মানবতার প্রশ্নে আপোষহীন সরকারি উদাসীনতা, বেসরকারি অপর্যাপ্ত বিনিয়োগ, স্থানীয় শিল্পপতিদের বিনিয়োগে উদাসীনতাসহ বহুবিদ কারণে দেশের সামগ্রিক আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থার সাথে দীর্ঘদিন ধরেই তাল মেলাতে পারছে না উত্তরাঞ্চল। চির বৈষম্যের শিকার উত্তরাঞ্চলকে এগিয়ে নিতে ব্যাপক শিল্পায়ন, আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশ, উত্তরোত্তর রেমিটেন্স অর্জন বৃদ্ধি ও মানসম্মত উচ্চ শিক্ষা নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। এজন্য স্থানীয় পর্যায়ে সকল ভেদাভেদ ভুলে রাজনৈতিক ঐক্যমত গড়ে তোলাও দরকার।
মানসম্মত উচ্চ শিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে আঞ্চলিকিকরণের সুযোগ নেই। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে মেধার ভিত্তিতে ভর্তি নেয়ায় দেশের অন্যান্য অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা বর্তমানে রাজশাহী তথা উত্তরাঞ্চলের নামকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ব্যাপক প্রবেশ করেছে।
ফলে পিছিয়ে থাকা উত্তরাঞ্চলের উন্নয়নে নতুন করে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। এ অবস্থায় বিদেশে উচ্চ শিক্ষা গ্রহন করার মানসিকতা বৃদ্ধি ছাড়া অন্য কোন বিকল্প সদূর ভবিষ্যতেও নেই বলা যেতে পারে কোন ধরনের সংশয় ছাড়াই। তাই দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মতো পাল্লা দিয়ে উত্তরাঞ্চলের শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের এ ব্যাপারে উদ্যোগী হতে হবে। বর্তমানে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়ে মেডিকেল কলেজ, ইঞ্জিনিয়ারিং ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বিবিএ, একাউন্টিং, সায়েন্স পড়তে ভাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য কোচিং করছে শিক্ষার্থীরা। তাদের চিন্তার পরিসীমা বৃদ্ধি করা দরকার এখনই।
কারণ বিদেশী ভাল একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এদের কিছু অংশ ভর্তি হলে তারা মানসম্মত উচ্চ শিক্ষায় দীতি হওয়ার পাশাপাশি পার্ট টাইম জব করে রেমিটেন্স পাঠাতেও পারবে। অন্তত ১০/১২ লাখ ব্যয় করে বিদেশে যাওয়া শ্রমিক যে পরিমাণ পারিশ্রমিক পায় একজন শিক্ষার্থী পার্ট টাইম জব করেই তার চেয়ে ৬/৭ গুণ বেশি আয় করতে পারে। অথচ প্রয়োজনীয় তথ্য না জানা ও পারিবারিক পর্যায়ে যথেষ্ট তাগিদের অভাবে উত্তরাঞ্চলের মেধাবীদের অনেকেই হারিয়ে ফেলছেন উজ্জ্বল স্বপ্নীল সম্ভাবনার সুবর্ণ সেই সুযোগ।
দেশে উচ্চ শিক্ষার সুযোগ দিনদিন প্রসারিত হলেও মানসম্মত উচ্চ শিক্ষা সর্বস্তরে নিশ্চিত হয়নি। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের অনুমোদন পাওয়া অধিকাংশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অনেক ক্ষেত্রে উচ্চ বিদ্যালয় হিসাবে অনুমোদন লাভেরও যোগ্য নয়।
