আজকে হেফাজতের সারাদিনের কিছু ঘটনা দেখে নেই
#সকালে মহাখালী জাগরণ মঞ্চ ভাংচুর এবং সকল ব্লগার নাস্তিক ঘোষণা
জাগরণ মঞ্চের চেতনা হল যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি আর আইন করে জামায়াত নিষিদ্ধ করা। তাহলে যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে হেফাজতের মাথা মাথা এত ব্যাথা ক্যান?কারণ কিছুই না,সেই টাকা আর ক্ষমতার ভাগ। জামায়াতের সেই পুরানো কৌশল ধর্মকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করামনে আছে আপনাদের,ব্লগারদের নাস্তিক উপাধি নিয়ে সবথেকে বেশী হইচই কে করেছে প্রথমে?বেগম খালেদা জিয়া। সেই একই মন্ত্রে ময়দানে হাজির হেফাজত। অর্থাৎ যাহাই জামায়াত,তাহাই হেফাজত
অ.ট শাহরিয়ার কবিররে জুতানো উচিত বিশ জন নিয়ে মহাখালীতে নেতাগিরি ফলাতে যাবার জন্য
#নারী সাংবাদিক পিটানো
আমরা সবাই তালেবান,বাংলা হবে আফগান।
ছোট একটা ট্রেলার দেখাইল।
#সরকারকে নাস্তিক বলে পদত্যাগের দাবী
হেফাজতের কথা হইল,আমরা কোন রাজনীতির ভিতর নাই। অথচ দাবী করল সরকারের পদত্যাগ। সরকারের পদত্যাগ বা সরকার পতনে লাভ কার? জামায়াতের।
#আহমদ শফীর পক্ষে তাঁর ছেলে ও হেফাজতে ইসলামের প্রচার সম্পাদক আনাছ মাদানী বক্তব্য পড়ে শুনান
অনেক মুরুব্বী নেতা থাকতেও শফী সাহেবের ছেলে দাবী পড়ে শোনান,যেমন আওয়ামী লীগের সজীব ওয়াজেদ জয় বা বিএনপির তারেক জিয়া।
ইসলামে কি কোথাও নেতা হবে নেতার ছেলে,এমুন কোন নিয়ম আছে?নাকি বিএনপির সাথে মিশে সঙ্গদোষে এমুন হইছে?
#হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী বলেছেন, ১৩ দফা দাবিতে তাঁদের আন্দোলন কোনো রাজনৈতিক আন্দোলন নয়। কিন্তু ক্ষমতায় থাকতে হলে এসব দাবি মেনেই থাকতে হবে, ক্ষমতায় যেতে হলে এসব দাবি মেনেই যেতে হবে।
রাজনীতির আন্দোলন না,সরকারে থাকতে হলে বা ক্ষমতায় যেতে হলে তাদের দাবী মানতেই হবে। কি সেলুকাস !আগে কোনদিন এমন কথা তারা বলে নাই,এখন বলছে কারণ,তাদের সামনে বিএনপি আর পিছনে ভেক ধরে জামায়াত আছে না !
# শাহ আহমদ শফীর বক্তব্যে আরও অভিযোগ করা হয়, মুসলমানদের সভ্যতা ধ্বংস করে দেশে ‘বেলেল্লাপনা’ আমদানি করা হচ্ছে। মঙ্গলপ্রদীপ প্রজ্বালন ও মূর্তি স্থাপনের মাধ্যমে দেশকে ‘অগ্নিপূজারি’ ‘মূর্তিপূজারিদের’ দেশে পরিণত করা হচ্ছে।
১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ সালে স্বাধীন হওয়ার এবং স্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্যন্ত নানা সংগ্রাম আর সেই সংগ্রামে আত্নাহুতি দেওয়া মানুষদের স্বাধীনতার চেতনার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তৈরি করা শহীদ মিনার,স্মৃতি সৌধ সহ সকল ভাস্কর্য ভেঙ্গে ফেলার ষড়যন্ত্র আজীবন করে গেছে জামায়াত-শিবির। আজকে তাদের সেই বক্তব্য পুনরায় করল হেফাজত।
এবার চলুন তালেবান রাষ্ট্র গঠন করতে হেফাজতের ১৩ দফা দাবি
দেখে আসি
১. সংবিধানে ‘আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ পুনঃস্থাপন এবং কোরআন-সুন্নাহবিরোধী সব আইন বাতিল করা।
কোরআন -সুন্নাহবিরোধী আইন আছে নাকি?যদি থেকেই থাকে তবে আজ হেফাজতের সাথে সংহতি জানানো বিএনপি এককভাবে এবং জামায়াতের সাথে যতদিন সরকারে ছিল তখন তারা সেই কথিত কোরআন-সুন্নিবিরোধী আইন বাতিল করেনি কেন?সুদিন থাকলে ধর্মের কোন খোঁজ নাই বিপদে থাকলে ধর্ম বাচাও শ্লোগান তোলা জামায়াতের পুরান স্বভাব। আজও জামায়াতের সেই রূপ দেখা গেল হেফাজত নামে।
২. আল্লাহ, রাসুল (সা.) ও ইসলাম ধর্মের অবমাননা এবং মুসলমানদের বিরুদ্ধে কুত্সা রোধে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে জাতীয় সংসদে আইন পাস।
