‘তুমি যাকে মৃত্যু বল, তুমি যাকে বল শেষ, সমূল পতন আমি তার গভীরে বিশ্বাসী বারুদের চোখ দেখে বলি এসব মৃত্যু কোন শেষ নয়, সব নয় এসব মৃত্যু থেকে শুরু হয় আমাদের সূর্যময় পথ। ’ দক্ষিণ এশিয়ার বিখ্যাত মিঠা পানির প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ত্র হালদা নদীতে নিষিদ্ধ জাল দিয়ে প্রতিদিন মাছ নিধন করছে মৎস্য দস্যুরা। এতে হালদার মা মাছ সহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ প্রজনন হুমকির মুখে পতিত হয়েছে। অসাধু মৎস্য দস্যুরা বিভিন্ন পয়েন্টে রাতের আধারে ও দিনের বেলায় ভাসা জাল ও নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল পেলে রুই, মৃগেল, কাতাল ও গলদা চিংড়িসহ নানা প্রজাতির মা মাছ শিকার করছে। এতে করে প্রজনন স্থল হালদায় মৎস্য অভয়ারন্য আইন অকার্যকর হয়ে পড়েছে।
মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, প্রতি বছর এপ্রিল-জুন মাসের মধ্যে হালদা নদীতে মা মাছ ডিম ছাড়ে। মা মাছের নিরাপদ চলাচল করতে সরকার হালদা নদীতে অভয়াশ্রম ঘোষণা করে মদুনাঘাট হতে সত্তারঘাট পর্যন্ত সারা বছর সকল প্রকার মাছ ধরা নিষিদ্ধ করছে।
স্থানীয় এলাকাবাসীরা অভিযোগ করে বলেন, এভাবে মৎস্য দস্যুদের মাছ নিধন অব্যাহত থাকলে ডিম দেওয়া মা মাছ আর হালদাতে থাকবে না। এমনিতে কয়েক বছর ধরে আশানুরুপ ডিম পাওয়া যাচ্ছে না। মাছ নিধন অব্যাহত থাকলে আসন্ন ডিম ছাড়ার মৌসুমে গত বছরের চেয়েও সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছাবে বলে জানান হালদা বিশেষজ্ঞ মহল।
জানা গেছে, হালদা নদীর গড়দুয়ারা, রামদাইশ্যা হাট, নাপিতের হাট, অংকুরি ঘোনা, সিপাহীর ঘাট, আজিমের ঘাট, উরকিরচর, কতোয়ালী ঘোনা, বাড়ীয়া ঘোনা, সত্তারঘাট সহ বিভিন্ন পয়েন্টে অবাধে মা মাছ শিকার চলছে। আর এ সুযোগে মৎস্য দস্যুরা দেদারে জাল পেলে মা মাছ নির্ধন করছে।
হালদা পাড়ের স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, নদীর তীরবর্তী অসাধু মৎস্য দস্যুরা আইন মানছে না। তারা সুযোগ পেলে দিনের বেলায় ও রাতের আধারে প্রতিদিন হাত জাল, ভাসা জাল ও বড়শী দিয়ে মা মাছ শিকার করছে হালদা নদী থেকে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও হালদা গবেষক মঞ্জুরুল কিবরিয়া এই প্রতিবেদককে জানান, বিগত কয়েক মাস ধরে উপজেলার চৌধুরী হাট এলাকায় হালদার প্রায় ১০-১২ টি মা মাছ দিনে দুপুরে বিক্রি হওয়ার খবর আমার কাছে আছে।
তবে এমন অবস্থা চলতে থাকলে সংশ্লিষ্ট প্রসাশন যদি এই মূহুর্ত্তে বিষয়টির ব্যাপারে যথাযথ পদপে গ্রহন না করে তাহলে হালদার মা মাছ টিকিয়ে রাখা দূ:স্কর হবে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।