দেশের স্বায়ত্বশাসিত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অপোকৃত সমৃদ্ধ শিক্ষায় দীতি হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হলেও ছাত্র ও শিকদের রাজনৈতিক সংঘাত, দলাদলি, দখলবাজী প্রভৃতির কারণে গুরুত্বপূর্ণ পাঠদান কাজ ব্যাহত হয় প্রায়ই। অন্যদিকে, বহির্বিশ্বে দিনদিন সম্প্রসারিত হয়েই চলছে মানসম্মত উচ্চ শিক্ষার সুযোগ। এমন দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে- ইউএস, ইউকে, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানী, দুবাই ও ভারত। এদেশগুলোর মধ্যে কেউ কেউ বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য নানান চমকপ্রদ ও আকর্ষনীয় সব অফার নিয়ে হাজির হচ্ছেন। বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা যে সুযোগগুলো অকপটে কাজে লাগাতে পারে- এমন সাম্প্রতিক সময়ের কিছু অফার ও তা গ্রহনের সহজ উপায় সম্পর্কিত তথ্য তুলে ধরা হলো :
* জার্মানী :
জার্মানীতে উচ্চ শিক্ষা গ্রহনে বিদেশি শিক্ষর্থীদের জন্য বর্তমানে সর্বোচ্চ আকর্ষনীয় অফার দিচ্ছে জার্মান সরকার।
এইচএসসি (সমমান গ্রহনযোগ্য নয়) পরীক্ষায় ৬০ শতাংশ নম্বর প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা টিউশন ফি ছাড়াই স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি শিক্ষা লাভ করতে পারবে। শিক্ষার্থীর বয়স সীমা স্নাতক কোর্সের জন্য সর্বোচ্চ ২৫ বছর ও স্নাতকোত্তর কোর্সের জন্য সর্বোচ্চ ২৯ বছর। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পূর্বে ৩ মাস মেয়াদী জার্মান ভাষা কোর্স সম্পন্ন করতে হবে এবং এই কোর্সের জন্য ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার ইউরো ফি দিতে হবে। শেসন প্রত্যেক মাসে শুরু হয়। ভিসা আবেদনের পূর্বে ৭৯০৮ ইউরোর ব্লক একাউন্ট (স্টুডেন্ট ফাইল) খুলতে হবে।
অন্যান্য খরচের মধ্যে রয়েছে এম্বাসী ফি ৬০ ইউরো, আবাসন ব্যয় মাসিক ৩৫০ থেকে ৪০০ ইউরো ও শিক্ষার্থী ইন্স্যুরেন্স বার্ষিক ৬০০ ইউরো। জার্মান ভাষা কোর্স সম্পন্ন হওয়ার পর পার্ট টাইম জব করার জন্য প্রতি সপ্তাহে ২০ ঘন্টা সময় পাবে। ফলে শিক্ষার্থী আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা লাভ করার পাশাপাশি দেশ বৈদেশিক মুদ্রাও অর্জন করতে পারবে। প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হতে সর্বোচ্চ ১২ সপ্তাহ সময় লাগে, ৬ থেকে ৮ সপ্তাহ অফার লেটারের জন্য ও ৪ সপ্তাহ লাগে ভিসার জন্য। জার্মানীতে শিক্ষার্থী ভিসা পাওয়া অধিকতর সাফল্যজনক।
* ইউএসএ :
বর্তমানে ইউএসএ-তে শিক্ষার্থী ভিসা পাওয়া অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে সহজতর। প্রথম সেমিষ্টার শেষ হওয়ার পর মেধার ভিত্তিতে স্কলারশীপ পাওয়া যাবে। স্নাতক ও স্নাতকোত্তর কোর্সগুলোর সেমিষ্টার শুরু হয় ফেব্রুয়ারি, মার্চ, জুলাই ও সেপ্টেম্বর মাসে। IELTS ও TOFEL ছাড়ায় ভর্তির সুযোগ রয়েছে। টিউশন ফি স্নাতক কোর্স শুরুর জন্য ৮ হাজার ইউএস ডলার ও স্নাতকোত্তর কোর্স শুরুর জন্য ৬ হাজার ইউএস ডলার।
এপ্লিকেশন (আই২০) ফি ২৫ + (৪০ - ৭৫) ইউএস ডলার।
