আমি চাই শক্তিশালী স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ
Eurofighter Typhoon
Su-30
HQ-9 Anti Aircraft Missile
সর্বশেষ ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাজেট ছিল ৩৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এবার তা ৪০ বিলিয়নের উপর ছাড়িয়ে যাবে। এর বাইরেও তার সামরিক বাহিনীর জন্য জঙ্গী বিমান, ট্যাংক, সাবমেরিন সহ আরো সমারাস্ত্র, সরঞ্জাম কেনার জন্য বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার আলাদা করা আছে আগামী কয়েক বছরের জন্য। ভারতের বিমানবাহিনী খুবই শক্তিশালী। তাদের এ যাবৎ কালের সবচেয়ে ভয়ংকর জঙ্গী বিমান হল রুশ সুখোই-৩০।
এটাকে তারা ভারতীয় বিমানবাহিনীর গর্ব বলে আখ্যায়িত করে থাকে। এটা ভূমি থেকে আকাশে সর্বোচ্চ প্রায় ১৮ কিমি বা ১২ মাইল উপর দিয়ে উড়তে পারে। সর্বোচ্চ গতি ম্যাক-২ বা ১৩২০ মাইল/ঘন্টা;
http://en.wikipedia.org/wiki/Sukhoi_Su-30
Click This Link
এ ছাড়াও প্রায় পঞ্চম(4+) প্রজন্মের জঙ্গী বিমান ১২৫ টি ইউরোফাইটার টাইফুন কেনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে;
http://www.indiandefencereview.com/defence industry/Eurofighter-Typhoon-Ready-for-India.html
মার্কিনিরা বহু চেষ্টা করেছিল তাদের জঙ্গী বিমান এফ-২২ ও এফ-৩৫ যেন ভারত সরকার কিনে। কিন্তু শেষ বিবেচনায় ইউরোফাইটারকেই চূড়ান্ত করে দিল্লী। এই ব্যার্থতার জন্য গত বছর ২০১১র এপ্রিলে ভারতে নিযূক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টিমোথী রুয়েমার পদত্যাগ করে;
Click This Link
উক্ত ঘটনায় দেখা যায় যে মার্কিনিরা প্রায় ১২৬ টি জঙ্গী বিমান ভারতের নিকট বিক্রি করতে পারলে তারা ১১ বিলিয়ন ডলার পেত।
বিভিন্ন ভারতীয় বিমান বিশেষজ্ঞ তো বটেই মার্কিন বিমান বাহিনীর প্রধান জন পি জাম্পার পর্যন্ত বলেছেন "I have flown all the air force jets. None was as good as the Eurofighter."
Click This Link
এই জঙ্গী বিমান ভূমি হতে সর্বোচ্চ প্রায় ২০ কিমি বা ১৩ মাইল উপরে উড়তে পারে। এর গতি সর্বোচ্চ ম্যাক ২ এর কিছু বেশী বা ১৫৫০ মাইল ঘন্টা। এই ইউরোফাইটার যূক্ত হলে ভারতীয় বিমানবাহিনী আরো শক্তিশালী হবে।
এছাড়াও ভারতের মিগ-৩১ আছে যা ২০ হতে ২২ কিমি উচ্চতা এবং গতি ম্যাক ২.৮৩ বা ১৮৬০ মাইল/ঘন্টা।
সব সময়ই চিন্তা করতাম ও মানুষ মুখে শুনতাম যে ভারতীয় বিমানবাহিনীর মিগ(২৯ ও ৩১) এবং সুখোই এদেরকে ধ্বংস তো দূর তাদের চ্যালেঞ্জ করার ক্ষমতা নাকি বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর নাই।
