পঙ্খিরাজে চাদেঁর দেশে আজ রবিবার ইস্ট লন্ডনের বাংলা টাউনে ভোরে বৈশাখি মেলা শুরু হচ্ছে। ব্রিকলেনের এলেন গার্ডেন ও আলতাফ আলী পার্কে মেলার মঞ্চ থাকত। কিন্তু গত প্রায় আট বছর থেকে বেথনালগ্রীন পার্কের সুবিশাল ময়দানে মেলা উদযাপিত হয়ে থাকে। এই মেলার বাজেট ১৮০ হাজার পাউন্ড। একশ' হাজার টাওয়ার হামল্যাট কাউন্সিলের বরাদ্দ।
বাদ বাকি কর্তৃপক্ষ স্টল ও বিভিন্ন স্পসরদের কাছ থেকে আদায় করে থাকেন। এই এক শত আশি হাজারের নিতান্ত বাংলাদেশি টাকায় দু'কোটি টাকা হবে।
এই বিশাল অংকের টাকার মেলা কমিটির কিছু লোকের পকেটে চলে যায়। তার ক্লিপটন রেষ্টুরেন্টের কণর্ধার সিরাজ উদ্দিনের অন্যতম। তিনি মেলা কমিটির আহবায়ক।
তাদের প্রতিবছর এই ভূড়ি ভোজ দেখে টাওয়ার হামল্যাট কাউন্সিল নিজেদের তত্ত্বাবধানের ২০০৯/২০১০ দু'বছর উদযাপন করে। কিন্তু বিভিন্ন ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে এই মেলা কমিটি আবার তাদের কাছে মেলা পরিচালনার দায়িত্ব তাদের কাছে নিয়ে আসে। যদি তাদের কাছে সবচে' বেশি গাফলা হয়। দেশ থেকে কোন শিল্পী আসবেন এসব তারা এখনো কিছু বলেনি। শিল্পিদের অভিযোগ তারা পেমেন্ট দেয় না।
দেশ থেকে যারা পেটে-ভাতে আসেন, এমন শিল্পী নিয়ে আসেন। ফলে শিল্পীদের কোন পেমেন্ট দিতে হয় না।
প্রথমত এই কোটি কোটি টাকা কয়েকজন স্বার্থান্বেষি মানুষের হাতে দেয়া ঠিক নয়। সাধারন জনগন যদি এসবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে, তারা এভাবে কামাই করতে পারবে না। আমরা যদি প্রতিবাদ না করি এই কোটি কোটি টাকার গুনা আমাদের কপালেও জুটবে।
কারন যেকোন অনৈসলামিক কাজে বা অনুষ্টানের যত খরচ হবে তা সেই কমিনিটির উপরও পড়বে। আর যদি আমরা প্রতিবাদ করি, হয়তো আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করবেন। বুখারি ও মুসলিম শরিফের হাদিসে এসেছে, হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বর্ণিত, তিনি বলেন রাসুল (সাঃ) তোমাদের মধ্য কোন গর্হিত কাজ দেখলে হাত দিয়ে প্রতিবাদ করো, যদি না পারো মুখ দিয়ে প্রতিহত কর, আর যদি না পার অন্তর দিয়ে ঘৃণা করা। আর ইহা হল দূর্বল ঈমান। '
আমরা যেহেতু হাত দিয়ে প্রতিহত করতে পারব না।
তাই মুখ দিয়ে লেখা দিয়ে এরকম মেলার প্রতিবাদ জানাই। আর মনে রাখবেন যারা নিরব থাকবে তাদের দুর্বল ঈমান। অবশ্যি সেই মেলায় না যাওয়ার চেয়ে অনেক ভালো। আমাদের গুনা কমতি নেই যদিও আমলের দারিদ্রতা। তদুপরি কোটি কোটি টাকা খরচ করে গান বাজনা নতর্কি আনা, নাচ বেহায়াপনায় শরিক হলে শয়তান কত খুশি হবে তার পরিমাপ আমার জানা নেই।
তাছাড়া কোন মুসলমান নিজের সম্পদ ও জান আল্লাহর সন্তুষ্টির পথ ছাড়া খরচ করতে পারে না। আল্লাহ পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেছেন, নিশ্চয়ই মুমিনদের সম্পদ ও জান জান্নাতের বিনিময়ে ক্রয় করেছেন। ' অতএব সাধু সাবধান আল্লাহর বিধি সম্মত পথে ও মতে একমাত্র নিজের মাল ও জান ব্যবহার করতে পারবে। নতুবা খেয়ানতকারী হিসেবে রোজ হাশরে আল্লাহর দরবারে আসামি হয়ে উঠতে হবে।
অতএব ইস্ট লন্টন সহ বৃটেনের সকল শহরের বাঙ্গালী মুসলমানরা একটু ভাবুন যদি মেলায় যাই আমাদের পরিচয় কি হবে? মেলায় যাওয়া ইসলামের পক্ষে হারাম নয় কি? কথায় বলে খোদার বান্দা হয় হুশিয়ার সময় বড় কম, হেলায় মেলায় সময় নষ্ট করো না দম....।
আসুন আমরা ভালো ও খোদাভীরু কাজে একে অপরের সহযোগিতা করি তবে অন্যায় ও সীমালঙ্গনে কোন সহযোগিত নয়। আল কুরআনের এই বাণী সবার জীবনের পাথেয় হোক.... ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।