* কানাডা :
এইচএসসির ফলাফল অনুযায়ী সাবজেক্ট ও স্কলারশীপ পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। এক বছর শিক্ষা জীবন সমাপ্ত হওয়ার পর এক বছর চাকরির অনুমতি পাওয়া যাবে। IELTS এ ৫.৫ পয়েন্ট থাকা লাগবে। বাংলাদেশ থেকে ২৫-৩৫ লাখ টাকা স্পন্সর থাকতে হবে।
খরচের মধ্যে রয়েছে- আবেদন ফি ১১৫ কানাডিয়ান ডলার, টিউশন ফি এক শিক্ষাবর্ষের জন্য সাড়ে ১০ হাজার থেকে ১২+ হাজার কানাডিয়ান ডলার, বার্ষিক থাকা-খাওয়ার জন্য ৭.৮৯৬ কানাডিয়ান ডলার ও এক বছরের হেলথ ইন্স্যুরেন্সের জন্য ৪৫৬ কানাডিয়ান ডলার।
* অস্ট্রেলিয়া :
বিশ্বের ১৯৫টি দেশের আড়াই লাধিক শিক্ষার্থী শিক্ষা গ্রহনের জন্য বর্তমানে অস্ট্রেলিয়াকে নির্বাচন করে। অস্ট্রেলিয়ায় মেয়াদী সার্টিফিকেট কোর্স ও মেয়াদী ডিপ্লোমা কোর্সে যে কোন বিষয়ে ভর্তির সুযোগ রয়েছে। পাশাপাশি চাকরি করে আয় করারও সুযোগ রয়েছে। আবেদনকারীকে এইচএসসি উত্তীর্ণ ও বয়স ১৮ বছর হতে হবে।
IELTS এ ৫.০ পয়েন্ট থাকা লাগবে। বাংলাদেশ থেকে ২৫+ লাখ টাকা স্পন্সর থাকতে হবে। খরচের মধ্যে রয়েছে- সার্টিফিকেট কোর্সের শিক্ষার্থীদের জন্য ১ বছরে সাড়ে ১২ হাজার অস্ট্রেলিয়ান ডলার, ডিপ্লোমা কোর্সের জন্য ২ বছরে ২০ হাজার অস্ট্রেলিয়ান ডলার, মেডিকেল ইন্স্যুরেন্স একজনের জন্য ৩১৫ অস্ট্রেলিয়ান ডলার ও এম্বাসী ফি ৩৭,২৫০ অস্ট্রেলিয়ান ডলার।
* শারদা ইউনিভার্সিটি, ভারত :
এশিয়ার মধ্যে শারদা ইউনিভার্সিটির সুনাম এখন সর্বত্র। অন্যান্য সব ধরনের ব্যবস্থার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা গ্রহন করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে এখানে।
উচ্চ মাধ্যমিকে অন্তত ৫৫ শতাংশ নম্বর প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবে। IELTS বাধ্যতামূলক নয়। কোর্সসমূহের মধ্যে রয়েছে- ইঞ্জিনিয়ারিং ও প্রযুক্তি, বিজনেস স্টাডিজ, ডেন্টাল সায়েন্স, মেডিকেল সায়েন্স ও রিসার্চ, বেসিক সায়েন্স, আইন, ক্রিয়েটিভ আর্টস, এলিয়েড হেলথ সায়েন্স, এলিয়েড সায়েন্স ইত্যাদি। টিউশন ফি ১ লাখ ৩০ হাজার থেকে ৩ লাখ ৩৫ হাজার ভারতীয় রুপি।
* আবুধাবী ইউনিভার্সিটি, ইউএই :
দক্ষ জনশক্তির জাতি গঠনে বদ্ধপরিকর আবুধাবী ইউনিভার্সিটিতে ভর্তির জন্য উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা উত্তীর্ণ হতে হবে।
IELTS বাধ্যতামূলক নয়। কোর্সসমূহের মধ্যে রয়েছে- ইঞ্জিনিয়ারিং ও কম্পিউটার সায়েন্স, পাবলিক হেলথ, বিজনেস এডমিনিষ্ট্রেশন, আর্টস, সায়েন্স ইত্যাদি।
কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির IELTS বাধ্যতামূলক করা হয়নি। কিন্তু উচ্চ শিক্ষা গ্রহনের উদ্দেশ্যে বিদেশে পাড়ি জমানোর আগে অবশ্যই IELTS/PTE (Pearson Test of English) করে নেয়া অত্যন্ত জরুরি। বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য বিদেশী উচ্চ শিক্ষার অফার ও কোর্সগুলো সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানার জন্য কিছু লিংক দেয়া হল : http://www.eurasia-institute.com, http://www.una.edu, http://www.ssbcledu.com, http://www.astate.edu, http://www.oaitijjho.wordpress.com/education, http://www.sharda.ac.in, http://www.lams.ac, http://www.ed-coll.ac.uk, http://www.scotlandistheplace.com, http://www.imttcanada.com, http://www.aicl.nsw.edu.au, http://www.polimoda.com, http://www.uab.es