কিন্তু ইন্টারনেট সার্চ করে পেলাম দারুণ এক তথ্য। চীনের প্রযুক্তি এইচকিউ-৯ যা তাদের সর্বোচ্চর কয়েক ধাপ(২ হতে ৩) নীচে। তারা ইতিমধ্যে ASAT তথা স্যাটেলাইট বিধ্বংসী ক্ষেপনাস্ত্র অর্জন করেছে। এটা ৮৬৫ কিমি বা ৫৩৭ মাইল দূরের কোন উপগ্রহকে ধ্বংস করতে পারে;
Click This Link
তাদের HQ-9 বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপনাস্ত্রও ভয়ংকর। এটা ভূমি হতে আকাশের ৩০ কিমির মধ্যে যে কোন জঙ্গী বিমানকে ধাওয়া ও ধ্বংস করতে পারে।
এর গতি হচ্ছে ম্যাক ৪.২ অথবা প্রায় ৩২০০ মাইল/ঘন্টা;
http://en.wikipedia.org/wiki/HQ-9
http://www.youtube.com/watch?v=S-qE5p3ZWAg
একমাত্র মার্কিন ও রুশদেরই ম্যাক ৩ এর উপর জঙ্গী ও স্যাটেলাইট গতির বিমান আছে। ভারতের কাছে এত উচ্চগতির বিমান তাদের নিজেদের অর্জন ছাড়া মার্কিনিরা কেন রুশরাও দিবে না। এই আকাশ প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি বাংলাদেশের আছে। আরো সহজে বলতে হয় গণচীন আমাদেরকে এই বিষয়ে বিনামূল্যে না হলেও রুশ ও মার্কিনিদের তুলনায় অনেকটাই কম মূল্যে সরবারাহ করেছে। এটা রুশদের এস-৩০০ এর সমকক্ষ।
তাই ভারতের বর্তমানে মিগ-২৯ ও ৩১, সুখোই-৩০ তো বটেই ইউরোফাইটারকেও আকাশে ধ্বংস করার সামর্থ্য রাখে এই HQ-9 ক্ষেপনাস্ত্র ইনশাল্লাহ! আমরা বলতে চাই যে কি ভারত বা মায়ানমার কারো সাথেই গায়ে পড়ে লাগব না। তবে কেউ যদি আমাদের সাথে লাগতে চায় আমরাও সামর্থ্য অনুযায়ী জবাব দেওয়ার ক্ষমতা রাখি। আমাদের সামরিক বাহিনীর ৯০% অস্ত্র, বিমান, যানবাহন বহর, সরঞ্জাম ও প্রযুক্তি গণচীনের তৈরি। এ গুলোর বহু চীন আমাদেরকে বিনামূল্যে দিয়েছে। সবই নির্ভর করে আমাদের রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকা শাসকের।
শহীদ জিয়া অনেক দূর দৃষ্টি সম্পন্ন শাসক ছিলেন বলেই চীনের সাথে বাংলাদেশের গভীর সম্পর্ক গড়ে তুলেন। তাই বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীকে কখনই দূশ্চিন্তায় পড়তে হয়নি। নৌ, ভূমি ও আকাশ সর্বত্রই চীনের আন্তরিক বন্ধুত্বের পরিচয়ের ছাপ। সেই ১৯৭৫ সাল হতে চীনের বাংলাদেশকে শুধু সামরিকই নয় অর্থনৈতিক, প্রযুক্তি, যোগাযোগ উন্নয়ন বিষয়ে অকৃপণ সহযোগীতা করেছে। তাই বাংলাদেশকে যারা সত্যিকার অর্থে ভালবাসে তারা বলে যে চীন বাংলাদেশের প্রকৃত বন্ধু।
তাই একজন বাংলাদেশী হিসেবে চাইব গণচীনের সাথে আমাদের বন্ধুত্ব চির অটুট থাকুক!
একটি সংশোধন ভারত ইউরোফাইটার টাইফুন নয় ফরাসী ডাসল্ট রাফায়েল জেট কিনবে। তবে এটা ইউরোফাইটারের চেয়ে কিছুটা পিছিয়ে আছে। যাকে এইচকিউ-৯ ক্ষেপনাস্ত্র ধ্বংস করার ক্ষমতা রাখে। ধন্যবাদ আমি কবি নই(৩৩নং কমেন্ট)। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।