একাউন্ট টিকিয়ে রাখতে অন্যান্য ব্যাংক যেখানে সামান্য পরিমানে অর্থ জমা রাখছে ডাচবাংলা ব্যাংক সেখানে মুনাফার ধান্দা করছে। অর্থাৎ একাউন্ট টিকিয়ে রাখতে গ্রাহককে যে পরিমান অর্থ জমা রাখতে হচ্ছে তা দিয়ে ব্যাংক অতিরিক্ত মুনাফা করছে। কিন্তু এর ভাগ পাচ্ছেন না গ্রাহকরা। বরং একাউন্ট টিকিয়ে রাখতে নিরবচ্ছিন্নভাবে ৫০০ টাকার পরিবর্তে ২০০০ টাকা রাখা হচ্ছে। ডাচবাংলা ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করে এ অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।
জানা যায়, সারাদেশে ডাচবাংলা ব্যাংকের ১২৬টি শাখায় গ্রাহকদের প্রায় ২৫ লাখ একাউন্ট আছে। এছাড়া ৩টি এসএমই সুবিধাসহ শাখা রয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যাংকটির ২৩৭৫টি এটিএম বুথ থাকায় অসংখ্য গ্রাহক সুবিধার কথা বিবেচনা করে ডাচ বাংলা ব্যাংকে একাউন্ট খুলেছেন এবং তিণগুণ টাকা অতিরিক্ত খরচ হওয়ার পরও এখনো খুলছেন। তবে এক্ষেত্রে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী ও উদ্যোক্তাসহ অনেকের জন্যই ডাচবাংলা ব্যাংকে একাউন্ট খোলা ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এ বিষয়ে একাধিক আইপিও ব্যবসায়ী শেয়ারনিউজ২৪ডটকমে অভিযোগ করেছেন।
তাদের মতে, একটা আইপিও আবেদন করতে সর্বনি�œ ৫০০০ টাকা লাগে। এজন্য একটি বিও একাউন্ট খুলতে ৫০০ ও একটি ব্যাংক একাউন্ট খুলতেই প্রয়োজন হয় আরও ২০০০ টাকা। দেখা যাচ্ছে আইপিও আবেদনটির মোট মূল্য দাঁড়ায় ৭৫০০ টাকা। অর্থাৎ যে কারণে আইপিওতে আবেদন করা তার সুফল খুব বেশি পাননা বিনিয়োগকারীরা।
শেয়ারনিউজ২৪ডটকমকে একজন ভুক্তভোগী আইপিও ব্যবসায়ী জানান, ‘‘আইপিও ব্যবসার সুবিধার্থে আমরা অনক সময়ই পরিবারের সদস্য ও আত্মীয় স্বজনদের নামে একাউন্ট খুলে থাকি।
এক্ষেত্রে ১০টা একাউন্ট খুললে চলে যাচ্ছে ২০ হাজার টাকা। ”
এ ব্যাপারে ডাচবাংলা ব্যাংক লিমিটেডের সঙ্গে যোগাযোগ করলে প্রতিষ্ঠানটির সিএফও খান তৌফিকুল ইসলাম শেয়ারনিউজ২৪ডটকমকে বলেন, ‘‘এটা ব্যাংকের মার্কেটিং পলিসি। ব্যাংকের কিছু নিজস্ব খরচ আছে। এসব খরচের পরও যাতে ব্যাংক প্রফিট করতে পারে, সে ভিত্তিতেই ব্যাংকের পলিসি নির্ধারিত হয়। ”
অর্থাৎ, শুধুমাত্র লাভ বা প্রফিট করার জন্যেই গ্রাহক শোষণ করছে ডাচবাংলা ব্যাংক!
Source: Click This Link ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।