নৌকা আর ধানের শীষে ভোট দিয়ে সোনার বাংলার খোয়াব দেখা আর মান্দার গাছ লাগিয়ে জলপাইর আশা করা একই! বিস্ময়ের ব্যাপার হল দিনের পর দিন আমরা তাই করছি!! প্রাইভেট কার। আমি ড্রাইভ করছি। বাঁয়ের সীটে আমার স্ত্রী। সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ৭ টা হবে। কাটগড় পেরুলে রাস্তা ফাঁকাই থাকে।
তাই স্পীড ৭০ থেকে ৯০ এর মধ্যে উঠানামা করে এখানে। পতেঙ্গা বীচের সংযোগস্থল পেরিয়ে সোজা নেভাল বীচের দিকে চললাম। সামনে নেভির একটা জীপ চলছিল। হঠাৎ সেটা ইউ-টার্ন নেয়াতে আমার স্পীড ভালই নেমে গেল (আসলে এতে করেই অন্তত: ৩ জন মানুষ বেচে গেলেম)। জীপ সরে যেতেই আবার এক্সিলারেটর চাপলাম।
হঠাৎ হেডলাইটের আলোয় দেখি একটা মোটরসাইকেল রাস্তার মাঝখানে কাত হয়ে পড়ে আছে আর চালক হাত জোড় করছে আমাকে দাড়ানোর জন্য! সর্বশক্তি দিয়ে ব্রেক চাপলাম। না!! কাজ করছে না!! আমি হতভম্ব হয়ে গেলাম। কমপ্লিট নার্ভাস। বুঝে গেলাম রাস্তা কাদা ও পিছলা। দুপুরে বৃস্টি হয়েছিল।
অন্তত: ৩০০ মিটার রাস্তা কাদায় লেপ্টানো ও চরম পিছলা। ব্রেক ধরলে যা, না ধরলেও তা। গাড়ী ছ্যাঁছড়াচ্ছে। কোনোমতে বাইকের গা বাচাতে পাড়লাম। তখনো গাড়ী থামছেনা।
সামনে দেখি আরেকটা পাজেরো গাছের সাথে মুখোমুখি। আরো একটা বাইক পড়ে আছে..........।
হার্টবিট চরমে নিয়ে কিভাবে যেন শুকনো যায়গার ছোঁয়া পেলাম নেভাল একাডেমীর কাছাকাছি।
চট্টগ্রামের চালকরা সাবধান। সাবধান সবাই যে যেখানে ড্রাইভ করেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।