বসন্তের শেষ বিকেলে দেখে এলাম মেলা, ভারতীয়দের কর্তৃকদের বাংলাদেশীদের অবহেলা, অবজ্ঞা, হেয়-প্রতিপন্ন করার বিষয়টি সর্বক্ষেত্রে নতুন কিছু নয়। কিন্তু এবার কাপুরুষরা অন্যান্য জায়গায় এটে উঠতে না পেরে ক্রিকেট অঙ্গনে কাপুরুষতা শুরু করেছে। তামিমের কথা না হয় বাদই দিলাম, কিন্তু সাকিবের কথা না বললেই নয়, পরপর দু’টি গেম হারার পর সাকিবকে নামাতে বাধ্য হয় কেকেআর তারপরই কিন্তু সাফল্য। এ জয়েও সাকিবের ভূমিকা রয়েছে। কিন্তু সাকিবের দ্বিতীয় গেমেই কিন্তু সাকিবের একক সাফল্যে জিতেছে কেকেআর, তাই ম্যান অফ দ্যা ম্যাচের মুকুটটা তার মাথা ভারতীয়দের দিতে না চাইলেও তারা দিতে বাধ্য হয়েছে।
সাকিবকে বাদ দিয়ে যে পাঠাকে দলে রাখা হয়েছে তার পারফর্মেন্স আর সাকিবের পারফর্মেন্স দু’টি তুলনা করলেই ভারতীয়দের কাপুরুষতার প্রমাণ পাওয়া যায় এবার নীচে একটু চোখ রাখুন দু’জনের অর্জনের উপর। তার পর বিচারের দায়িত্বটা আপনাদের দায়িত্বে ছেড়ে দিলাম।
ইরফান পাঠা :
ব্যাটিং
১ম ম্যাচ : ৩ (৪)
২য় ম্যাচ : ১৫ (১৪)
৩য় ম্যাচ : ১ (৩)
৪র্থ ম্যাচ : ৭ (৭)
৫ম ম্যাচ : ০ (৩)
*মোট রান : ৫ ইনিংসে ২৬ রান।
বোলিং পারফর্মেন্স :
১ম ম্যাচ : ১-০-৭-০
২য় ম্যাচ : ২-০-২৮-০
৩য় ম্যাচ : ০-০-০-০
৪র্থ ম্যাচ : ৩-০-১৯-০
৫ম ম্যাচ : ০-০-০-০
* মোট : ৩ ইনিংস কোন উইকেট নাই।
এবার দেখা যায় আমাগো বাংলাদেশী টাইগারের পারফর্মেন্স :
ব্যাটিং :
১ম ম্যাচ : খেলানো হয়নি।
২য় ম্যাচ : খেলানো হয়নি
৩য় ম্যাচ : ৪ (৪)
৪র্থ ম্যাচ : ১৬ (১০)
৫ম ম্যাচ : ৪ (৮)
* মোট রান : ৩ ইনিংসে ২৪ রান।
বোলিং :
১ম ম্যাচ :
২য় ম্যাচ :
৩য় ম্যাচ : ৩-০-২১-২
৪র্থ ম্যাচ : ৪-০-১৭-৩ (ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ)
৫ম ম্যাচ : ৪-০২৬-১
* মোট ৩ ইনিংসে ৬ টা উইকেট।
বলাবাহুল্য, ইরফান পাঠা’র স্থান ভারতীয় দলে হয়না আর সাকিব বিশ্বের এক নম্বর ক্রিকেটার এবং এত দীর্ঘ সময় ধরে কোন ক্রিকেটের নিজের শীর্ষ স্থান ধরে রাখতে পারেনি। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।