ঝা ঝা ঝা
I)
ফরহাদ মজহার ৯০ দশকে দৈনিক জনকন্ঠের সাহিত্য পাতায় একটা প্রবন্ধ লেখেন।
প্রবন্ধের বিষয় ছিল, মনসা কাদের দেবী। মনসা হলেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সর্প বিষয়ক দেবী।
তিনি সেখানে প্রাণপণ প্রমাণ করার চেষ্টা করেন, মনসা মুসলমানেরও দেবী। তিনি মা মনসার পূজা করেছেন ছেলেবেলায়।
সেটা করতে তাঁর ভাল লাগে। এখনো তাই চান।
তিনি বলেছেন, মনসা হিন্দু ও মুসলিমের দেবী। মনসা বাঙ্গালীর দেবী।
পরে এই প্রবন্ধ নিয়ে জনকন্ঠে পাঠকরা চিঠি পাঠায়।
আবার পত্রিকা সেই চিঠি ছাপায়। তারপর আবার এই বিষয় নিয়ে ফরহাদ মজহারকে সমর্থন করে আরেকজন প্রবন্ধ লেখেন।
এই মুশরিককে কি করে হেফাজতেইসলামের মঞ্চে তোলা হল?
দেওবন্দী কওমী তাবলীগী তথা হেফাজতি চরমোনাইর পীরসাহেবকে তোলা হল না। তিনি মঞ্চে গেলে নারী নেতৃত্বের কথা বলবেন। তিনি মঞ্চে গেলে জামাতের বিচারের কথা বলবেন।
মঞ্চে জায়গা নাই বলে তাকে মাটিতে বসায় দেয়া হল।
II)
প্রথমে নিচের কবিতাটা পড়েনঃ
"তিলেক হিম্মত নাই, আধা ছটাকের নাই তেজ
সাত আসমানে প্রভু খোদাতা'লা হয়ে বসে আছ"
প্রশ্ন ১: উপরের কবিতাটি একজন নাস্তিক বামপন্থি নেতার প্রকাশিত বই থেকে নেয়া। উক্ত লাইনগুলো পড়ে কি আপনার ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগছে?
১) হ্যা লাগছে, নাস্তিক কবির ফাঁসি চাই।
২) না লাগছে না।
উত্তর যদি হ্যা হয়, তাহলে,
প্রশ্ন ২: উপরে যে নাস্তিক বামপন্থির কথা বলা হয়েছে উনার নাম ফরহাদ মাজহার।
কবিতার নাম, দুনিয়া রেজিষ্ট্রি কর, বইয়ের নাম এবাদতনামা। উনি গত ৬ তারিখের লংমার্চে হেফাজতে ইসলামির ১৩ দফা দাবীর সাথে একাত্ত্বতা জানিয়েছেন। এরপরও কি আপনার ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগছে?
১) হ্যা লাগছে। (ইটস ওকে ব্রো, গ্যালারিতে বসেন, আজব এক চিড়িয়া দেখামু )
২) না এখন আর ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগছে না। (এই পার্টি প্লিজ এই স্ট্যাটাসে একটা কমেন্ট কইরা যান, প্লিজ ভাই আপনার খোমাটা দেখান, দোহাই লাগে...)
এইটা কি হেফাজতে ইসলাম, নাকি হেফাজতে মুরতাদ?
হেফাজতে ইসলাম, নাকি হেফাজতে বিদআত?
হেফাজতে ইসলাম, নাকি হেফাজতে নাস্তিক?
হেফাজতের ভাইরা, জবাব চাই।
(সংগৃহীত)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।