আবারও ভণ্ডামি,শুধু ইসলাম কেন?যেকোনো ধর্ম অবমাননা করলে শাস্তি হবে,একথা বলা হল না কেন?তবে কি এটাই ধরে নিতে হবে,অন্য কোন ধর্মের মানুষ এদেশে বাস করতে পারবেনা?মুক্তিযুদ্ধের সময় যেভাবে অন্যান্য ধর্মের মানুষদের অকাতরে খুন করা হয়েছিল বা দেশত্যাগে বাধ্য করা হয়েছিল,আবারও কি সে কাজ করার জামায়াতই প্লান হেফাজতের মুখ থেকে বের হল?
৩. কথিত শাহবাগি আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী স্বঘোষিত নাস্তিক-মুরতাদ এবং প্রিয় নবী (সা.)-এর শানে জঘন্য কুত্সা রটনাকারী ব্লগার ও ইসলামবিদ্বেষীদের সব অপপ্রচার বন্ধসহ কঠোর শাস্তিদানের ব্যবস্থা করা।
ঢালাওভাবে ব্লগারদের নাস্তিক এবং শাহাবাগে ধর্মের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হচ্ছে,এই বক্তব্য আগে ছিল বিএনপি-জামায়াতের, এখন সেই বুলি আওড়াচ্ছে হেফাজত।
৪. ব্যক্তি ও বাকস্বাধীনতার নামে সব বেহায়াপনা, অনাচার, ব্যভিচার, প্রকাশ্যে নারী-পুরুষের অবাধ বিচরণ, মোমবাতি প্রজ্বালনসহ সব বিজাতীয় সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ বন্ধ করা।
বলেন তো ভাইয়েরা এই কথা কারা কইত?জামায়াত নিশ্চয়ই?আচ্ছা যখন জামায়াত নেতারা এক মঞ্চে বা এক টেবিলে বেগম খালেদা জিয়ার সাথে মাঠে ময়দানে রাজনৈতিক অনুষ্ঠান করে তখন কি এই কথা তাদের মাথায় কি থাকেনা? কারা আগে কইত,নারী নেতৃত্ব হারাম?সেই হারাম এখন কাদের আরাম হইছে?
৫. ইসলামবিরোধী নারীনীতি, ধর্মহীন শিক্ষানীতি বাতিল করে শিক্ষার প্রাথমিক স্তর থেকে উচ্চমাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত ইসলাম ধর্মীয় শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করা।
জয় হোক তালেবান মতাদর্শের। শিক্ষানীতি ধর্মহীন হয় কি করে ?এটাও জামায়াতের সেই বিরোধী দলে থাকলে আল্লাহ্র আইন চাই আর সৎ লোকের শাসন চাই কিন্তু ক্ষমতায় থাকলে মনে নাই--সেই বিষয়ের নতুন সংস্করন করে আজ কইল হেফাজত।
৬. সরকারিভাবে কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণা এবং তাদের প্রচারণা ও ষড়যন্ত্রমূলক সব অপতত্পরতা বন্ধ করা।
সরকারিভাবে কাউকে অমুসলিম ঘোষণা করা যায়,এমন কথা ইসলামে আছে কিনা জানিনা।
৭. মসজিদের নগর ঢাকাকে মূর্তির নগরে রূপান্তর এবং দেশব্যাপী রাস্তার মোড়ে ও কলেজ-ভার্সিটিতে ভাস্কর্যের নামে মূর্তি স্থাপন বন্ধ করা।
মনে আছে এই ধরনের কাজ করেছিল তালেবানরা আফগানিস্থানে আর ১৯৭১ সালে জামায়াত। জামায়াতের সেই স্বভাব উঠে আসল আজ হেফাজত হয়ে।
৮. জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ দেশের সব মসজিদে মুসল্লিদের নির্বিঘ্নে নামাজ আদায়ে বাধাবিপত্তি ও প্রতিবন্ধকতা অপসারণ এবং ওয়াজ-নসিহত ও ধর্মীয় কার্যকলাপে বাধাদান বন্ধ করা।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে মসজিদ বন্ধ হয়ে যাবে,মসজিদে পূজা শুরু হবে, নামায-রোযা নিষিদ্ধ করা হবে,এই অপপ্রচার আগে ছিল জামায়াতের প্রচারণায় আর এখন হেফাজতের প্রচারণায়।
৯. রেডিও-টেলিভিশনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে দাড়ি-টুপি ও ইসলামি কৃষ্টি-কালচার নিয়ে হাসিঠাট্টা এবং নাটক-সিনেমায় নেতিবাচক চরিত্রে ধর্মীয় লেবাস-পোশাক পরিয়ে অভিনয়ের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মের মনে ইসলামের প্রতি বিদ্বেষমূলক মনোভাব সৃষ্টির অপপ্রয়াস বন্ধ করা।
কি সুন্দর করে জামায়াতের মত মিথ্যা প্রচার !!!
