অরুণালোক হরতাল কেন হয়- এটা প্রথম ভেবে দেখা দরকার। বিরোধীদল সঙ্গত কারণে হরতাল আহ্বান করতেই পারে কিন্তু সেটা কতোটা জনস্বার্থে সেটা বিবেচনার বিষয়। বর্তমান বিরোধীদলের হরতালটা হচ্ছে বিএনপি নেতা ইলিয়াছ আলীর অর্ন্তধান/নিখোঁজ/গুম হয়ে যাওয়া নিয়ে। বিএনপি এ হরতাল ডেকেছে, কেননা তারা মনে করছে যে সরকার তার বাহিনী দিয়ে ইলিয়াছ আলীকে তুলে নিয়ে গেছে। পক্ষান্তরে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে- বিরোধীদলই ইলিয়াছ আলীকে লুকিয়ে রেখেছে।
মাঝখান থেকে সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছে জনগণ। জনগণ বুঝতেই পারছে না যে, তারা কার কথা বিশ্বাস করবে? হরতাল আহ্বানের মাধ্যমে বিরোধীদল কর্তৃক যে গাড়িচালককে আগুনে পুড়ে প্রাণ দিতে হলো, তার জীবনের মূল্য আর ইলিয়াছ আলীর জীবনের মূল্য কি দু'রকম, নাকি একই রকম? ঐ গাড়িচালক তো এ দুনিয়াতে একবারই এসেছিলো, তেমনি ইলিয়াছ আলীও এ দুনিয়াতে একবারই এসেছেন। কোন মানুষই দু'বার দুনিয়ায় আসে না। আমার দৃষ্টিকোণ থেকে পৃথিবীর সবমানুষ একই রকম মূল্যবান। সুতরাং আমাদের দেশে হরতালের মাধ্যমে মানুষ মারার ব্যধি ছড়িয়ে পড়েছে, তা বন্ধ হওয়া উচিত।
হরতাল শান্তিপূর্ণভাবে পালন হতেই পারে, যদি সেটা জনকল্যাণমূলক হয়। কিন্তু আমাদের দেশে কোন কালেই শান্তিপূর্ণ হরতাল পালন করা হয় নি। কেউ এটা করে নি। বর্তমান সরকার যখন বিরোধীদলে ছিলো, তখন তারাও শান্তিপূর্ণ হরতাল পালনে বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে। তাই তারাও বর্তমান বিরোধীদলকে হরতাল পালনে বাধা দিচ্ছে।
কিন্তু এটা ঠিক নয়। একটা দিনের হরতালের কারণে আমরা কতো পিছিয়ে পড়ছি, এটাও ভেবে দেখা দরকার। আবার হরতাল দিয়ে জাতীয় সম্পদের যে ক্ষতি হচ্ছে এটাও থামানো দরকার।
তৈয়ব খান
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক
পাক্ষিক সময়ের বিবর্তন
অরুণালোক৭০@ইয়াহু.কম
ডব্লিউডব্লিউডব্লিউ.সামহয়ারইনব্লগ.নেট/ব্লগ/তৈয়বখান ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।