একজন নির্বোধের বয়ান কলেজে ইংলিশ কোচিং-এ আঁখির সাথে পরিচয়। আমাদের মেয়ে বন্ধু বলতে একমাত্র আঁখি। ছেলে-মেয়ের পরিচয় ভুলে শুধু বন্ধু হয়ে মিশত মেয়েটা। একদিন আঁখি বলল, ‘মাসুম তুমি আর বাবু চল আমার সাথে। আমাদের বাসায় যেতে হবে।
উল্লেখ, আঁখি ওর বাসা ছেড়ে একটু দূরে থাকত মেয়েদের মেসে। আমি আর বাবু আঁথির সাথে চলেছি একটা বস্তার মধ্যে বড় সাইজের গ্যালন নিয়ে। প্রশ্ন করি আঁখিকে, ‘বস্তা আর গ্যালন নিয়ে কোথায় যাচ্ছ?’ ‘তেল আনতে হবে। ’ আঁখির ছোট্ট জবাব। ‘তা গ্যালনটা তোমাদের বাসা পর্যন্ত বয়ে নিয়ে যেতে হবে কেন?’ ‘ঐ মাসুমের বাচ্চা চুপ থাক।
’ আঁখির কড়া আদেশ। বাবু আমার দশা দেখে ফিকফিক করে হাসতে লাগল। আঁখিদের বাসায় হাজির হলাম রাগে গজগজ করতে করতে। আমাদের পরিচয় শেষে আঁখি তার মাকে বলল, ‘মা আমার রান্নার তেল শেষ। আজ তেল না হলে স্টোভ রাতে জ্বলবে না।
রান্নাও হবে না। গ্যালন নিয়ে আসছি। এরপর আমাকে বলল, এই মাসুইম্যা গ্যালনটা দে। ’
আঁখিদের বাসা থেকে বের হয়ে আসি একটা ভাবি বস্তা নিয়ে। বস্তার ভিতর আছে চুলো জ্বালানোর তেল।
এবার আঁখির কুলিগিরি আমাকে করতে হচ্ছে। আঁখির কাছে জানতে চাইলাম, ‘এতদূর থেকে তেল বয়ে নিয়ে যেতে হবে কেন? টাকা দিয়ে তোমার মেসের কাছ থেকেই তো কেনা যেত না?’ আমার প্রশ্নের উত্তরে আঁখি বলে, ‘না যেত না। আমার আব্বা রেলে চাকরী করে। এ গ্যালনের তেল হল রেলের তেল। এবার বুঝেছো আমার সোনা?’
(সত্যি ঘটনা অবলম্বনে)।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।