প্রবীণ আইনজীবী রফিক-উল হক বলেছেন, ‘সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের অর্থ কেলেঙ্কারি চাপা দিতে ইলিয়াস আলীর ইস্যুর সৃষ্টি করা হয়েছে। এরপর কী আসবে, আমরা জানি না। আমার প্রশ্ন, দেশে কী হচ্ছে?’
আজ জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক নাগরিক সমাবেশে এ কথা বলেছেন রফিক-উল হক। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদপ্রার্থী মাহমুদুর রহমান মান্না এই নাগরিক সমাবেশের আয়োজন করেন।
সমাবেশের প্রধান অতিথির বক্তব্যে রফিক-উল হক বলেন, ‘আমার মনে হয়, ইলিয়াস ইস্যু এসেছে সুরঞ্জিত ইস্যুকে ঢাকার জন্য।
পরশু কী ইস্যু আসবে, জানি না। এভাবে গুম করে দেওয়া একটি দেশের গণতন্ত্রের জন্য হুমকি। এসব দেখে মনে প্রশ্ন জাগে, গণতন্ত্র এগোচ্ছে না পিছাচ্ছে। আমার মনে হয়, গণতন্ত্র এক পা এগোলে দুই পা পিছাচ্ছে। ’
রফিক-উল হক বলেন, ‘৭০ লাখ টাকা নিয়ে ঘটনায় অনেক হুল্লোড় হয়েছে।
কিন্তু নতুন অনুমোদিত ব্যাংকগুলোর টাকা কোত্থেকে আসবে, তা নিয়ে আলোচনা নেই। অনুমোদিত প্রত্যেকটি ব্যাংকের ৪০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ লাগবে। এই টাকা কোত্থেকে আসবে, এ কথা কেউ বলে না। ’
হরতাল সম্পর্কে প্রবীণ এই আইনজীবী বলেন, ‘হরতালের বিকল্প পদ্ধতি প্রচলিত হয়েছে। হরতালে সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ফলে রাজনৈতিক দলগুলোকে হরতালের বিকল্প ভাবতে হবে। ’
ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন হবে কি না, সংশয় প্রকাশ করে প্রবীণ এই আইনজীবী বলেন, আদালত নির্বাচন স্থগিত করেছেন। আমার মনে হয় এই নির্বাচন হবে না। সরকার তাদের পছন্দমতো প্রার্থী জয়ী হবে, এটি নিশ্চিত না হয়ে নির্বাচন হতে দেবে না। ’
ডিসিসি নির্বাচনে মান্নাকে নিজের পছন্দের প্রার্থী উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মানুষ বিএনপি ও আওয়ামী লীগ বোঝে না।
মানুষ চায় সত্ লোক, যার গায়ে কোনো পচা গন্ধ নেই। মান্না এমনই একজন সত্ লোক। নির্বাচনে তাঁর সঙ্গেই আছি। মান্না জয়ী হলে আমার চেয়ে খুশি আর কেউ হবে না। ’ ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।