আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হেফাজতে ইসলাম ও শেখ হাছিনার গণতন্ত্র বিষয়ক কিছু চিন্তা আপনারা কি ভাবেন?

কোরআন ও আল্লাহর আইন অপরিবর্তনীয় হুজুররা আছেন বেকায়দায়। কোরআন একমাত্র মৌলিক গ্রন্থ। যেটির সংযোজন বিয়োজন সংস্কার কারু হাতে নাই। আগের সমস্ত আসমানী কিতাব মনগড়া কথাবার্তা সংযোজন করেছে মানুষ। ফলে সেটি বাতিল করে নতুন নবী নতুন কিতাব ছহিফা নাযিল হয়েছে এভাবেই সবর্শেষ আসমানী কিতাব আসলো এবং আল্লাহ তায়ালা নিজে এটি অবিকৃত রাখার দায়িত্ব নিয়েছেন।

এই জন্য যে কিয়ামতের আগপর্যন্ত এই কোরআন মানবমুক্তির আলোকবর্তিকা হিসেবে থাকবে। এই কিতাব শুধু কাগজে বা কিতাব আকারে নয়..হাফেজ তথা মুমিনের সিনার মধ্যে সংরক্ষিত করেছেন। এটিতে হাত দেয়ার অধিকার কোন আলেমের নাই। আর মুসলমানের জন্য আল্লাহ তায়ালা দিকনির্দেশক হিসেবে চলার জন্য অনুকরণীয় হিসেবে কোরআন আর সুন্নাহ দিয়েছেন। এগুলোর বাইরে নতুন কোন সমস্যার সমাধানের জন্য ইজমা কিয়াস দিয়েছেন।

এ টুকুই। ইজমা কিয়াস নির্ধারণের দায়িত্বটি আলেম ওলামাদের হাতে । কোন সরকার প্রধানের হাতে নয়। তাই অলেমরা মনগড়া কথা বলতে পারেনা। কার না ইচ্ছা জাগে সুন্দরী রমনী,মদ ,নেশা আভিজাত্য জুয়া স্বেচ্ছাচারিতা যদি স্রষ্টার নিষেধ না থাকত।

কিন্তু ইচ্ছা করলেই আলেমরা তা করতে পারছে না। করার স্বাধীনতা আল্লাহ তাদের দেন নাই। মুসলিম মানে আত্নসমর্পনকারী। আল্লাহর কাছে আত্ন সমর্পনকারী। এবং কোরআনে স্পষ্ট বলে দেয়া হয়েছে।

তোমরাই সর্বশ্রেষ্ঠ জাতি কারণ তোমরা মানুষকে সৎকাজে আদেশ দান কর অসৎ কাজে বাধা দান কর। আর আল্লাহর উপর ঈমান এনে থাক। আরও কোথাও অন্যায় হতে দেখলে সামর্থ থাকলে বাধা প্রদান কর। তা না করতে পারলে মৌখিক ভাবে নিষেধ কর । আর সেটিও যদি না পার তাহলে তা অন্তর থেকে ঘৃণা কর।

হেফাজতে ইসলাম প্রথমটা বেছে নিয়েছে। তাদের নিয়ে কটাক্ষ করে কথা কম বলা হয় নাই। হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফা :নাগরিক অভিমত প্রথম আলো বিশিষ্ট নাগরিকদের মন্তব্য তুলে ধরেছেন। হেফজতে ইসলামের ১৩ দফা দাবীর যৌক্তিকতা কতটুকু সেটা নিয়ে। আনিসুজ্জামান স্যার,এম হাফিজ উদ্দিন খান,সালমা খান,সুলতানা কামাল চক্রবরতী এম জাহের তাদের কেউ কি কোরআনের হাফেজ?নাকি বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ?নাকি অনেক বড় আলেম?তারা ১৩ দফার বিপরীতে কি যুক্তি দিয়ে মানুষকে প্রবোধ দিবেন?তারা কি ধর্ম কর্ম পালন করেন?তাদের নিয়ে মতিউর রহমান সাব কি নিজের বিবেচনা শূন্য অবস্থা প্রমান করলেন।

ওলামালীগ এর আলেমদের দিয়ে মন্তব্য দিলেও ব্যাপরটা বিবেচিত হত। যদিও ওলামালীগ এর শীর্ষ আলেমকে তসলিমার চেয়ে নিকৃষ্ট বলা হয়েছে। (হেফাজতে ইসলামের ভাষ্যে)। এই সমস্ত বুদ্ধিমানেরা কি কোরআনের আয়াত দিয়ে হেফজতে ইসলামের কোন দফার বিপরীতে বলেছেন?মনগড়া আর খায়েশাত দিয়ে ব্যাখ্যা দেয়ার কোন সুযোগ নাই। আল্লাহ তায়ালা সীমা লঙ্ঘন কারীদের তো হুশিয়ার করেছেন।

