------ জীবনটা কি ফেসবুক!
যখন খুশি বদলাবে প্রোফাইল ফটো, টাইমলাইন,
ট্যাগ করলেই পেয়ে যাবে
প্রতীক্ষিত ছন্দময় কাব্যের এ্যালবাম।
‘হাই’ বললেই ঝাপিয়ে পড়বে শতশত ভার্চুয়াল ফ্রেন্ড
অনলাইনের অদৃশ্য মায়াজালে।
অগণিত গ্রিটিংস টেক্সট আর ছবিতে ভরে উঠবে
ফেসবুক ওয়াল।
আবার কখনো ফেক আইডিতে বানায় বিমূর্ত প্রোফাইল
সাইবার ক্রাইমে মেতে উঠে এক হিংস্র থাবা নিয়ে,
বর্বর উল্লাসে ফেটে পড়ে ডিজিটাল নাগরিক-
এরা জারজ, সাইবার প্রজন্মের প্রতিনিধি।
ক্রমাগত আমার ব্লকলিস্টে জমা হতে থাকে
একের পর এক হিংস্র জানোয়ারের কালো তালিকা।
মননে আমার যে নান্দনিক ভাবনা তা বিষিয়ে উঠে-
বিষাক্ত বাতাসের উন্মত্মতায় ।
আমার টাইমলাইনে
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে দেয়া স্ট্যাটাসও মুছে যায়-
প্রযুক্তির আশির্বাদে হ্যাকড হয়,
আমার সাজানো রঙ্গীন ফেসবুক।
আমার প্রতিবাদ ছাপা হবে তাহলে কোথায়!
বিবেকের ট্যাগলাইনে যা দাগ কেটে আছে-
যুদ্ধের বিভিষীকাময় দিন, আমার মা দৌড়াচ্ছে অনবরত,
পিছনে আগুনে ছারখার আমার মায়ের গুছানো সংসার,
চাচা কাটাচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের ক্যাম্পে বিভৎস এক একটি দিন।
আমি ভুলি কি করে?
আমার মনের গহীনের যে কাব্যের সরস জমিন
তাতে আমি লিখে দেই-
“রাজাকারের বাচ্চা, তুই আবার বাংলাদেশ জিন্দাবাদ কস! তরে আমি খায়া ফালামু। ”
সে ব্যথা যখন মূর্ত হলো অনলাইনে- ব্লগার এক্টিভিস্টদের মন্তব্যে,
আমার প্রোফাইল তখন আবারো ব্যান হলো।
রিএক্টিভেট প্রোফাইল নিয়ে আবার আমি
ঝাপিয়ে পড়ি একটি স্নিগ্ধ ভোরের প্রতীক্ষায়…নতুন একটি স্ট্যাটাসের জন্য।
(আমার এই কবিতাটি আমার প্রিয় কবি নির্মলেন্দু গুণ-কে উৎসর্গীত। )
হাসান ইকবাল
৩১শে ডিসেম্বর ২০১২, ঢাকা
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।