আজ ১ মে, বিশ্ব শ্রমিক দিবস। খেটে খাওয়া দিনমজুরদের অধিকার আদায়ের দিন। শ্রমিকের আন্দোলনে উত্তাল হয়েছিলো এই দিন পৃথিবীর বিভিন্ন স্থান। অধিকার আদায় করতে শিখেছে শ্রমিকেরা কিন্তু তাদের ন্যায্য সকল দাবী কি আদায় হয়েছে???????????? না তা হয়নি ..............
শ্রমিক দিবসের এই দিনে অবৈধ শিশুশ্রম নিয়ে একটি ছবি ব্লগ
হেলপারের ভূমিকায় একজন শিশু
লাকড়ীর দোকানে কাজ করে যাচ্ছে শিশুরা
এই শিশুটির পক্ষে কি এ কাজ করা সম্ভব ??????//
পাথর উত্তোলনে নিয়োজিত এ শিশুরা
ওয়ার্কশপের মতো ঝুকিপূর্ন স্থানে কাজ বাদ যায়নি শিশুদের জন্য
শিশুটির চেহারাই বলে দেয় তার অবস্থা কি?
শুটকি শুকানোর কাজে নিয়োজিত শিশু
এ শিশুটির কি এই কাজ করার কথা ছিলো?
যেকোন মানুষের জন্যই যে কাজ ঝুকিপূর্ন সে কাজ যদি শিশুরা করে তাহলে?
একজন শক্ত সামর্থ ব্যক্তির পক্ষে যে কাজ করা কঠিন সে কাজে নিয়োজিত করা হয়েছে এই শিশুদের
জাহাজ নির্মানের সবচেয়ে সামনের মানুষটির বয়স কতইবা হবে?
এরা টোকাই হয়েছে কিন্তু তাদের মৌলিক অধিকার কি এটা হওয়ার কথা?
সন্ধ্যা ঘনিয়ে এসেছে পড়তে বসার কথা সকলের কিন্তু ইট ভাঙ্গার কাজে ব্যস্ত ওরা এখনো
এরকম কত ফুল বিক্রেতা রাস্তায় প্রতিদিন আপনার সামনে পড়ে কিন্তু আপনি কি করছেন তাদের জন্য?
চমৎকার গোলাপ কিন্তু বিক্রি করছে এক শিশু
এ শিশুটির কি এ কাজ করার কথা নাকি ও যখন স্কুলে যাবে তখন ওর মা এভাবে তার জুতা মুছে দেয়ার কথা?
আমরা হোটেলে খাই , হোটেলে পরিস্কার আর পানি দেয়ার কাজ করতে হচ্ছে এ্ররকম ছোট্ট শিশুদের কে
ময়লার স্তুপ থেকেই হয়তো সে খুজে বের করবে তার রুজি রুটি
রাস্তায় পিঠা বা অন্য কিছু তৈরীতে ব্যস্ত এই শিশুটিও
বাস , ট্রেন, লঞ্চ থেকে নামলেই ওদের এই দৃশ্য চোখে পড়ে
ওর মশৃন হাতটি শিল্পের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে হয়তো ও বড় হতে পারলে অনেক বড় শিল্পী হতে পারতো
গরমের দিনে রাস্তায় পানি বিক্রি করে সে আপনার প্রান জুড়ায়
এই ভারী বস্তাটা কি তার জন্য ?
শিশুটি চা বানাবে আর আমরা খাবো..........কোথায় আমরা?
রস বিক্রি করবে সে,,,,,,
কামারের কাজে নিয়োজিত শিশু শ্রমিক
ওরা দৌড়াচ্ছে কিন্তু তা কি খেলার জন্য নাকি কাজের জন্য?
হাড়ি পাতিল তৈরীর কাজে..............
এক জন বৃদ্ধ আর একজন শিশু বয়ে নিয়ে যা্চ্ছে অন্যদের কিন্তু কেউই এ কাজে উপযুক্ত নয়
শরীরের সকল শক্তি দিলেও কি তার পক্ষে এ কাজ করা সম্ভব?
এই মেয়ে শিশুদের কে লাগানো হচ্ছে নিষিদ্ধ শ্রমে
বয়স্ক নারীটির সাথে সাথে বাদ পড়েনি এ শিশু মেয়েটি ........
পুলিশের হাত থেকে রেহাই পায়নি এই শিশুটিও
প্রতিটি শিশু হোক ............. উজ্জল
আমাদের প্রত্যেকের আশা ............. প্রতিটি শিশু হোক এরকম
বাংলাদেশের শ্রম আইন ২০০৬ অনুযায়ী শিশু শ্রমের অবস্থা তুলে ধরা হয়েছে।
দেখুন শিশু শ্রমের ব্যাপারে আইন কি বলে..................
