চিন্তাশীল আলোচনা করতে চাই। সবার সহযোগীতা একান্ত কাম্য। অ্যাজাইরা পেচালের টাইম নাই। একজন সৃস্টিকর্তা বিশ্বাসী কেন, কিভাবে, কি কারনে সৃস্টিকর্তার অবিশ্বাসীতে পরিনত হয়?
কোন একটা বিষয়ের পিছনে কিছু কারন থাকে। সৃস্টিকর্তা বিশ্বাসীরা কেন, কিভাবে, কি কারনে তার বিশ্বাস কে ত্যাগ করে সৃস্টিকর্তার অবিশ্বাসীতে পরিনত হয় এবং নিজেদের কে সৃস্টিকর্তার অবিশ্বাসী বলে দাবী করে তা আমার ভাষায় তুলে ধরার চেস্টা করেছি।
কোন বিষয় বাদ পড়লে জানাবেন অবশ্যই ঠিক করে সম্পাদন করবো।
নিন্মে বিভিন্ন স্পেসিফিক কারন এর উপর ভিত্তি করে প্যারা করে নিন্মে বর্ননা দেওয়া হলো।
1. বুদ্ধিভিত্তিক ও প্রয়োজনীয় বিশ্লেষনী চিন্তা এর অভাব :
সৃস্টিকর্তাকে অনুধাবন ও তার অস্তিত্বের প্রমান করা শুধু মাত্র বুদ্ধিভিত্তিক ও প্রয়োজনীয় বিশ্লেষনী চিন্তা দ্বারা। অনেক সময় সঠিক ভাবে বুদ্ধিভিত্তিক ও প্রয়োজনীয় বিশ্লেষনী চিন্তা না করে মানুষের সাময়িক ভাবে সৃস্টিকর্তার প্রতি বিশ্বাসের তারতম্য হতে পারে। তাই পরবর্তীতে বুদ্ধিভিত্তিক ও প্রয়োজনীয় বিশ্লেষনী চিন্তা দ্বারা পরিপুর্ন ও খাটি ভাবে সৃস্টিকর্তার বিশ্বাস অর্জনের সুযোগ রয়েছে।
2. নিজেকে একটু ব্যতিক্রম ও আনকমন ভাবে উপস্থাপন করে সবার দৃস্টি আকর্ষন করতে চাওয়ার প্রবনতা :
মানুষের অনেক গুলো স্বাভাবিক স্বভাবের মধ্য অন্যতম একটি স্বভাব হলো নিজেকে একটু ব্যতিক্রম ও আনকমন ভাবে উপস্থাপন করে সবার দৃস্টি আকর্ষন করতে চাওয়ার প্রবনতা। এতে সে ভিন্ন ও নতুন একটা ব্যক্তিত্ব এর বিকাশ ঘটাতে পারে এবং সকলের দৃস্টি আকর্ষন করতে পারে। তাই কিছু কিছু মানুষ চায় সে যেন কিছু ভিন্ন ও অন্যরকম কিছু বলতে পারে। চারদিকের সৃস্টিকর্তা বিশ্বাসীদের একই ধরনের কথাবার্তার একটু ভিন্নতা আনার জন্য সৃস্টিকর্তার বিশ্বাসের চিন্তার পথ হতে প্রকৃত চিন্তার কিছুটা ব্যতিক্রম ও কনফিউশন তৈরি করে যারা বুদ্ধিভিত্তিক ও প্রয়োজনীয় বিশ্লেষনী চিন্তা করেন না তাদের ভালোই দৃস্টি আকর্ষন করতে পারে। তাই আরো দৃস্টি আকর্ষনের জন্য সে আরো ব্যতিক্রমী চিন্তা ও কনফিউশন তৈরিতে আত্ননিয়োগ করে।
এভাবে নিজের কার্যক্রমের কারনে নিজেই সৃস্টিকর্তার অবিশ্বাসের পথে জড়িয়ে যায়।
3. বিশেষ বিশেষ চরিত্রকে অনুকরন ও সঙ্গীদের সহচার্য :
কিছু কিছু মানুষের অনেক সময় কোন বিশেষ চরিত্রকে অনুকরন করে। যেমন হিমু একটা ভার্চুয়াল চরিত্র হলেও তার খালী পা ও হলুদ পান্জাবী পড়া ফলোয়ারের অভাব নাই। তেমন চে গুয়েভারোর ফলোয়ারের সংখ্যা অনেক। একজন সেলিব্রেটির সব সময় নিজেস্ব কিছু স্টাইল থাকে।
চে গুয়েভারোর স্টাইল ছিল তার বিখ্যাত ক্যাপ, দাড়ি চুলের স্টাইল ও তার বিপ্লবী গুন সম্পন্ন লাইফ স্টাইল। কিছু কিছু মানুষ তার ছবি ওয়ালা টি শার্ট ও তার লাইফ স্টাইল ফলো করতে শুরু করলো। স্টাইল ফলো করতে যেয়ে তারা জানতে পারলে চে গুয়েভারো একজন সৃস্টিকর্তার অবিশ্বাসী এবং বিপ্লবী। তাই ঐ মানুষ গুলো সেলিব্রেটি চে গুয়েভারোর লাইফ স্টাইলকে নিজের লাইফ স্টাইলে পরিনত করার চেস্টা করলো কারন হয়তো কিছু কিছু মানুষ ভাবলো খালী পা ও হলুদ পান্জাবী পড়লেই হিমু হওয়া যায় না হিমুর লাইফ স্টাইল ও পালন করতে হয়। তেমনি বিখ্যাত ক্যাপ, দাড়ি চুলের স্টাইল এবং বিপ্লবী হলেই চে হওয়া যায় না।
