চিন্তাশীল আলোচনা করতে চাই। সবার সহযোগীতা একান্ত কাম্য। অ্যাজাইরা পেচালের টাইম নাই। প্রমানঃ "পৃথিবীতে কোন সত্যিকারের সৃস্টিকর্তার অবিশ্বাসী কোন মানুষ নাই।
সৃস্টিকর্তার প্রতি বিশ্বাস ও সৃস্টিকর্তার সম্পর্কে যেকোন আলোচনা বা তর্ক বিতর্ককরীদের তিনটি শ্রেনীতে ভাগ করা যায় যথা:
1) সৃস্টিকর্তা বিশ্বাসী।
2) পলিটিক্যালী সৃস্টিকর্তা অবিশ্বাসী।
3) সাধারন সৃস্টিকর্তা অবিশ্বাসী।
1) সৃস্টিকর্তা বিশ্বাসী: যেহেতু তারা বিশ্বাসী তাই তাদের নিয়ে আলোচনার কোন দরকার নাই। তাদের জন্য সৃস্টিকর্তার কাছে থেকে শুভকামনা আশা করি।
2) পলিটিক্যালী সৃস্টিকর্তা অবিশ্বাসী: যদি সৃস্টিকর্তা থেকেই থাকেন তবে তিনি অবশ্যই তার সৃস্টির জীবন জাপন এর সুবিধা বা মঙ্গলের জন্য কিছু "নিদৃস্ট নিয়মকানুন" সৃস্টির উপর প্রতিস্ঠা করিয়ে দিতে চাইবেন।
তা না হলে সে যে সৃস্টিকর্তা, তা তার সৃস্টি বুঝবে কি ভাবে? যদি তিনি "নিদৃস্ট নিয়মকানুন" তার সৃস্টির উপর প্রতিস্ঠা না করেন তবে তো সে সৃস্টিকর্তা ই না।
পলিটিক্যালী সৃস্টিকর্তা অবিশ্বাসীরা ঐ "নিদৃস্ট নিয়মকানুন" মানুক অথবা না মানুক তারা খুব ভালো করেই জানেন ঐ "নিদৃস্ট নিয়মকানুন" এর উপস্থিতি রয়েছে, কিন্তু তারা কোন এক অবাক করা কারনে তা মানে না এবং সেটাকে প্রত্যাক্ষান করে। সম্ভবত কোন কারনে এটা তাদের কাছে ভালো লাগে না। তাই সৃস্টিকর্তার "নিদৃস্ট নিয়মকানুন" এর বদলে "ধর্ম নিরপেক্ষতা" নামক একটা ধারনাকে রাজনৈতিক ভাবে মানুষের মধ্যে প্রতিস্ঠা করার কাজে সবসময় নিয়োজিত থাকে। তার মানে তারা বিশ্বাস করে সৃস্টিকর্তা আছেন কারন, সৃস্টিকর্তার সৃস্ট ঐ "নিদৃস্ট নিয়মকানুন" কে ই তারা প্রত্যাক্ষান করে।
তাই তারা সৃস্টিকর্তার "নিদৃস্ট নিয়মকানুন" কে প্রত্যাক্ষান করে তাদের নিজেস্ব তৈরি "নিদৃস্ট নিয়মকানুন" কে মানুষের মধ্যে প্রতিস্ঠা করার জন্য আহবান করে। তাদের নতুন তৈরি করা মতের সবচেয়ে বড় উদাহরন আমাদের বর্তমান জীবন ব্যবস্থা গনতন্ত্র ও সমাজতন্ত্র।
আসলে তারা সৃস্টিকর্তা অবিশ্বাসী নয়, কারন তারা খুব ভালো করেই জানেন যে সৃস্টিকর্তা আছেন এবং কোন এক অদ্ভুত কারনে অথবা ভালো না লাগার কারনে তার "নিদৃস্ট নিয়মকানুন" কে প্রত্যাক্ষান করতেই হবে।
তাই প্রমানিত হয় যে যেকোন লোক পলিটিক্যালী সৃস্টিকর্তা অবিশ্বাসী বলে নিজেকে পরিচয় দেয় তার আসলে কোন ভাবেই সৃস্টিকর্তা অবিশ্বাসী না বরং তারা সম্ভবত কিছু কিছু ক্ষেত্রে সাধারন সৃস্টিকর্তা বিশ্বাসী এর চাইতে সৃস্টিকর্তা সম্পর্কে ভালো জানেন।
3) সাধারন সৃস্টিকর্তা অবিশ্বাসী: এই পৃথিবীতে প্রায় সাতশত কোটি মানুষ আছে যারা পরস্পর পরস্পরের থেকে একদম ভিন্ন।
প্রত্যেকেই চায় তার আশেপাশের মানুষ থেকে নিজেকে একটু ভিন্ন বা স্পেশাল ভাবে নিজেকে উপস্থিত করতে। তাই সে মানুষকে নতুন কোন ধারনা দেয় যেন অন্যান্য মানুষ থেকে তাকে আলাদা দৃষ্টিতে দেখা হয়।
নিঃসন্দেহে একটা সুপ্রতিস্ঠিত ধারনা এর বিপরীতে অন্য একটা মত দিয়ে কিছু অচিন্তাশীল মানুষের ভালোই বাহবা পাওয়া যায়। তার উপর আবার ঐ লোকগুলোর জীবন ব্যাবস্থা যদি হয় ঐ সুপ্রতিস্ঠিত ধারনা এর বিপরীত তাহলে সোনায় সোহাগা হয়।
এখন যদি কাওকে প্রশ্ন করা হয় যে টেলিভিশন এর সৃস্টিকর্তা কে? সবাই অবশ্যই টেলিভিশন এর সৃস্টিকর্তা হিসাবে কয়েক জনের নাম অথবা কয়েকটা কোম্পানির নাম বলতে পারবেন।
এমন ভাবে যেকোন জিনিসের নাম বললেই যে কোন উত্তর সঠিক হোক অথবা না হোক তারা কিন্তু ঐ জিনিসের নাম বলতে চেস্টা করবেন। তার মানে সবাই বিশ্বাস করে সব কিছুর ই সৃস্টিকর্তা আছে। এমনি ভাবে মানুষকে তার নিজের সৃস্টিকর্তা কে খুজে নিতে বলা হয় তবে সে যদি সাধারন মানের চিন্তাশীল ও হন তবে সত্যিকারের সঠিক সৃস্টিকর্তাকে চিনতে ভুল করুক বা না করুক তার চিন্তা দ্বারা সে খুব সহজেই তার সৃস্টিকর্তার উপস্থিতি টের পাবেন কারন সে কোন না কোন ভাবে করো দ্বারা সৃস্টি।
ঘোর সৃস্টিকর্তা অবিশ্বাসী বলে পরিচয় দানকারী সমাজতান্ত্রিক বা কমিউনিস্টরা তাদের ও দুনিয়ার সব কিছু কে ই বস্তু মনে করে। আবার তারাই একটু চিন্তা করলেই বুঝতে পারে সব বস্তুরই সৃস্টি আছে তাই তারা এক একটি বস্তু হিসাবে কোন এক সৃস্টিকর্তার সৃস্টি।
তারপর ও যদি তারা ভাবেন তাদের সৃস্টিকর্তা নাই তবে তারা আসলেই মানুষ না, Very special বস্তু। তাই এটা প্রমানিত যে "পৃথিবীতে কোন সত্যিকারের সৃস্টিকর্তার অবিশ্বাসী কোন মানুষ নাই। কেউ কেউ Very special বস্তু"।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।