প্রবাসী অর্থ কেলেঙ্কারীর অভিযোগে বিদায় নিয়েছেন রেল মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। আকন্ঠ নিমজ্জিত দুর্নীতি পরায়ন ,ক্ষমতাসীনদের শাস্তি হোক এটা সবারই কামনা। পদত্যাগই যথেস্ট নয় নিরপেক্ষ তদন্ত করে আইন অনুযায়ী জেল জরিমানা করা হউক। দোষী যেই হোক না কেন তার শাস্তি দেওয়া হোক। যারা যখন ক্ষমতায় থাকেন তারা যা খুশী তাই করেন , কোন তোয়াক্কা করেন না।
বিরোধী দল যখন ক্ষমতায় ছিল তারাও যা খুশি তাই করেছেন।
সে রাতের মন্ত্রীর এ,পি এস এর গাড়ী চালক আজমকে খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। আজম তার গাড়ী নিয়ে বিজিবি হেড কোয়ার্টারে ঢোকেন। বিজিবি থেকে বলা হয় যে আজমকে তারা পরদিন ছেড়ে দিয়েছেন। তারা কেন ছেড়ে দিলেন? তারপর কোথায় গেলেন আজম?
তাকে কি তার "অপরাধ" এর কারনে গুম করা হয়েছে? তিনি কি বেঁচে আছেন? আজম যা করেছিলেন তার কারনে মন্ত্রীর রোষানলে পড়বেন, সেটাই স্বাভাবিক।
বিজিবি আধা সামরিক বাহিনী । তাদের কাজ হল সীমান্ত রক্ষা। ভাল কথা। তাদের হেড কোয়ার্টারে কেউ যদি বিনা অনুমতিতে ঢোকে তাহলে তাকে আইন অনযায়ী বিচার করে শাস্তি না দিয়ে তাকে কেন ছেড়ে দেওয়া হল?
নাকি তারা আজমকে অন্য কারো হাতে সোপর্দ করেছেন? সেই "অন্য" হতে পারে পুলিস বা সরকারের কেউ। তাহলে কি তথাকথিত উপর মহলের কেউ নিয়ে গেছে আজমকে? নাকি তার ভাগ্যে অপেক্ষা করছে সাজানো নাটক "ক্রসফায়ার"
গাড়ী চালক আজম, এ,পি,এস, এ,জি এম এবং নিরাপত্তা কর্মকর্তা অর্থাৎ সে রাতে গাড়ীতে যারা ছিলেন এবং বিজিবি গার্ড সবাইকে একসাথে মিডিয়ার সামনে হাজির করা হোক।
অনেকটা উন্মুক্ত বিতর্কের মত তাদেরকে সরাসরি টেলিভিশনে দেখানো হোক এবং তারা দর্শক দের প্রশ্নের উত্তর দেবেন ।
এতে করে প্রকৃত ঘটনা সবাই জানতে পারবে । এ দায়িত্ব সরকারের। কোন রাখ ঢাকের দরকার আছে কি? আজমকে খুজে বের করা হোক। এ দায়িত্ব সরকারের।
আমাদের দেশের আইন কি তাও বুঝি না। ক্ষমতাসীনই হোক বা বিরোধী দলেরই হোক দুর্নিতীর কোন বিচার হয় না। রাজনীতিকের কোন শাস্তি হয় না। দু দিনের জন্যে জেলে যান আবার বেরিয়ে সে আগে যা ছিলেন তাই। উলটো বড় গলা করে অন্যের বিচার দাবী করেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।