আহা ! কি দারুণ ! শব্দটা থুক্কু শব্দগুচ্ছটা কানে আসলেই কেমন জানি কাতুকুতু লাগে- তা শরীরে লাগে না মনে লাগে...ঠিক বুঝে উঠতে পারি না। দেখেন আপনারা কিন্তু এ নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করবেন না। জানেনই তো- এই সব নিয়া বেশি চুদুর-বুদুর চইলতো ন।
যাইহোক, একদা এক বাঙালি মৃত্যুর পর বহু হেঁটে, তপ্ত মরুর বালিতে হেঁটে হেঁটে ক্ষয়ে যাওয়া পা আর তৃষ্ণায় ফেটে যাওয়া ছাতি (বুকের ছাতি কিন্তু) নিয়ে হাজির হল বেহেশত এর দরজায়। সেখানে এসির বাতাসে দাঁড়িয়ে থাকা এক প্রহরী তাকে নানা প্রশ্ন শুরু করল- আপনি কে? কোথা থেকে আসছেন? বাঙালি ভদ্রলোক নাম ও পরিচয় বললেন।
বললেন তিনি বাংলাদেশ থেকে এসেছেন। সাথে সাথে প্রহরী তার দুপাশের সিকিউরিটি সেন্সরগুলো চালু করে দিল। চোখ সরু করে প্রশ্ন করলো- আপনার সাথে কি বোমা আছে? নাকি মেশিন (পিস্তল, রাইফেল ইত্যাদি) আছে? নাকি লগি-বৈঠা-লাঠি আছে? নাকি চাপাতি-রামদা আছে? বাঙালি ভদ্রলোক তো বেজায় রেগে গেলেন। এতটা কষ্ট করে এতটা পথ হেঁটে এসেছেন; মেজাজ টা স্বভাবতই চড়া। তবু বেহেশতের প্রহরী দেখে ঠান্ডা-আময়িক স্বরে উত্তর দিলেন- “জি না, আমার সাথে এগুলো কিছু নাই”।
প্রহরী আবার প্রশ্ন করলো- “তাইলে কি ভাই, আপনের সাথে ইটা আছে? নাকি মলম আছে? গুড়া মরিচ নাই তো?” বাঙালি ভদ্রলোক আর ভদ্রলোক আর ভদ্র থাকতে পারলেন না। খানিকটা অভদ্রভাবেই জানালেন এগুলোও তার সাথে নেই। তবুও প্রহরীর প্রশ্নবাণ থামে না। একের পর এক প্রশ্ন- কোন দল করতেন, কোথায় থাকতেন- শিবিরের মেস নাকি হেফাজতী মাদ্রাসায়; বিএনপি বস্তি নাকি আওয়ামী লেকে? ................................................ শেষপর্যন্ত আর সহ্য করতে না পেরে বাঙালি ভদ্রলোক বেজায় অভদ্রভাবে চিৎকার দিলেন- “এইসব চুদুর-বুদুর চইলত ন.........”
সেই থেকে বাঙালিয়ানায় কোন কিছু মাত্রা ছাড়িয়ে গেলে এই মহাবাক্য বলার রেওয়াজ চালু হল।
[আমার সকল লেখালেখি আর প্রেজেন্টেশনের আপডেট পাবেন আমার পেজ এ।
http://www.facebook.com/mosrur.ridwanul আপডেট থাকতে লাইক দিতে ভুলবেন না কিন্তু। ] ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।