পাওয়ার অব পিপল স্ট্রংগার দেন দি পিপল ইন পাওয়ার। http://mhcairo.blogspot.com/
জীবনের প্রথম ইউরুপ ট্যুরের জন্য যতটুকু কৌতুহল কিংবা উত্তেজিত থাকা দরকার আমার মনের ভিতর ততটুকু উৎসাহ না পেয়ে মনে মনে কষ্ট পেতে লাগলাম। তারপরও ভিষা যেহেতু পেয়েছি সেহেতু না যাওয়াটাকে বোকামি মনে করে প্রস্তুতি সেড়ে নিলাম।
জার্মান দূতাবাস থেকে ভিষা নিয়েছি সেহেতু প্রথম ডেসটিনেসন জার্মানির ফ্রান্কফোর্টকেই বেছে নিলাম। (যদিও এমন কোন শর্ত নেই)
ফ্রান্কফোর্ট ডেসটিনেশন থাকলেও একঘন্টার ট্রানজিট ছিল অস্ট্রিয়ার ভিয়েনাতে।
বিমান ল্যান্ড করতে মিনিট বিশেক লেট হওয়াতে ল্যান্ডকরা মাত্রই দ্রুত পা বাড়ালাম কানেকটিং ফ্লাইট ধরতে। গেটে সিড়িয়াল দেখে আমি ছোট্ট একটি সিরিয়ালের পেছনে দাড়ালাম। পাঁচ মিনিটেই লাইন শেষ হয়ে গেল। আমার পাসপোর্ট নিয়ে কোন কিছু না জিজ্ঞেস করেই একটা সিল মারল। দ্রুত ফ্রান্কফোর্টের বিমান ধরলাম।
১ঘন্টা ১০ মিনিট পর ফ্রান্কফোর্টে পৌছলাম। এক্সিট এর দিকে পা বাড়ালাম। একটু পরেই দেখি আমি এয়ারপোর্টের বাহিরে। লাউন্জ একেবারে ফাকা। কোন অফিসার নেই।
কিন্তু আমি চিন্তিত হয়ে পড়লাম কারণ আমার ইমিগ্রেশন সিল নেয়া হয় নাই। তাই এদিক সেদিক ঘুড়ে দুইজন পুলিশ অফিসারকে পেয়ে বললাম, আমি মাত্র এসেছি কিন্তু কোন ইমিগ্রেশন পেলাম না। সিল ছাড়া আমার তো সমস্যা হবে। সে পাসপোর্ট নিয়ে চেক করে বলল, তুমি প্রথম কই নেমেছ? আমি বললাম ভিয়েনাতে একঘন্টা ট্রানজিট ছিল। সে বলল, ঠিক আছে।
ভিয়েনাতেই তোমার ইমিগ্রেশন হয়ে গিয়েছে। এই দেখ সিল। সো নো টেনশন এন্ড এনজয় ইউুর টাইম। এর নাম ইমগ্রেশন বুঝতে পেরে মনে আনন্দ ফিরে পেলাম। খুশিতে পাখির মত উরতে লাগলাম.............
আমার দেখা উইরুপের ৯ দেশের ১৫টি শহড়ের মধ্যে ফ্রান্কফোর্টকেই সবচেয়ে বেশি আধুনিক শহড় মনে হয়েছে।
এত উচু উচু দালান ইউরুপের আর কোন শহড়েই দেখি নি।
ইউরুপিয় মানুষদের প্রশংসা সবাই করে থাকে, কিন্তু আমি জার্মানদের কথা একটু বাড়িয়েই বলব। ডিসিপ্লিন মানাই যেন তাদের প্রথম ধর্ম।
অপেরা হাউজ।
হোপপানহোপ।
সেন্ট্রাল ষ্টেষন।
ফ্রান্কফোর্ট থেকে লিভারকুজেন যাবার পথের দৃশ্য ও স্নৃতিগুলো অনেকদিন মনে থাকবে।
লিভারকুজেন ষ্টেডিয়ামে উইমেন বিশ্বকাপের একটি খেলাও দেখলাম। ইংল্যান্ড বনাম ফ্রান্স।
আমার টলি ও ব্যাগ এ্যাম্সটারডাম যাবার বাসের অপেক্ষায় আছে।
ইউরুলাইন/ ৭ ঘন্টা/ ৪৯ ইউরু।
সুতরাং পরের পর্বে আমেস্টারডাম....................ইটস লিটিলবিট এ্যবাউট ১৮+।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।