চে এর লাইফ স্টাইল ও পালন করতে হয়।
4. পলিটিক্যাল কারনে সৃস্টিকর্তা অবিশ্বাসী:
যদি সৃস্টিকর্তা থেকেই থাকেন তবে তিনি অবশ্যই তার সৃস্টির জীবন যাপন এর সুবিধার জন্য, মঙ্গলের জন্য, সৃস্টির উপর প্রভাব বিস্তারের জন্য তার নিজের তৈরি কিছু "নিদৃস্ট ঐশ্বরিক নিয়মকানুন" সৃস্টির উপর প্রতিস্ঠা করিয়ে দিতে চাইবেন। "নিদৃস্ট ঐশ্বরিক নিয়মকানুন" না দেখে তার সৃস্টি কিভাবে বুঝবে যে তিনি একজন সৃস্টিকর্তা।
কেউ তার পলিটিক্যাল স্বার্থ হাসিলের কারনে এবং ঐ "নিদৃস্ট ঐশ্বরিক নিয়মকানুন" কে তার ক্ষমতার আসার জন্য বাধা হিসেবে অথবা ঐ "নিদৃস্ট ঐশ্বরিক নিয়মকানুন" থাকলে সেটা তার সুনীতি ও দূর্নীতির বাধা হতে পারে, এমন কোন ধারনা কেউ পোষন করলে সে মনে প্রানে চাইবে ঐ "নিদৃস্ট ঐশ্বরিক নিয়মকানুন" যেন প্রতিস্ঠিত না হয়। তাই সে সৃস্টিকর্তার "নিদৃস্ট ঐশ্বরিক নিয়মকানুন" বিহিন নীতির রাজনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চাইবে।
ফলশ্রুতিতে সে নিজে ও সৃস্টিকর্তাকে প্রত্যাক্ষান করবে। ট্রাই করবে সৃস্টিকর্তার কোন অংশ ও প্রভাব নাই এমন নীতির রাজনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে।
5. নিজের প্রচার উন্মুখ বা আগ্রহী হবার প্রবনতা :
কিছু কিছু মানুষের নিজের প্রচার উন্মুখ বা আগ্রহী হবার প্রবনতা রয়েছে। তারা চান তারা যেন সকলের দৃস্টি আকর্ষিত হোক সকলের থেকে ভিন্ন কোন বিশেষ কাজ দ্বারা। যেহেতু আামাদের সমাজে সৃস্টিকর্তার অবিশ্বাসী হতে সৃস্টিকর্তা বিশ্বাসীর সংখ্যা বেশী এবং পরস্পর বিদ্বেসী সেজন্য সৃস্টিকর্তার অবিশ্বাসীরা যদি সৃস্টিকর্তাকে অবিশ্বাস করার কোন কথা বা কার্যক্রম করে তবে সহজেই সৃস্টিকর্তা বিশ্বাসীদের দৃস্টি আকর্ষন করতে পারে।
আমাদের সমাজের মিডিয়া গুলিও তাদের নীতি ও সুবিধার কারনে খুব সহজই এবং উদার ভাবে সৃস্টিকর্তার অবিশ্বাসীদের কার্যক্রম প্রচার করতে পছন্দ করে। তাই তারা সংখ্যায় অল্প হলেও সহজেই তাদের সৃস্টিকর্তার অবিশ্বাসী কার্যক্রমের জন্য প্রচার পায়। সুতরাং যে বা যারা নিজের প্রচার উন্মুখ বা আগ্রহী তারা সামান্য কিছু সৃস্টিকর্তার অবিশ্বাসী কার্যক্রমের কারনেই সহজে প্রচারনা পেতে পারে। এভাবে নিজের প্রচার উন্মুখ বা আগ্রহী সৃস্টিকর্তাকে অবিশ্বাস করার কার্যক্রম করতে করতে ক্রমেই সৃস্টিকর্তার অবিশ্বাসী হয়ে উঠে।
6. পারিবারিক শিক্ষা ও সামাজিকি করনের অভাব :
আমরা ছোট কাল থেকেই পরিবার ও সমাজ থেকে শিখি কিছু বিশেষ নীতি কথা ও কাজ যেমনঃ "সদা সত্য কথা বলবো, মিথ্যা বলবো না", "গুরুজন কে সম্মান করবো", "কাউকে কস্ট দিব না" ইত্যাদি।
এমনি ভাবে পরিবার ও সমাজ যদি সৃস্টিকর্তা বিশ্বাসী ধারনার হয় তবে শিশুদের এমন ভাবে সৃস্টিকর্তা বিশ্বাসী শিক্ষা দেওয়া উচিৎ যেন ঐ নীতি কথা গুলোর মতো শিশুটির বিশ্বাস ও বড় হলে কোন কনফিউশনে পড়বে না। এমন করা না হলে শিশুটির সৃস্টিকর্তা বিশ্বাস এর উপর কনফিউশন হওয়া ই স্বাভাবিক।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।