সবসময় সবার সাহায্যে………তাই সহায়ক আমার মতে ‘হেফাজতে ইসলাম’ এর তাদের ১৩ দফা দাবি এভাবে উপস্থাপন করা উচিত ছিল; তাহলে সবার কাছে তা গ্রহণযোগ্য হতঃ-
১। সংবিধানে ‘মহান সৃষ্টিকর্তার ওপর বিশ্বাস ও আস্থা’ স্থাপন এবং যেকোন ধর্মগ্রন্থের সাথে সাংঘর্ষিক এমন আইন বাতিল করা।
২। যেকোন ধর্ম ও ধর্মাবলম্বীদের সম্পর্কে কুৎসা রটানো এবং কোন মানুষের ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত হানে এমন অপপ্রচারের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদন্ড রেখে সংসদে আইন পাশ করা।
৩।
ধর্মহীন ও ধর্মবিচ্যুত মানুষকে পুনর্বাসনের মাধ্যমে পুনরায় সৃষ্টিকর্তার প্রতি আনুগত্য ও বিশ্বাস স্থাপনের ব্যবস্থা করা ও সঠিকপথে ফিরিয়ে আনা।
৪। ব্যক্তি ও বাকস্বাধীনতার নামে এমন কোন আচরণ না করা, যা বাঙালি ও ধর্মীয় সংস্কৃতির সাথে সাংঘর্ষিক। নারী-পুরুষ, জাত-ধর্ম-বর্ণ, সামাজিক-অর্থনৈতিক অবস্থান নির্বিশেষে শিক্ষা ও মৌলিক অধিকারের নিশ্চয়তা প্রদান। নারী-পুরুষের বন্ধুবৎসল সহাবস্থানের মাধ্যমে একটি সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠন।
তবে তা যেন কখনোই আমাদের জাতীয় ও ধর্মীয় সংস্কৃতির সাথে সাংঘর্ষিক না হয়।
৫। উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা। নারী ও পুরুষ উভয়ের ন্যায্য পাওনা বুঝিয়ে দেয়া ও বাংলা, ইংরেজি, গণিত, কর্মমুখী, আইসিটিসহ সকল প্রয়োজনীয় শিক্ষা সকল স্তরে বাধ্যতামূলক করা।
৬।
সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার ও নির্যাতন প্রতিরোধে এবং মানবতাবিরোধীদের সুষ্ঠু বিচারের ব্যবস্থা করতে সকল ধর্মের আলেম ও পন্ডিতদের সমন্বয়ে কমিটি গঠন ও আইন করে শাস্তির ব্যবস্থা করা।
৭। মহান মুক্তিযুদ্ধ, জাতীয় অর্জন, জাতীয় প্রতীক ও জাতীয় চেতনার পরিপন্থি কোন মানুষ / প্রাণীর প্রতিকৃতি স্থাপন, মূর্তি ও ভাষ্কর্য নির্মাণ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা।
৮। সকল মসজিদ, মন্দির, গির্জা ও উপাসনালয়ে জঙ্গী অনুপ্রবেশ রোধ; নির্বিঘ্নে ধর্মপালনের ব্যবস্থা করার জন্য আইন পাশ ও সেখানে অরাজকতা সৃষ্টিকারিদের আইনের আওতায় এনে সুষ্ঠু বিচার করা।
৯। রেডিও-টেলিভিশনহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে যেকোন ধর্ম, ধর্মীয় চিহ্ন, ধর্মীয় বিশ্বাসকে নিয়ে কটাক্ষ করা, হাসি-ঠাট্টা করা প্রতিরোধে আইন পাশ করা এবং ধর্মের প্রতি বিদ্বেষ সৃষ্টি করে এমন অনুষ্ঠান প্রচার থেকে বিরত থাকা।
১০। কারও বিরুদ্ধে জোর করে ধর্মান্তরিত করার অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে আইনের আওতায় এনে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বিচার করা।
১১।
সাধারণ জনগণের উপর অত্যাচার-নির্যাতন, গুলিবর্ষণ বন্ধ করে, হরতাল-অবরোধ ইত্যাদি ধর্মের সাথে সাংঘর্ষিক ও গণবিরোধী কর্মসূচি আইন করে বন্ধ করে দেয়া এবং জননিরাপত্তার জন্য আইন পাশ করা।
১২। যেকোন ধরণের ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র,শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের এবং আলেম, পন্ডিত, পুরোহিত ও ধর্মপ্রচারকদের হুমকি প্রদান ও ভয়-ভীতি প্রদর্শন বন্ধ করা; সাথে সাথে একই আধুনিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধের সাথে অসাংঘর্ষিক শিক্ষানীতি ও পাঠ্যসূচি সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মেনে চলা।
১৩। অবিলম্বে নির্দোষ সকল তৌহিদী জনতা, সাধারণ শিক্ষার্থী (নারী-পুরুষ নির্বিশেষে) ও জনগণ এবং নির্দোষ ব্লগারদের নিঃশর্ত মুক্তিদান করে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত আনা ব্লগার, ভন্ড পীর, ভন্ড পন্ডিত, ভন্ড পুরোহিত, ধর্মব্যবসায়ী, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টিকারী মিথ্যা ধর্মপ্রচারক, যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধীদের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।