আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ডাচবাংলা ব্যাংকের একাউন্টধারীরা সাবধান !!!!! (একটি জনসচেতনা মূলক পোষ্ট)

সমস্ত প্রশংসা সেই মহান আল্লাহ পাকেরই প্রাপ্য,যার হিসাব অত্যান্ত সুক্ষ্য এবং সম্পূর্ন নির্ভুল। মোড়ে মোড়ে এটিএম বুথের কারনে এখন বেশির ভাগ মানুষই ডাচবাংলা ব্যাংকে একাউন্ট করছে। ভাল ব্যাপার মানুষ আধুনিক ব্যাংকিং সুবিধা পাচ্ছে !!! মানি ব্যাগে টাকা রাখার পরিবর্তে মানুষ এখন টাকা রাখছে সিডিএম মেশিনে। আবার প্রয়োজনে ছুটে যাচ্ছে মোড়ের এটিএম বুথে খরচের টাকার জন্য। মানুষ আধুনিক ব্যাংকিং এর সুবিধা নিচ্ছে আর ব্যাংকও সুবিধা দিবার নামে বছর শেষে বিভিন্ন চার্জের নামে কেটে নিচ্ছে ১৫০০-২০০০ টাকা।

সে যাই হোক, নেটওর্য়াক সমস্যা, এটিএম নষ্ট বা টাকা শেষ হয়ে গেছে এধরনের সমস্যায় ডাচবাংলা ব্যাংকের একান্টধারীরাতো কমবেশি সবাই অভ্যস্ত হয়ে গেছেন। কিন্তু তাই বলে, একাউন্ট থেকে টাকা গায়েব হয়ে যাবে ??? প্রয়োজনে টাকা তুলছি আবার জমা দিচ্ছি কিন্তু কখনও সেভাবে ব্যালেন্স মিলানো হয় না। সেটা সম্ভবও না। কারন তাহলে আবার ম্যানুয়্যালি হিসাব রাখতে হয়। গত ০১/০৪/১২ জরুরি প্রয়োজনে কিছু টাকা তুলতে গেলাম।

কিন্তু হতাশ হয়ে ফিরতে হলো কারন নেটওর্য়াক সমস্যা। অন্য আর একটি ব্যাংক থেকে টাকা তুলে সেদিনের প্রয়োজন সম্পন্ন করলাম। পরদিন ইন্টারন্টে ব্যাংকিংএ লগ ইন করে দেখি আমার ৫০০০ টাকা গায়েব। আরও কিছু টাকা গায়েব হয়েছিল সেগুলো আবার ফিরে এসেছে। কিন্তু ৫০০০ টাকার কোন হদিছ নাই।

ভাবলাম নেটওর্য়াক সমস্যা সমধান হলে হয়তো ফেরত আসাবে কিন্তু কোন খবর নাই । পরে কল সেন্টারে ফোন করলে ওরা বলল ব্রাঞ্চে যেতে হবে। ব্রাঞ্চে গেলাম ওনারা অনেকক্ষন একউন্ট পরীক্ষা নিরীক্ষা করে একটি ফরম দিল পূরন করার জন্য। ফরম পূরন করে দেবাব পর বলল ১৫ দিন অপেক্ষা করতে হবে টাকা ফেরত পাবার জন্য। অবশেষে গত কাল সেই টাকা ফেরত পেলাম।

ইন্টারন্টে ব্যাংকিং এ একাউন্ট না থাকলে এই টাকা ফেরত পেতাম না। কারন আমি ব্যালেন্স মিলাই না। আর এভাবে আরও কত টাকা যে গায়েব হয়েছে তার তো কোন হিসাবই নাই। উপসংহারঃ আমি এখন থেকে সব সময় ব্যালেন্স চেক করে মিলাবো এবং আপনাও আশা করি তাই করবেন। না হলে ............ বুঝতেই পারছেন।

টাকা গায়েব হওয়া থেকে ফিরে আসা পর্যন্ত একাউন্টের একটি স্কিনশট দিলাম। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.