এসো আবার চড়াই উৎড়ই.......... মানুষের আর্থ-সামাজিক স্ট্যাটাস গণনার ব্যবস্থা সেই সমাজ ব্যবস্থার শুরু থেকেই প্রচলিত। বরিশাল-খুলনার মানুষের স্ট্যাটাস নাকি নির্ভর করে লঞ্চের সংখ্যাগত মালিকানার উপর। তো সেই সংখ্যাগত স্ট্যাটাস গণনার ব্যবস্থাও যে আমাদের সমগ্র নৌ-পরিবহণ সেবা গ্রহণকারী জনতার যাতায়াতকে সুনিশ্চিত করতে পারেনি, আমরা বছরের পর বছর বিভিন্ন ঈদ ও পূঁজা মৌসুমে দেখে এসেছি। পৃথিবীতে আজকাল ঝড়ের কবলে পড়ে মহাসমুদ্রে মালবাহী জাহাজডুবীর ঘটনাও যেখানে বিরল, সেখানে বাংলাদেশের যাত্রীবাহী লঞ্চডুবীর ঘটনা বিশ্বকে এটাই স্মরণ করিয়ে দেয় যে, আমাদের সবচেয়ে সস্তা জিনিসটার কথা। আর তা হল “জনতা”।
আমাদের মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়েরা কেন যে মহামূল্যবান ব্ল্যাক বেঙ্গল গটগুলোকে শুধু শুধু সস্তা জনতার কাছে বিলি করেন। এর পেছনে কোন টু-পাইস ইনকাম নাইতো?
পূঁজা ও ঈদ মৌসুমে, বিভিন্ন পেশাজীবি মানুষের ঈদ-ছুটিকে , মাসব্যাপী কোন ছকে ফেলা গেলে, একই দিনে নৌ ও অন্যান্য যাত্রীসেবা পরিবহনের উপর চাপটা কম পড়ত এবং পুরোনো হোক আর মরচে ধরা হোক, যা আছে তাই নিয়েও অনেক ভালো মানের ও নিরাপদ সেবা দেওয়া সম্ভব হত।
ঢাকা শহরের সমস্ত নদ-নদী, খাল-বিল ভরাট করে আন্ডারগ্রাউন্ড সুয়ারেজ ব্যবস্থা রেখে, তা যেন বুড়িগঙ্গায় ফেলা যায়, সে ব্যবস্থাটা ঢাকা মহানগরের দুই সিটি কর্পোরেশনের কর্তাব্যক্তিকেই ভাবতে অনুরোধ করা হচ্ছে, সেই সাথে এটাও মাথায় রাখতে হবে যে, জলাবদ্ধতা নিরসনে পুরোনো খাল-সংস্কার করে পারবেন না, এরচেয়ে আন্ডারগ্রাউন্ড ড্রেনেজ সিস্টেমের উন্নতি ঘটান ও আবর্জনা নিরসনে সচেষ্ট হোন।
এবার বুড়িগঙ্গার কথায় আসি একেই বহণ করতে হবে, বাসী তরকারীর ঝোল থেকে শুরু করে ট্যানারীর দূষণও তাই তার প্রাণীকূল ও জলের সচ্চতা নিয়ে চিন্তা ভাবনা ছেড়ে দিন। একে ড্রেন বলে মেনে নিন।
কিন্তু, এই ড্রেনটিও যেন মরে না যায় সেদিকটা কিন্তু, অবশ্যই খেয়াল রাখবেন। আরও কয়েকটি নর্দমাকেও সেই সাথে সচল রাখবেন বলে আশা রাখছি। তুরাগ................