আন্তর্জাতিক মুদ্রা বাজার সবসময় পরিবর্তনশীল।
তাই প্রত্যেক দেশের মুদ্রা দিয়ে খরচের পরিমাণ উল্লেখ করা হয়েছে। বাংলাদেশী টাকায় খরচের পরিমাণ জানার জন্য ফ্রি অনলাইন কারেন্সী কনভার্টার ব্যবহার করা যাবে। ফ্রি অনলাইন কারেন্সী কনভার্টার-এর কয়েকটি লিংক দেয়া হল: http://www.coinmill.com/BDT_calculator.html, Click This Link Click This Link Click This Link
যে কোন কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য সঠিক গাইড লাইন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আগ্রহী অনেক শিক্ষার্থী সঠিক গাইড লাইন না পেয়ে বছর বছর ঘুরেও আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা লাভের সুযোগ গ্রহন করতে পারছে না। বাংলাদেশে সরকারি ভাবে এখনো এমন কোন তথ্য কেন্দ্র গড়ে ওঠেনি।
এমনকি বেসরকারি ভাবে গড়ে ওঠা কনসালটেন্সি ফার্মগুলোকে সহজ শর্ত সাপেক্ষে অনুমোদন দেয়ার কোন সুযোগও সৃষ্টি করেনি সরকার। ফলে শিক্ষার্থীরা বুঝে উঠতে পারে না কোথায় গেলে তারা সঠিক পরামর্শ পারে, কোথায় গেলে প্রতারিত হওয়ার আশংকা থাকে না ইত্যাদি। তাই এ ব্যাপারে সরকার যতোদিন পদপে গ্রহন না করে ততোদিন পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের নিজ উদ্যোগে ব্যাপক/পর্যাপ্ত যাচাই করেই বাছাই করে নিতে হবে কনসালটেন্সি ফার্ম/এজেন্ট। অন্যথায় বিদেশে আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা লাভের স্বপ্ন পরিণত হতে পারে দুঃস্বপ্নে।
শিক্ষার্থীদের সুবিধার কথা চিন্তা করে এসএস বিজনেস করর্পোরেশন লি. গত ১০ ও ১১ জুন দু’দিনব্যাপী ‘প্রথম আন্তর্জাতিক শিক্ষা এজেন্ট প্রশিক্ষন’ কারওয়ান বাজারস্থ বেষ্ট ওয়েস্টার্ণ লাভিঞ্চি হোটেলে আয়োজন করে।
প্রশিক্ষনের বিভিন্ন শেসন পরিচালনা করেন জার্মানীর ইউরোশিয়া ইন্সটিটিউটের মি. ইমরান খান, আবুধাবী ইউনিভার্সিটির মি. স্টেভেন রিচার্ড, শারদা ইউনিভার্সিটির মি. সৌভিক কুমার দে, ল-ন জেমিনি কলেজের প্রভাষক মি. সৈয়দ আহম্মদ, এসএসবিসিএল-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মি. সুমন তালুকদার প্রমুখ। এতে দেশের প্রায় ২০টি বিভাগীয় ও জেলা শহরের ৩৫ জন এজেন্ট প্রশিক্ষন নেন। প্রশিক্ষন শেষ অংশগ্রহনকারীদের মাঝে সনদপত্রও বিতরণ করা হয়। আশা করা হচ্ছে- বিদেশে উচ্চ শিক্ষাগ্রহনে আগ্রহীরা এখন থেকে তথ্য ও প্রাথমিক প্রস্তুতি পর্ব সম্পন্ন নিজ নিজ এলাকায় করতে পারবে এবং প্রাথমিক প্রস্তুতি পর্ব সম্পন্ন করার জন্য ঘন ঘন ঢাকায় আসার দরকার পড়বে না।
Click This Link ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।