houseless man আমরা হরতাল দিচ্ছি, এ সুযোগে তোমরা দোকান-পাট, গাড়ী, হাতের কাছে যা কিছু পাও ভাংচুর কর। সবকিছু জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দাও, মারমুখি হও, জীবন দাও, রক্ত দাও নইলে আন্দোলন বেগবান হবেনা, আমরা ক্ষমতায় যেতে পারবো না। জনগণের টাকায় ফূর্তি করতে পারবো না, এসি রুমে থাকতে পরবো না, মার্সিডিস গাড়ীতে চড়ে ঘুরে-বেড়াতে পারবো না, বিদেশে মার্কেটিং করতে যেতে পারবো না। সরকারী টাকা ছাড়া ভুড়ি ভোজ-ফুর্তি মৌজ করা যায় না। হরতাল হয়।
সর্বনাশ হয় জনগণের, কষ্ট বাড়ে, হুহু করে বেড়ে যায় জিনিষ পত্রের দাম দু’গুণ, তিন গুণ, বাড়ে না মানুষের দাম।
অপরদিকে সরকারী দল ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য বিরোধী দলের উপর পুলিশ বাহিনী লেলিয়ে দিচ্ছে ওদেরকে ঠেকাও, না ঠেকাতে পারলে আমরা হেরে যাবো। হেরে গেলে ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবো না। সরকারী এবং প্রধান দুই দলের এই মারমুখি অবস্থানে আমরা সাধারণ জনগণ পিষে মরছি, গুম হচ্ছি, খুন হ্িচ্ছ, হাসপাতালে সঠিক চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুর প্রহর গুণছি। আমাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার।
বিরোধী দল হরতালের পর হরতাল দিচ্ছে, একজন ইলিয়াস আলীর জন্য হরতাল হলো। হরতালের কারণে ড্রাইভারকে পুড়িয়ে মারা হলো, সেলিম, মনোয়াররা মারা গেল, বাস হেলপার রওশনরা হাসপাতালে কাৎরাচ্ছে। আর কত মৃত্যু দেখতে হবে কে জানে? জ্বালাও পোড়াও নামে অপরাজনীতি আর দেখতে চাইনা। সোনার বাংলা দেখতে চাই। ইলিয়াস আলীর পরিবারকে সহানুভুতি দেখানো হচ্ছে, সেলিম, মনোয়ার রওশনদের দেখার কেউ নেই।
তাদের কেউ খোঁজ রাখে না। ওদের জীবনের দাম নেই। যাদের জীবনের দাম বেশি তাদের জন্য আমরা জীবন দেই, সব কিছু করি।
উপরের ছবিটি দেখুন। ছবিটি নীলফামারী থেকে পাঠিয়েছেন বাংলার চোখ নিউজ এজেন্সির ফটো সাংবাদিক আবদুল গফুর।
দু’জন দু’জনের চরম শত্রু। ইচ্ছে করলে কুকুরটি বিড়াল ছানাটিকে খতম করে ফেলতে পারতো। কিন্তু না, মাতৃহারা বিড়াল ছানাকে পরম মমতায় দুধ পান করাচ্ছে কুকুরটি। পরস্পর শত্রু হলেও কুকুরটির এ ত্যাগ বিড়াল ছানাটিকে বাঁচার স্বপ্ন দেখাচ্ছে। সবাই বাঁচার স্বপ্ন দেখে, জনগণকে বাঁচাতে আমাদের দেশের সরকারী এবং প্রধান বিরোধী দলগুলো যদি ঝগড়া বিবাদ ভুলে এভাবে পরম মমতায় স্বনির্ভর দেশ গড়ার জন্য আন্তরিকভাবে কাজ করতেন তাহলেই দেশটি হতো সত্যিকারের সোনার বাঙলা।
সেই সোনার বাংলা কবে দেখতে পাব?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।