খুলনার মংলা সমুদ্র বন্দর হতে ছোট ছোট মালবাহী জাহাজের মাধ্যমে ঢাকার আশেপাশে কন্টেইনার আনলোড করা সম্ভব কি ? সম্ভব হলে, তার কোন উদ্যোগ নেওয়া হবে কি ? হলেও, তা কতদিনে বাস্তবায়ন করবেন ? এতে যা হবে তা হল সড়ক পথের উপর চাপ কমে আসবে।
আর ফেরী ও কার্গো জাহাজগুলো যেন আটকা পড়ে না যায়, সেজন্য নদীতে পানির প্রবাহ ঠিক রাখতে ড্রেজিং সিস্টেমকে সচল রাখুন।
ফেরী পারাপারের কথা মনে হলেই *দীর্ঘ জ্যামে আটকে পড়ে, বন্ধু পত্নীর মোহে বন্ধুর মৃত্যু কামনা যেন না করতে হয়* তার জন্য পদক্ষেপগুলো কবে নেওয়া হবে?
দিন বদলের বাড়িতেও ফেরীঘাটের ইজারা নেওয়ার লবিং ও টেন্ডার সন্ত্রাস, অতিরিক্ত চার্জ আদায়, টেন্ডার জনিত মারামারি হতাশা বাড়ায়, তাই নয় কি?
প্রেমের বিচ্ছেদে যারা ভৈরব ব্রিজ হতে লাফিয়ে পড়েন, তাদের জন্য সে স্থলে একটি সমাধি স্তম্ভ স্থাপন করা হোক, উদ্ধার অভিযানে মাঝি-মাল্লাদের ভালোবাসার হাতকে সুদৃঢ় করুন।
নগ্ন মাঠে ইশ্বর আসেন নক্ষত্রের আলোকরাজিতে ভর করে, আর তাই সফল ভালোবাসায় বেদে মেয়েদের স্থানের ঘরে উঁকি দেওয়া কি আমাদের সরকার কমাতে পারবেন ?
গ্যালাক্সির শেষ ভালোবাসার মানুষটিকে এক চুমুক তৃষ্ণার জল খাওয়াবো, আমাদের এমন নদী সেই কবেই মরে গেছে। আছে শুধু লৌহ চড়ে খনিজের সন্ধান।
মিডিয়া ব্যক্তিত্বরা একটু তুলে আনবেন কি? মাঝি পাড়ের করুণ চিত্র, টাকা ভাগের দৌড়াত্ব, আধপেটা মালার হাহাকার।
চাঁদপুরের অন্তত একটি স্থান (বড় স্টেশন) নদীর মোহনা হয়ে উঠতে পারতো, বিশেষ মৌসুমে পর্যটনের স্বর্গক্ষেত্র, বাদ-বাকীগুলো নাইবা বললাম।
এক রাতেই স্বর্গকে বিক্রি করে দিয়ে, বসে থাকা যায় ব্রক্ষ্মপুত্রের পাড়ে, এ পাড়ে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ওপাড়ে তোমার আটপৌড়ে শাড়ি।
আমার থেমে থাকাটা যদি নদী পাড়ের মত ভেবে নেই, তবে কেউ যেন বিলাপ না করেন, দূষিত স্রোতের উত্তালতায় যদি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাই, শপথ করছি নতুন পাললিকতার চড়ে ব্যবসাসফল ‘মনপুরা’ হয়ে উঠে আসবো। যার জন্য আধিবাসীদের নারকেলে-কচুর তরকারীটা খেয়েও ঝগড়া করতে দেখি গিয়াস-উদ্দীন সেলিমের ক্যামেরায়। (এ অংশটুকুতে কেউ নান্দনিকতা বা তথ্য না খোঁজার অনুরোধ করছি)।
আমাকে একটু তুলে ধর, আমাকে অবগাহনের সুযোগ দাও, আমার স্তুতি গাও...........। কারন, আজ আমিত্বের জয়গানে মত্ত্ব আমি, আমি প্রেত, আমি গুঞ্জন, আমি মৃদুমন্দ গুঞ্জনে গুঞ্জরিত প্রহেলিকা, আমি ধূমকেতু, আমি হেন তেন কারণ জনতা চাইলেই আমি একটা কিছু, নয়তো ? বলা হয়ে থাকে নদীমাতৃক বাংলাদেশ, শব্দটি রূপান্তরিত হোক, মৃত নদীমাতৃক বাংলা(?)দেশে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।