আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রাজশাহী মেয়রের ঈদী

আমি একজন ইবলিশ । সব সময় ভাবি আমাদের ইবলিশ পুর কবে একটা ভালো শহর হবে। টাকা চাওয়ার ব্যাখ্যা দিলেন রাজশাহীর মেয়র Click This Link ৩৬টি ব্যাংকের কাছে চিঠি পাঠিয়ে ৫০ হাজার করে টাকা চাওয়ার ব্যাখ্যা দিয়েছেন রাজশাহীর মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান। তিনি বলেন, ব্যবসায়ী সম্মেলনের জন্য ব্যাংকগুলোর কাছে টাকা চাওয়া হয়েছে। আর রাজশাহীর উন্নয়নের জন্য এই সম্মেলনের দরকার।

এ নিয়ে প্রথম আলোতে সংবাদ প্রকাশের সমালোচনা করেন তিনি। ব্যবসায়ী সম্মেলনের আয়োজক রাজশাহী শিল্প ও বণিক সমিতি। তাহলে মেয়র কেন তাঁর প্যাডে চিঠি লিখে টাকা চাইলেন—এ বিষয়ে মেয়র বলেন, ব্যাংক ব্যবস্থাপকদের পরামর্শেই তিনি চিঠি দিয়েছেন। ব্যাংকগুলোর চেক হস্তান্তরের জন্য গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে সিটি ভবনে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে ১০টি ব্যাংক তিন লাখ ২৫ হাজার টাকার চেক হস্তান্তর করে।

এই অনুষ্ঠানে মেয়র, বণিক সমিতির নেতা, স্থানীয় ব্যাংক কর্মকর্তা ও সাংবাদিকেরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতেই মেয়র টাকা চাওয়ার ব্যাখ্যা দেন। বলেন, ‘চেম্বারে কিছু তহবিল আছে। কিন্তু এই উদ্দেশ্যে সেই টাকা খরচ করে ফেলাটা সবাই মিলে আমরা সমীচীন মনে করিনি। তাই ব্যাংক কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে তাঁদের পরামর্শেই চিঠি দেওয়া হয়েছে।

যেহেতু স্থানীয়ভাবে দেওয়ার মতো ব্যাংকের হাতে কোনো থোক বরাদ্দ থাকে না। তাই ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর চিঠি দেওয়া হয়েছিল। ’ ‘৩৬ ব্যাংকের কাছে টাকা চেয়ে মেয়রের চিঠি’ শিরোনামে গতকাল প্রথম আলোতে প্রকাশিত খবরের প্রসঙ্গ টেনে মেয়র বলেন, নেহাত গায়ে পড়ে করা ছাড়া পত্রিকায় খবর হওয়ার মতো কোনো ইস্যু আছে বলে তিনি মনে করেন না। সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, এখানে ব্যাংকের কর্মকর্তারা আছেন, তাঁদের জিজ্ঞেস করতে পারেন, তাঁরা স্বেচ্ছায় টাকা দিতে চেয়েছেন কি না। অনুষ্ঠানে সাউথইস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপক আরিফুল হক বলেন, ঢাকার বাইরে তিনজন মন্ত্রীর অনুষ্ঠান নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ।

অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যাংকের অংশগ্রহণ একটি অবিচ্ছেদ্য ব্যাপার। তাঁদের অনুষ্ঠানের সঙ্গে সম্পৃক্ত করার জন্য তিনি বণিক সমিতিকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, ‘এই অনুষ্ঠানের জন্য আমরা অ্যাকাউন্ট পেয়ি চেকের মাধ্যমে টাকা দিচ্ছি। আমার একটা অনুরোধ থাকবে, অনুষ্ঠান শেষে কত খরচ হলো, না হলো, তার একটা স্বচ্ছ হিসাব সাংবাদিকসহ সবার সামনে যেন তুলে ধরা হয়। ’ সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক মোহাম্মদ আলী সরকার জানতে চান, প্রথম আলোর সাংবাদিক অনুষ্ঠানে উপস্থিত আছেন কি না।

প্রতিবেদকের পরিচয় পেয়ে তিনি সবার উদ্দেশে বলেন, ‘রাতে তাঁকে নিউজটা না করার জন্য সবিনয়ে অনুরোধ করেছিলাম। বলেছিলাম, একান্তই করতে হলে অনুষ্ঠানের পরে করবেন। উনি বলেছিলেন, “ঢাকায় কথা বলে দেখি। ” যা হোক, ভুল হয়ে থাকলে সংশোধন করে দেবেন। ’ শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রতিবেদনে তো খারাপ কিছু লেখা হয়নি।

কিন্তু শিরোনাম শুনলেই যে খারাপ লাগছে!’ এ সময় উপস্থিত সাংবাদিকেরা বলেন, শুধু প্রথম আলোর সংবাদ নিয়ে কথা বলার জন্যই যদি এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়, তাহলে তাঁদের তো এখানে থাকার প্রয়োজন নেই। এরপর বক্তব্য বাদ দিয়ে ব্যাংক ব্যবস্থাপকদের কাছ থেকে চেক আহ্বান করা হয়। অনুষ্ঠানে আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, সাউথইস্ট ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, শাহজালাল ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, ইউসিবিএল, অগ্রণী ব্যাংক, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংকের পক্ষ থেকে পৃথক চেকের মাধ্যমে তিন লাখ ২৫ হাজার টাকা হস্তান্তর করা হয়। প্রসঙ্গত, রাজশাহী বিভাগীয় ব্যবসায়ী সম্মেলন আজ অনুষ্ঠিত হবে। এতে অর্থমন্ত্রী, বাণিজ্যমন্ত্রী ও শিল্পমন্ত্রীর উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।