ধারা ৩৪: শিশু ও কিশোর নিয়োগে বাধা নিষেধ:
১. কোন পেশায় ও প্রতিষ্ঠানে কোন শিশুকে নিয়োগ করা যাইবে না বা কাজ করিতে দেওয়া যাইবে না।
২. কোন পেশায় বা প্রতিষ্ঠানে কোন কিশোরকে নিয়োগ করা যাইবে না বা কাজ করিতে দেয়া হইবে না , যদি না-
(ক) বিধি দ্বারা নির্ধারিত ফরমে একজন রেজিষ্টার্ড চিকিৎসক কর্তৃক তাহাকে প্রদত্ত সক্ষমতা প্রত্যয়নপত্র মালিকের হেফাজতে থাকে এবং
(খ) কাজে নিয়োজিত থাকাকালে তিনি উক্ত প্রত্যয়নপত্রের উল্লেখ সম্বলিত একটি টোকেন বহন করেন।
৩. কোন পেশা বা প্রতিষ্ঠানে কোন কিশোরের শিক্ষাধীন হিসাবে অথবা বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের জন্য নিয়োগের ক্ষেত্রে উপধারা(২) এর কিছুই প্রযোজ্য হইবে না।
৪. সরকাল যদি মনে করে যে , কো জরুরী অবস্থা বিরাজমান এবং জনস্বার্থে ইহা প্রয়োজন , তাহা হইলে সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা , উহাতে উল্লেখিত সময়ের জন্য উপ ধারা (২) এর প্রয়োগ স্থগিত ঘোষনা করিতে পারিবে।
ধারা ৩৫: শিশু সংক্রান্ত কতিপয় চুক্তি নিষেধ
কোন শিশুর মাতা পিতা বা অবিভাবক শিশুকে কোন কাজে নিয়োগের অনুমতি প্রদান করিয়া কাহারও সহিত কোন চুক্তি করিতে পারিবেন না।
ধারা ৩৯: কতিপয় কাজে কিশোর নিয়োগে বাধা:
কোন প্রতিষ্ঠানের যন্ত্রপাতি চালু অবস্থায় উহা পরিস্কারের জন্য , উহাতে তেল প্রদানের বা উহাকে সুবিনস্ত করার জন্য বা উক্ত চালু যন্ত্রপাতির ঘূর্নিয়ামন অংশগুলির মাঝখানে অথবা স্থির এবং ঘূর্ণায়মান অংশগুলির মাঝখানে কোন কিশোরকে কাজ করিতে অনুমতি দেওয়া যাইবে না।
ধারা ৪১: কিশোরের কর্মঘন্টা:
১. কোন কিশোরকে কোন কারখানা বা খনিতে দৈনিক ৫ ঘন্টার অধিক এবং সপ্তাহে ত্রিশ ঘন্টার অধিক সময় কাজ করিতে দেওয়া হইবে না।
২. কোন কিশোরকে অন্য কোন প্রতিষ্ঠানে দৈনিক সাত ঘন্টার অধিক এবং সপ্তাহে ৪২ ঘন্টার অধিক সময় কাজ করিতে দেওয়া যাইবে না।
৩. কোন কিশোরকে কোন প্রতিষ্ঠানে সন্ধ্যা ৭.০০ ঘটিকা হইতে সকাল ৭.০০ ঘটিকার মধ্যবর্তী সময়ে কোন কাজ করিতে দেওয়া যাইবে না।
৪. যদি কোন কিশোর অধিকাল কাজ করেন, তাহা হইলে অধিকালসহ তাহার কাজের মোট সময় -
(ক) কারখানা বা খনির ক্ষেত্রে , সপ্তাহে ছত্রিশ ঘন্টা
(খ) অন্য কোন প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে , সপ্তাহে আটচল্লিশ ঘন্টা: এর অধিক হইবে না।
৫. কোন প্রতিষ্ঠানে কোন কিশোরের কাজের সময় দুইটি পালায় সীমাবদ্ধ রাখিত হইবে এবং ইহার কোন পালায় সময়সীমা সাড়ে সাত ঘন্টার বেশী হইবে না।
৬. কোন কিশোরকে কেবলমাত্র একটি রীলেতে নিযোগ করা যাইবে এবং পরিদর্শকের নিকট হইতে লিখিত পূর্ব অনুমোদন ব্যতীত ত্রিশ দিনের মধ্যে ইহা একবারের বেশী পরিবর্তন করা যাইবে না।
৭. এই আইনের অধীন সাপ্তাহিক ছুটি সংক্রান্ত বিধান কিশোর শ্রমিকের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হইবে এবং এই বিধানের প্রযোগ কিশোর শ্রমিকের ক্ষেত্রে স্থগিত করা যাইবে না।
৮. একই দিনে কোন কিশোর একাধিক প্রতিষ্ঠানে কাজ করিতে পারিবেন না।
ধারা ৪২:
কোন কিশোরকে ভূগর্ভে বা পানিরে নীচে কোন কাজে নিয়োগ করা যাইবে না।
ধারা ২ : সংজ্ঞা:
৮. কিশোর: চৌদ্দ বৎসর পূর্ন করিয়াছেন কিন্তু আঠারো বৎসর বয়স পূর্ণ করেন নাই এমন কোন ব্যক্তি।
৩৬. প্রাপ্ত বয়স্ক: : আঠারো বৎসর বয়স পূর্ণ করিয়াছেন এমন কোন ব্যক্তি
৬৩. শিশু: চৌদ্দ বৎসর বয়স পূর্ণ করেন নাই এমন কোন ব্যক্তি
শিশু শ্রম বন্ধ করুন। সচেতন করুন মানুষকে । এরাই জাতির ভবিষ্যত । এদের গড়ে তুলি ................ জাতিকে গড়ে তুলুন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।