আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গুনাহের বদলা একগুন

গুনাহের বদলা একগুন:গুনাহের কাজের ব্যাপারে আল্লাহ তায়ালা বলেন যে, আমি অতটুকু শাস্তি দেব যতটুকু গুনাহ সে করেছে (তা বাড়ানো হয় না) কিংবা মাফ করে দেব। বান্দা যদি তওবা করে, ইস্তেগফার পড়ে আল্লাহ তায়ালার দরবারে অনুতাপ অনুশোচনা প্রকাশ করে বলে যে, হে আল্লাহ! আমার ভূল হয়েছে, আমাকে মাফ করে দিন, তাহলে আল্লাহ তায়ালা মাফ করে দিবেন। এভাবে গুনাহের একগুন শাস্তিও শেষ হয়ে যায়। কিরামান কাতেবীনের একজন আমীর অপরজন মামুর:আমি আমার শায়েখ মাওলানা মাসীওল্লাহ খান সাহেবের কাছ থেকে একটি হাদিস শুনেছি যে, তবে কোন কিতাবে হদিসটি দেখিনি - আল্লাহ তায়ালা মানুষের সাথে দুজন ফেরেশতা নিযুক্ত করে রেখেছেন, একজন লেখে নেকীর কাজ, অপরজন গুনাহের। হযরত বলতেন আল্লাহ তায়ালা নেকী লেখক ফেরেশতাকে গুনাহ লেখার ফেরেশতার আমীর নিযুক্ত করেছেন।

আল্লাহ তায়ালার দেওয়া নিয়ম এবং রাসুল সাল্লাহু আলাইহী ওয়া সাল্লাম এর তালীম এই যে, দুই ব্যক্তি কোন কাজ করলে একজনকে আমীর বানাবে। তাই এক ফেরেশতাকে অপর ফেরেশতার আমীর বানানো হয়েছে। কোন মানুষ যখন নেক কাজ করে তখন নেকী লেখক ফেরেশতা অবিলম্বেই তার আমলনামায় নেকী লিখে ফেলে। কিন্তু যখন কোন মানুষ গুনাহের কাজ করে তখন গুনাহ লেখক ফেরেশতা সাথে সাথে গুনাহ না লিখে নিজের আমীর নেকী লেখক ফেরেশতাকে জিজ্ঞাসা করে যে, এই লোক অমুক গুনাহ করেছে তা লিখবো? না লিখবো না? সেই ফেরেশতা বলে যে, একটু থামো। হয়তো সে তওবা করবে ইস্তেগফার করবে।

সে যদি তওবা করে তাহলে তা লেখার প্রয়োজন নেই। কিছুক্ষন পরে সে পুনরায় জিজ্ঞাসা করে যে, এখন লিখবো কি? তখন নেকী লেখক ফেরেশতা আবারো বলে যে,বিলম্ব কর হয়ত সে তওবা করবে। তৃতীয়বার যখন ঐ ফেরেশতা জিজ্ঞাসা করে যে, আর বান্দা তওবা করেনা তখন নেকী লেখক ফেরেশতা বলে যে, এখন আর তওবার আশা নেই এবার লিখে ফেলো, তখন গুনাহ লেখক ফেরেশতা তার আমলনামায় তা লেখে। (বিদ্রঃ হযরত মাওলনা জালালউদ্দীন সাহেবের বই "ইসলামী আকিদা-বিশ্বাস ২য় খন্ড http://www.maktabatulashraf.net" থেকে নেয়া Please visit The Voice of Islam . weebly . com ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।