আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শ্রীলংকায় অসম্ভব ভাল লাগার মতো একটি বিষয়।

বাংলায় কথা বলি,বাংলায় লিখন লিখি, বাংলায় চিন্তা করি, বাংলায় স্বপ্ন দেখি। আমার অস্তিত্ব জুড়ে বাংলা ভাষা, বাংলাদেশ। একটি ব্যাপার আমার খুবই ভাল লাগছে। প্রতি কর্ম দিবসের সূচনায় বিষয়টি আমি লক্ষ্য করি আর আফসোস করি। ইস্, এই ব্যাপারটি কেন আমার নিজের দেশ বাংলাদেশে হয় না? প্রথম যখন কলম্বোতে আসি তখন থাকতাম চিফ মিনিস্টারের অফিসের ঠিক পাশেই।

সকালে সাড়ে আটটা বাজা মাত্রই শুনতাম এক মধুর সুর ভেসে আসছে কানে। প্রথম প্রথম বুঝতে পারতাম না। পরে নিজের চোখে দেখে বুঝলাম আসল ব্যাপার। শ্রীলংকার প্রতিটি সরকারী অফিস এর কাজ শুরু হয় সকাল সাড়ে আটটায়। কাজ শুরুর আগে জাতীয় পতাকা উত্তোলন পর্ব।

অফিসের সকলের উপস্থিতিতে প্রথাগত বাদ্য বাজিয়ে আর জাতীয় সংগীত পরিবেশন করে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এ সময় অফিসের সবাই বিনম্রভাবে দাড়িয়ে সম্মান প্রদর্শন করে। এ সময় কোন কর্মকর্তা/কর্মচারীর কোন কারণে যদি বিলম্ব হয় - অফিস গেটের কাছে এসে যদি দেখে যে পতাকা উড়ানো হচ্ছে- তারা সেখানেই দাড়িয়ে যায়। পতাকা উত্তোনের পর নীরবে কাজে যোগদান করে। অনেক পথচারীকেও দেখেছি দাড়িয়ে যেতে।

এক বার কলম্বো বিমান বন্দরে গিয়েছি সকালে। সকাল সাড়ে আটটা বাজতেই শুনি সাউন্ড সিস্টেমে বেজে উঠল জাতীয় সঙ্গীতের সুর। দাড়িয়ে গেল সবাই। দেখে কি যে ভাল লাগল। এই না দেশাত্ববোধ।

প্রতি দিন শুনতে শুনতে আমার কাছে শ্রীলংকার জাতীয় সংগীত এখন আমার কাছে খুব মধুময় লাগে। এখন যে কারণে আফসোস তা হল- ব্যাপারটি কেন আমার নিজের দেশ বাংলাদেশে হয় না? কোন দেশই এতো বেশী রক্তের বিনিমযে স্বাধীন হয়নি। আমাদের দেশের অফিসগুলোতে কে পতাকা উত্তোলন করে আর কে নামায় তার কোন ঠিক নেই। জাতীয় সঙ্গীত কখনোই শোনা যায় না। বাংলাদেশের আনাচে কানাচে কত শত সরকারী অফিস।

সকাল নয়টায় আমাদের দেশে কি উড়ানো যেতে পারে না লাল সবুজের পতাকা? জাতীয় সঙ্গীতের সুমধুর সুর কি আমাদেরকে আলোড়িত করতে পারে না? কলম্বোতে প্রতি দিন যখনই সকালে পতাকা উড়াতে দেখি আর জাতীয় সঙ্গীতের সুর শুনি তখনই আমার মনে এ প্রশ্ন জাগে। বাংলাদেশে কি এটা হতে পারে না???? ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।