১০. পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশব্যাপী ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত এনজিও এবং খ্রিষ্টান মিশনারিগুলোর ধর্মান্তকরণসহ সব অপতত্পরতা বন্ধ করা।
উপরের অপপ্রচার চালিয়ে পাহাড়ে জামায়াত যে অশান্তির সৃষ্টি জামায়াত আগেও করেছে,এখনও করছে। কিছুদিন আগে রামুতে তার প্রমাণ তারা দিয়েছে। আর পাহাড় থেকে জঙ্গিদের কত ঘাঁটি এ পর্যন্ত প্রশাসন ধ্বংস করেছে তা কি অজানা? আর অধিকাংশ ঘাঁটি জামায়াত দ্বারা পরিচালিত এটা কি মিথ্যা?
১১. রাসুলপ্রেমিক প্রতিবাদী আলেম-ওলামা, মাদ্রাসার ছাত্র ও তৌহিদি জনতার ওপর হামলা, দমন-পীড়ন, নির্বিচার গুলিবর্ষণ এবং গণহত্যা বন্ধ করা।
এটাই সব থেকে নাটকীয়,হেফাজতের মুখোশ খুলে যায় এখানেই।
তারা মুখে বলে,আমরা জামায়াতের সাথে নাই আবার তারাই বলে সাম্প্রতিক জামায়াতের সহিংস ঘটনার দায়ে জামায়াত-শিবিরের কাউরে কিছু কওয়া যাবেনা। এখানে জামায়াতের কথা স্পষ্ট কারণ হেফাজতের সাথে সরকারের এমন কিছু ঘটেনি যে,তাদের . রাসুলপ্রেমিক প্রতিবাদী আলেম-ওলামা, মাদ্রাসার ছাত্র ও তৌহিদি জনতার ওপর হামলা, দমন-পীড়ন, নির্বিচার গুলিবর্ষণ এবং গণহত্যার ঘটনা ঘটেছে। এসব তো জামায়তের বক্তব্য,তাইলে কি আমরা বুঝব যে তারা হেফাজতে ইসলাম বলে নিজেদের দাবী করলেও আসলে তারা হেফাজতে জামায়াতে ইসলাম ?
১২. সারা দেশের কওমি মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষক, ওলামা-মাশায়েখ ও মসজিদের ইমাম-খতিবকে হুমকি-ধমকি, ভয়ভীতি দানসহ তাঁদের বিরুদ্ধে সব ষড়যন্ত্র বন্ধ করা।
আজিব!!
১৩. অবিলম্বে গ্রেপ্তারকৃত সব আলেম-ওলামা, মাদ্রাসাছাত্র ও তৌহিদি জনতাকে মুক্তিদান, দায়ের করা সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং আহত ও নিহত ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণসহ দুষ্কৃতকারীদের বিচারের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দিতে হবে।
সরাসরি না বলে ইনিয়ে বিনিয়ে সকল যুদ্ধাপরাধী সহ জামায়াতিদের মুক্তি চাই ।
নাঙ্গা হয়ে গেল এখানেই যে,তারা কাদের এজেন্ডা নিয়ে নামছে।
আরেকটা বড় জামাতি চরিত্র
গতকাল হেফাজত কইল,যারা নাস্তিক তারা হরতাল ডাকছে।
আর আজ তারাই হরতাল ডাকল।
অর্থাৎ অন্যরা করলে পাপ,জামাতিরা করলে মাপ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।