যেথায় পড়শী বসত করে, আমি একদিন ও না দেখিলাম তারে। বর্তমানে সমাজে প্রেমের বিয়ে, তরুণ-তরুণীদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়। স্বাভাবিক ভাবেই তরুণ বয়সে একে অপরের প্রতি অপ্রতিরোধ্য আকর্ষণ কাজ করে। আর সমাজে মেয়েদের শিক্ষার হার অনেক বেড়ে গিয়েছে। তারা আগের চেয়ে অনেক বেশী বহির্মুখী।
ফলে ছেলে-মেয়েরা একে অপরের সাথে সহজে মেশার সুযোগ পায়। আর প্রযুক্তির কল্যানে তারা খুব সহজে নিজেদের হৃদয়ের কথা আদান-প্রদানের সুযোগ পায়।
সমস্যা হলো যেই বয়সে ছেলে-মেয়েরা প্রেমে পড়ে, বা জীবন সঙ্গী নির্বাচন করতে চায়, সেই বয়সে তাদের থাকে বাঁধ ভাঙা আবেগ। পৃথিবীর সবকিছুই তারা রঙীন ভাবে। যার কারণে সঙ্গী-সঙ্গিনী নির্বাচনে তারা বহু ক্ষেত্রেই ভুল করে বসে।
এজন্য দেখা যায় প্রেমের বিয়েতে ভাঙনের ঘটনাও অনেক। তারা যদি তাদের জীবন-সঙ্গী নির্বাচনের দায়িত্ব তাদের অভিভাবক কে দিত, অথবা সঙ্গী নির্বাচনের আগে, অন্ততপক্ষে অভিভাবকের পরামর্শ নিত, তবে তা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আরো সুন্দর হত।
বাঁধ ভাঙা আবেগের বয়সে একটা তরুণ বা তরুণীর যে কাউকে যে কোন কারনে ভাল লেগে যেতে পারে। কেউ হতো রূপ দেখে, কেউ পোষাক দেখে, কেউ আক্রমণাত্মক ব্যবহার দেখে, কেউ হয়তো স্মার্টনেস দেখে, কেউ হাসি দেখে, কেউ গান শুনে, ইত্যাদি তুচ্ছাতিতুচ্ছ কারণে একে অপরে প্রেমে পড়ে যায়। কিন্তু যাকে সারাজীবনের জন্য সঙ্গী নির্বাচন করবেন, তার এই গুণগুলো, প্রকৃতপক্ষে কোন কাজেই লাগবে না।
যেগুলি সত্যিকারে পরবর্তী জীবনে কাজে লাগবে, সেটা হল তার, শিক্ষা, পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ড, রুচি, আত্মসম্মানবোধ, অপরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ ইত্যাদি। এই সত্যিকারের গুরুত্বিবপূর্ণ বিষয়গুলো ঐ বয়সে কেউই খেয়াল করে না বা খেয়াল করার মত যথেষ্ট জ্ঞান থাকে না। এক্ষেত্রে অভিভাবক দের বিকল্প নেই। অভিভাবকেরা তাদের অভিজ্ঞতা দিয়ে খুব সহজেই এই জিনিষগুলো যাচাই করতে পারেন।
তাই প্রেমের বিয়ের চেয়ে অভিভাবকের পছন্দের বিয়েই অনেক বেশি সুখের হবার সম্ভাবনা বেশি।
আর যদি সত্যিকারের প্রেমকেই প্রাধান্য দেন, তবে অন্ততপক্ষে আপনার অভিভাবকের কাছ থেকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব, তাকে যাচাই করিয়ে নিন। একদিন না একদিন আপনাকে অভিভাবকের মুখোমুখি হতেই হবে। প্রেমে পড়লেও যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আপনার মা-বাবা কে খুলে বলুন। তাদের পরামর্শ নিন। তাদের চেয়ে বড় শুভাকাঙ্খী কোথাও পাবেন না।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।