আমরা হেরে যাইনি। এশিয়া কাপ না জিতলেও তোমরা আমাদের হৃদয় জয় করেছ। আমরা গর্বিত বলিউড তারকা শাহরুখ খানকে দুই ঘণ্টারও বেশি সময় আটকে রাখা হয়েছিল নিউইয়র্ক বিমানবন্দরে। ইয়েল ইউনিভার্সিটিতে যাওয়ার পথে ‘বলিউড বাদশা’ খ্যাত এ তারকাকে আটকে দেয়া হয়। একটি ব্যক্তিগত বিমানে করে নিউইয়র্কের হোয়াইট প্লেইন বিমানবন্দরে পৌঁছলে ইমিগ্রেশন বিভাগ শাহরুখকে আটকে দেয়।
হোয়াইট প্লেইন বিমানবন্দর থেকে তিন ঘণ্টার পথ পাড়ি দিলেই ইয়েল ইউনিভার্সিটি। ওই ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে ‘কাব ফেলো’ হিসেবে বক্তব্য দেয়ার কথা ছিল বলিউড হার্টধ্রুব শাহরুখের। সূত্র: দ্যা টাইমস অব ইন্ডিয়া অনলাইন।
এদিকে বিমানবন্দরে আটকে দেয়ার ঘটনায় মর্মাহত হন শাহরুখ খান। তিনি জানান, তাকে ‘আটকে রাখা হয়েছিল এবং বিমানবন্দরে যেমনটি সবসময় হয়ে আসছিল’।
ইয়েল ইউনিভার্সিটির স্প্রিং-২০১২ সেশনের ‘কাব ফেলো’ হিসেবে শাহরুখ ওই ইউনিভার্সিটিতে যাচ্ছিলেন। একজন ‘কাব ফেলো’ তার বিশেষ পছন্দের বিষয়ের ওপর ইয়েল এবং হ্যাভেনের সবক’টি কমিউনিটির উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন।
শাহরুখ ইয়েল ইউনিভার্সিটির ‘কাব ফেলো’ হিসেবে নীতা আম্বানিকে সাথে নিউইয়র্কের হোয়াইট প্লেইন বিমানবন্দরে পৌঁছান। আম্বানির মেয়ে ওই ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী। সবাইকে পাস দেয়া হলেও শাহরুখকে আটকে দেয় বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিমর্ষ হয়ে পড়েন বলিউড এই তারকা। তখন বাধ্য হয়ে ইয়েল ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ ওয়াশিংটনে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি এবং ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস বিভাগের সাথে যোগাযোগ করেন বলে সূত্র জানায়।
প্রসঙ্গত, এরআগে ২০০৯ সালে নিউইয়র্ক বিমানবন্দরে এই বলিউড তারকাকে আটকে দেয়া হয়। পরে ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) কর্মকর্তাদের দুই ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। মূল নামের সঙ্গে খান থাকায় ‘মুসলিম জঙ্গি’ সন্দেহে শাহরুখকে আটকে দেয়া হয়।
সূত্র নিউইয়র্ক বিমানবন্দরে ফের আটক শাহরুখ ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।