তাদের বেরিয়ে যেতে বলেছেন তার সৃষ্ট পৃথিবী থেকে। এবং এও বলে দিয়েছেন যে তারা পারবেন না। তারা ব্যর্থ হবেন। হেফাজতে ইসলামের সদস্যও নেতাদের শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ তার কোর আনের হাফেজ ,(কোরআন সর্বশ্রেষ্ঠ কিতাব)এবং মাসলামাসায়েল সংক্রান্ত বিষয়ে ব্যপক অধ্যায়ন কারী। এলেমের ব্যাখ্যা এমন ভাবে করা হয়েছে ।

আল্লাহর হুকুম মানা ও নবীর তরীকা অনুযায়ী আমল করা। তাহলে তারাই সত্যিকারের আলেম আমরা নই। আমরা যারা ইংরেজী শিক্ষায় শিক্ষিত তারা জাহেল। আমরা চাকরি লাভের জন্য পড়ালেখা করেছি। দ্বীনি শিক্ষা মানুষকে নম্র ও বিনয়ী করে।

আর দুনিয়াবী শিক্ষা মানুষকে অহংকারী করে। হেফাজতে ইসলামের আন্দোলন ছিল শান্তিপূর্ণ। দৃষ্টান্ত দেয়ার মত। অথচ ছাত্রলীগের নেতারা অস্ত্রহাতে রাজপথে। জঙ্গি কে আওয়ামীলীগ নাকি হেফাজেতে ইসলাম।

এই পর্যন্ত ছাত্রলীগের হাতে বিশ্বজিৎ হয়েছে কয়জন। আর হেফাজতের হাতে কয়জন। তাদের জঙ্গি বলা শাহরিয়ার কবির কি উন্মাদের মত কথা বলেন নাই? নারীর অধিকার ও ক্ষমতায়নঃ ইসলাম নারীর অধিকার দিয়েছে। স্বাধীনতা দিয়েছে। তার সুস্পষ্ট ব্যাখ্যাও আছে।

স্রষ্টাই ভাল জানেন একজন নারীর ভাল কিসের মধ্যে। এবং একজন আলেম নিশ্চয় আল্লাহর নির্দেশের বাইরে গিয়ে তাদের অধিকারের বিষয়ে বলবেন না। সেই অধিকার তার নাই। তার হাত পা বাধা। কোরআনের আলোকেই তার বলতে হয়।

পৃথিবীর সমস্ত মানুষ মিলে মিছিল আন্দোলন করে সেটা কি ওল্টানো যাবে?এতে আলেমদের দোষ দেয়ার কি মানে? বরঞ্চ নারীদের যে সমস্ত অধিকার সম্মান নিরাপত্তার হুকুম আল্লাহ দিয়েছেন তার সব গুলো কি আমরা মানি?না মানলে তার জন্য আখেরাতে সবার কৈফিয়ত দেয়া লাগবে। হেফাজতে ইসলামের ফান্ড? কোরবানীর ফান্ড কে দেয়?যাকাতের ফান্ড?সারাবিশ্বে তবলীগ জামাতের ধর্ম প্রচারের ফান্ড?হজ্জ করার ফান্ড। এগুলো কে দেয়?কিংবা মাজারের কোটি কোটি টাকা। এমনকি ভন্ড পীরের কোটি কোটি টাকা এগুলোর ফান্ড কে দেয়?মসজিদের ইমামরা যদি একযোগে তাদের আন্দোলনের মাহাত্ব ওয়াজ করতে থাকেন । তাহলে তাদের ফান্ড কত হতে পারে একবারও অনুমান করেছেন।

এটা কি ১লা বেশাখের সাংস্তৃতিক অনুষ্ঠান যে ফান্ড লাগবে। ফান্ডপ্রেমি লোকজনের এত মাথাব্যথা কেন?কারণ তাদের প্রথম প্রয়োজন ফান্ড। স্বয়ং শেখহাসিনা জামাতের নিষিদ্ধের ব্যাপারে বলেছেন তারা নিবন্ধন কৃত দল। তাদের নিষিদ্ধ করা যাবে না। শহীদ রুমি স্কোয়াডকে সুকৌশলে এ কে খন্ডকারকে দিয়ে আশ্বস্ত করিয়ে তার পদত্যাগের অবস্থা সৃষ্টি করেছেন।

এর ব্যাপারে তার অবস্থানের পক্ষে যুক্তি কি? জামাতের ব্যাপারে শফি বিরুদ্ধ অবস্থানে সেই শুরু থেকে। জামাতের সঙ্গে আওয়ামীলীগের আতাত নিয়ে কালের কন্ঠে ৮ তারিখের পত্রিকায় সংবাদ পর্যন্ত এসেছে। তারা তো আওয়ামীলীগ বা কোন বামদলের রাজনীতি নিষিদ্ধের কথা বলেন নি। কোন দলেরই বলেন নাই। বা তারা কি বলেছেন জামাতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা যাবেনা করলে ব্যাপক আন্দোলন।

