আমার আমি, আমারই বড়ই অচেনা !!! একদিন আমি খুব তারাতারি ঘুমিয়ে পড়ি, পরদিন সকালে খুব তারাতারি উঠার জন্য কারন, ঐ দিন আমার নাটোরের দিঘা পতিয়া রাজবাড়িতে ভ্রমন করার কথা আমার বন্ধুর সাথে।
সকাল বেলা বাস এর ছাদে করে বন্ধুর সাথে মজা করতে করতে রাজবাড়িতে গেলাম।
সারাদিন ঘুরলাম, অনেক মজা করলাম।
নাটোর থেকে আসার সময় বাসের ছাদে করে রাজশাহীতে ফিরতেছিলাম।
কিন্তু কিছুক্ষন পর তুমুল ঝড়-তুফান শুরু হল কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই।
বাস এর হেলপার ছাদ থেকে নামার জন্য বললেও আমরা নামি নাই, ভেবেছিলাম যে মজা হবে। কিন্তু কিছুক্ষন পর আমাদের অবস্থা মরি মরি।
নিঃশ্বাস নিতে পারতেছিলাম না। অনেক কষ্ট করে বাস থামালাম কারন, আমরা হেলপারের কথা শুনি নাই, তাই সে রাগ করছিল।
যাইহোক, শেষ পর্যন্ত রাজশাহীতে আসলাম।
জামা-কাপড় সব ভেজা। মোবাইল, মানিব্যাগ, ক্যামেরা সব ভেজা।
কিন্তু সবচেয়ে বিপদের কারন হল আমরা কোন কিছু মানে, জামা-কাপড় পাল্টাতে পারতেছিলাম না।
কারন, যার বাসায় আমাদের ব্যাগ রাখছিলাম, সে তার এক আত্বীয় মারা যাওয়ায়, তার জানাযা এবং দাফন-কাফন নিয়ে ব্যস্ত ছিল।
কি আর করা, শীত এ ঠক ঠক করে কাপতেছিলাম।
এক দোকানে গেলাম চা পান করার জন্য।
কিন্তু, মারাত্বক রকম কাপতে থাকার ফলে চা পান করা পরের কথা কাপ টাই ধরে রাখতে পারতেছিলাম না।
এরপর কিছুক্ষন দৌড়ালাম, শরীর গরম করার জন্য।
শেষ পর্যন্ত জামা-কাপড় শরীরেই শুকিয়েছিল।
যইহোক, বাস এর ছাদে ঝড় এর সময় যে ভয় পাইছি, আমি আমার সারা জীবনেও এই রকম ভয় পাই নাই।
কি যে অবস্থা, বিদ্যুৎ চমকাচ্ছিল। মনে হচ্ছিল যেন এই বুঝি মাথায় বাজ পড়ল।
অন্যদিকে, বৃষ্টির ফোটা গুলোকে মনে হচ্ছিল এক একটা বিশাল বিশাল পাথরের টুকরো।
সামনে কিছুই দেখতে পাচ্ছিলাম না। হঠাৎ একটা গাছের ডালের বারি লাগলো, মনে হইছিল যেন তখনই বাসের ছাদ থেকে পরে যাব।
আরো কিছুক্ষন বাসের ছাদে থাকলে নির্ঘাত মারা যেতাম।
কিন্তু যত কিছুই হোক না কেন ভ্রমন টা ছিল খুব ই মজার।
এইটা হল আমার এবারের সেমিস্টার বন্ধের "রাজশাহী ভ্রমন (২৭/০৪/২০১২ - ০৫/০৫/২০১২)" এর কাহিনী। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।