নেই কিন্তু স্ তিগুলো আজও রয়ে গেছে মনের ফ্রেমে..! সেই দিপু গ্রুপের মাত্র চার পাচজনের সাথে ৭বছর পর দেখা হয়.. তাদের পেয়ে আবার দিপুর ভুতটা আবার মাথাচারা দিয়ে উঠে.. দিপু নাম্বার টু মুভির সেই দিপু, তারিক, তারা এখন কোথায় আছে, দেখতে কেমন হয়েছে.! তাদের সাথে দেখার করার সখ জাগছে এখন..! ব্লগার ভাইদের কারো কাছে কি দিপুর কোনো খোয আছে...!
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।