তারা সেটা বলেন নাই। বিরুধীদলের সকল নেতা কারাগারে একমাত্র খালেদাজিয়া বাদে বি এন পির সকল নেতা এখন কারাগারে বন্দী । এটা কোন সভ্য গণতন্ত্র?শেখ হাসিনা আর তার দল হরতাল বোমা বাজি হত্যা ভাংচুর করে নাই?সরকারী দল হয়েও হরতাল করা একমাত্র দল আওয়ামীলীগ। তাদের সন্ত্রাসী নেতারা প্রকাশ্যে অস্ত্রহাতে মহরা দিয়ে বেড়ায়। এতে কিছু হয় না?গুম হত্যা এগুলোর কোন বিচার নাই? পত্রিকাগুলো মিডিয়াগুলো তাদের মুখপাত্র হয়েছে।

সম্মানিত ব্লগার যারা স্বাধীনচেতা তাদের ওপরও হস্তক্ষেপ করেছে এই সরকার। অতীতে কোন ব্লগার কি তার ব্লগ নিয়ে এই রকম টেনশনে কোন সময় ছিল। সেটারও একাংশ কিনে নিয়ে তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজে লাগিয়ে ব্লগারদের সমালোচনায় ফেলেছে এই সরকার। বানরের রুটি ভাগের দায়িত্বে শেখহাছিনা। ব্লগারদের এরেস্ট করছেন।

আর হেফাজতদের আশ্বাস দিচ্ছেন। আবার অস্ত্র মহরা দিচ্ছেন। তারা এদেশের মানুষের মততামতকে থোরাই কেয়ার করে বহিরবিশ্ব আর প্রভু রষ্ট্রকে সুবিধা দিয়ে তাদের সন্তুষ্ট করে যে কোন অবস্থায় ক্ষমতায় থাকার মত অগনতান্ত্রিক পন্থা অবলম্বন করে নির্লজ্জের মতন মুখে গণতন্ত্র বলছেন। দেশটা জঙ্গি রাষ্ট্র হলে দেশটা জঙ্গি রাষ্ট্র হিসেবে চিহ্ণিত হলে দেশের কত ক্ষতি হবে হিসেব আছে্ । নিরীহ মান্তিফূর্ণ আন্দোলন কারী হেফাজতে ইসলাম কি কোন সন্ত্রাসী কর্যকালপ করেছে?কাবুকে হত্য করেছে?তাহলে মিডিয়া কেন মিথ্যা প্রপাগান্ডায়।

হলুদ সাংবাদিকতার পাপের টাকা খেয়ে তারা বর্বর উন্মাদ হয়ে সীমাহীন তথ্য সন্ত্রাস চালাচ্ছে। জঙ্গি রাষ্ট্র হয়ে অর্থনৈতিক অবরোধ নির্বিচারে মানুষ হত্যা । আর ধর্মপ্রাণ সরল মানুষ তাদের জীবনকে কঠিন করে তোলার দায়ভার কে নিবে?পাপ ছাড়েনা বাপকেও। সংলাপ সম্প্রতি এরশাদ সাবও সংলাপ এর ব্যাপারে চিঠি দিয়েছেন দুই নেত্রিকে। এই ব্যাপারে খালেদা জিয়ার কি আদৌ কোন দোষ আছে?মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাছিনা আপনাকে সাবেক স্বৈরাচার এরশাদও সংলাপের জন্য চিঠি দিলেন।

আপনি এখন তার চেয়েও বড় স্বৈরাচার হতে চান। এতে কি আপনার কোন লজ্জা লাগে না্ই? মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশের কল্যাণে রাজনীতি করুন। এইদেশের মানুষ ভোট দিয়ে আপনাকে বিরাট বিজয় উপহার দিয়েছে। ভাল কাজ করলে এদেশের মানুষই আপনাকে ভোট দিবে। এমন লজ্জা জনক পরিস্থিতি করবেন না যাতে আওয়ামীলীগও এর অংগসংগঠনের নেতারা নিজেদের আওয়ামীলীগের লোক বলে পরিচয় দিতে লজ্জা বোধ করে ।

একজন স্বৈরাচার হিসেবে রাজনীতিতে পরিচিতি চান নাকি গণতন্ত্রের মানস কন্যা হিসেবে?মহাত্মা গান্ধি কিন্তু সরকার প্রধান না হয়ে ও ভারতে সবার চেয়ে সম্মানিত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। ক্ষমতায় আরোহন করে অনেকেই শত মানুষের ঘৃণা আর ধিক্কার পেয়েছেন! ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.