বিশ্বায়নের এই যুগে ব্যবসা বাণিজ্য নির্দিষ্ট কোনো ভৌগোলিক সীমারেখার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান মাত্রই চায় বিশ্বব্যাপী তাদের পণ্যের বাজার থাকবে এবং সে লক্ষ্যে যেখানেই মুনাফা অর্জনের সুযোগ আছে সেখানেই তারা বিনিয়োগ করে ব্যবসার প্রসার ঘটাতে চায়। এতে যে কেবল ব্যবসায়িক বিস্তার বাড়ে এবং মুনাফা হয় তাই নয়, যে দেশের বাজারে বিনিয়োগ করা হচ্ছে তার অর্থনীতিতেও বেশ গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব পড়ে। বাংলাদেশ বিশ্বের বড় বড় বিনিয়োগকারীদের নিকট এখন একটি প্রতিষ্ঠিত বাজার। গত এক দশকে এখানে প্রচুর বৈদেশিক বিনিয়োগ হয়েছে এবং ক্রমান্বয়ে তা বাড়ছে।
এই ক্রমবর্ধমান বৈদেশিক বিনিয়োগ দেশের আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে কী রকম প্রভাব ফেলছে? এক কথায় উত্তর দিলে তা ‘ব্যাপক’।
এক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য উদাহরণ হতে পারে দেশের টেলিকমিউনিকেশন সেক্টরের বিকাশ। বছর দশেক আগেও দ্রুত যোগাযোগের মূল মাধ্যম ছিল ডাক, টেলিগ্রাম এবং ল্যান্ডফোন। তাৎক্ষণিক যোগাযোগের কোনো প্রচলিত ব্যবস্থা ছিল না বললেই চলে। অফিস-আদালত এবং গুটিকতক বাসা-বাড়িতে ল্যান্ডফোনের সংযোগ ছিল।
পারস্পরিক যোগাযোগ মূলত চিঠিপত্রের উপর নির্ভরশীল ছিল। দশ বছরের মধ্যে তা আমূল বদলে যায়। দেশে একে একে ছয়টি মোবাইল ফোন কোম্পানি গড়ে উঠে যার একটি বাদে সবগুলিই বৈদেশিক বিনিয়োগের ফল। যোগাযোগ এখন হাতের মুঠোয়। তাৎক্ষণিক তথ্য আদান-প্রদান এবং আপনজনদের খোঁজখবর নেয়া এখন অনেক সহজ।
কেবল জীবনযাত্রা সহজ করাই নয় এই টেলিকম কোম্পানিগুলো দেশের অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও অবদান রাখছে। সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয় করছে তাদের থেকে। হাজার হাজার মানুষের প্রত্যক্ষ এবং আরও কয়েক লক্ষ মানুষের পরোক্ষ কর্মসংস্থান হয়েছে। এখনও প্রতিষ্ঠানগুলো অবকাঠামো নির্মাণ এবং রক্ষনাবেক্ষণের জন্য প্রতিবছর প্রচুর অর্থ বিনিয়োগ করে যাচ্ছে। এতে তাদের যেমন মুনাফা হচ্ছে পাশাপাশি লাভবান হচ্ছে এ দেশের মানুষও।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।