আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নিরবতাই সম্মতির লক্ষণ। তাহলে কি আপনারা বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমের পাকিস্তান সফর সমর্থন করছেন?

ভালো লাগে সরলতা, নির্মলতা, বন্ধুত্ততা, মিষ্টি হাসি, কোমলতা, গাছগাছালী লতাপাতা, এই তো। প্রথমেই একটি সংবাদ। গতকাল পাকিস্তানের পেশোয়ার শহরে জঙ্গিরা প্রাইমারি স্কুলের শিশুদের উপর গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে। এতে ৬ বছরের একজন শিশু নিহত হয় এবং আরও কয়েকজন আহত হয়। সুত্রঃ প্রথম আলো।

আর যে খবরটি সবাই জানেন সেটা হল, প্রায় ১৫০ জঙ্গির সশস্ত্র হামলায় পাকিস্তানের কারাগার থেকে পালিয়েছে প্রায় হাজার খানেক কয়েদি। এখন বলুন, একটি দেশের কোন কোন জায়গাই সবচেয়ে বেশি নিরাপত্তার ব্যবস্তা করা হয়? অবশ্যয় প্রেসিডেন্ট ভবন, কূটনীতিক অঞ্চল, কারাগার এসব স্থানে। তাহলে তারা কি পেরেছে সেসব জায়গা সুরক্ষিত রাখতে? ৬ বছরের একটা শিশুকে মেরে ফেলাটাই তারা ভাবছে স্বর্গে যাওয়ার রাস্তা ! কতখানি নিম্নমানের ধর্মীয় বিশ্বাস থাকলে মানুষ একাজ করতে পারে তা ভেবে দেখুন। নিজ দেশের নিজ সন্তানরা তাদের কাছে নিরাপত্তা পাচ্ছে না। তাহলে কেমনে বিশ্বাস করব তারা আমাদের সন্তানদের নিরাপত্তা দেবে !! তাছাড়া তাদের সাথেই তো আমাদের অতীত ইতিহাস সবচেয়ে জগন্য।

অনেকেই হয়ত এটা ভেবে চুপ যে, তাদের সেনাবাহিনী অনেক শক্তিশালী। তাদের গোয়েন্দা বিভাগ অনেক চতুর। তারা আমাদের প্লেয়ারদের সঠিক ভাবে দেখাশোনা করবে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় জঙ্গিকেও কিন্তু এই গোয়েন্দারা নিরাপত্তা দিয়েছিল ! অর্থাৎ লুকিয়ে রেখেছিল ! যা থেকে স্পটতই প্রতিয়মান হয় যে তাদের সব লেভেলের লোকই জঙ্গি তৎপরটার সাথে সম্পৃক্ত। তাদের মুখে এক কথা আর অন্তরে আরেক ভাবনা।

তাদের শ্রীলংকা টিমের উপর হামলা সফল হয়নি। তাই তারা হইত আরেকটি সুযোগের জন্য মুখিয়ে আছে। তাই বলব, আপাতত দেশের রাজনৈতিক আলাপ বাদ দিয়ে আসুন কিভাবে আমাদের দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের বিপদ্গামিতা রুখতে পারি তা নিয়ে কাজ করি। সময় কিন্তু বেশি নেই ! এশিয়া কাপ ফাইনালে বাংলাদেশের সাথে জেতার পর পাকিস্তানির উল্লাস ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।