অবিভক্ত ভারতে হিন্দু মুসলমান পাশাপাশি বসবাস করত। একে অপরের ধর্ম বিষয়ে অনেকভাবেই অবহিত ছিল। তেমনি পরস্পরে ঔদার্যও ছিল। দ্বিজাতিক ভিত্তিতে পাক ভারত বিভক্ত হওয়ায় অনেক হিন্দু পূর্ব বাংলা ছেড়ে পশ্চিম বঙ্গে চলে যায় এবং উপমহাদেশের দেশগুলো ধর্মীয় গোঁড়ামীর দিকে ঝুকেঁ পড়ে। আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশে অনেক জায়গাতেই আগের মতো হিন্দু মুসলিম একসাথে বাস করে না।
গোঁড়ামি আর সীমাবদ্ধ শিক্ষার কারনে আমাদের এ দেশ ধীরে ধীরে কট্টর মৌলবাদীদের দেশে পরিনত হচ্ছে। সাধারনত মৌলবাদি এই অপশক্তিরা ধর্মকেই তাদের হাতিয়ার হিশেবে বেছে নেয় সবসময়। আমাদের বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষই ধর্মভীরু। ধর্মের ঢাল ব্যবহার করেই তাই তারা আসতে চায় রাষ্ট্রক্ষমতায়। একাত্তরে ত্রিশ লক্ষ শহিদ রক্ত পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলা নামের দেশের অভ্যুদয় ঘটিয়েছিল সে দেশ ছিল সবার।
আমাদের পরিচয় ধমীর্য় জাতীয়তাবোধ থেকে নয় বরং বাঙালি জাতীয়তাবোধ থেকে।
ধর্ম মানে বিশ্বাস। ধর্ম কখনোই সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেয় নি। কিন্তু ধর্ম রক্ষার নামে,আন্দোলনের নামে এমন সহিংসতা আগে কখনো দেখি নি আমরা। রাজনৈতিক দলগুলোও এই ধর্মব্যাবসায়ীদের নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারের কাজে লাগাতে চাইছে।
ভোটের রাজনীতির কাছে তাই আজ বাক্সবন্দী হয়ে পড়েছে আমাদের শুভবোধ,মুক্তচিন্তা।
আমরা যেন বাস করছি এক ঘোর অমানিশার রাতে। আর দেশ এগিয়ে চলেছে অন্ধকার এক গন্তব্যে। হেফাজতে ইসলাম নামক যে মৌলবাদি প্ল্যাটফর্মটি আজ মাথা চারা দিয়ে উঠেছে। একটু চিন্তা করলেই স্পষ্ট হয় এদের সাথে ইসলামের কোন সর্ম্পক থাকতে পারে না।
ওরা আমাদের হাজার বছরে বাংলা সস্কৃতি,ধর্মীয় সম্পৃতি ভেঙে চুরমার করে দিতে চায়। ওরা একদিন এদেশকে আফগান বানাবে। প্রগতি আর মুক্তবুদ্ধির চর্চার সকল দরজায় খিল লাগিয়ে দেবে। এভাবেই ধর্মকে পুজিঁ করে ধর্মবেশ্যারা প্রসারিত করবে তাদের ব্যাবসাক্ষেত্র।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।